পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

మూన S99ఘీ সাপ্তাহিক পত্র সম্পাদনে বিশেষ ব্যস্ত ছিলেন, দীর্ঘ উক্তি প্রায়ই খৰ্ব্ব করিয়াছিলেন, এবং প্রথম সংস্করণের সতী বিয়োগান্ত ছিল বলিয়া বিস্তর লোকের অঙ্গরোধে উপসংহারে হরপাৰ্ব্বতী মিলন দেখাইতে হয়, এই নৃতন দৃশ্বের ২০ কপি ছাপাইতেও হয়। এ বিষয়ে তাঙ্গার মস্তবা, তাহার মতবারের কিছু পরিবর্তন জন্য উপভোগ্য — "ইহা স্বাধুনিক রচির অনুমোদিত না হইলেও, প্রাচীন রুচির বিশেষ অনুরোপে নাটক প্রচারের কিয়দিন পরে রচিঙ্গ, অভিনীত ও সন্ত্রীস্থ অভিনেতাদের স্ববিধার্থে কেবল কুড়িগানিমাত্র মুঞ্জিত হইয়াছিল। তৎকালে কুণনিয়াছিলাম, ষ্টঙ্কায় আর প্রয়োজন হইবে না। কিন্তু বড় রঙ্গভূমির খধিনায়ক ও সাধারণ পাঠকগণ ক্রমশঃ চাহিয়া পাঠান, মুঞ্জিত না থাকাতে প্রাপ্ত হয়েন ন—তবে DDBBBB BBBB BBBBS BBB BB BBBS eBBS BB S অধুনা তদভাব নিবারণার্থে নাটকের এই পুনমুদ্রাহ্মণ সুযোগ BBB BBD uDS BDDSDBB BB DDBBSBBS B অংশটা বর্জন এবং পুনর্মিলনতুবাণী মহাশয়ের গ্রহণপূর্বক অভিনয় করিতে পারেন ।” মঙ্গলাচরণ গীত দিয়া নাটকের আরম্ভ, তাহার পুর প্রস্তাবনা—“এত যত্নে যে সঙ্গীত অভ্যাস করেছ, এমন মহতী সভার মনোরঞ্জন কৰ্বে না পালে তবে আর তার ফল কি ?” বিষয়-নিৰ্ব্বাচনের কথায় ৪ সেকালের বাক্যবন্ধের পরিচয় পাওয়া যায়—“এমন কোনো অকুপম পতিপ্রাণার মাহাত্ম্য চাই, যা শুনলে বিদেশীর আশ্চৰ্য্য, স্বদেশীর ভক্তি, বালিকার শিক্ষা, যুবতীর চৈতন্য, বৃদ্ধার অন্তজাপ হবে ?” সতী নাটকের আপ্যানভাগ সম্পূর্ণ পৌরাণিক, দক্ষযজ্ঞের কথা লইয়া রচিত । কিন্তু ইহাতে শাস্তিরামের কথায় প্রতিক্ষণে যে একটি স্বাভাবিক, সহজ ছন্দ ফুটিয়াছে তাহা প্রকৃতই অভিনব । রামাঙিষেকের মন্থরার কথা বলিবার ধারা এখানেও চলিয়াছে। এই শাস্তিরামের কথা আমাদের শৈশবে অন্তঃপুরিকাগণের নিকটও শুনিয়াছি, তাহারা শান্তিরামের ছড়া শুনাইয়া শিশুদের চিত্তবিনোদন করিতেন। যেমন,— শাস্থিরাম, তুই বগল বাজ, গোলোকে তোর ভিজল গাজ। জার কি চাব আর কি পাব ? চাবার পাবার কিছুই নাই একৃটি কেবল চাইতে আছে, সেইটা সেইটী সেইটা চাই।' ‘বাপের কাছে চেয়ে পাই : ন চাইতে মা দিলেন ঠাই! *fক্তস্থাধিনী পাক নোন— ঘুচ লোরে তোর আনাগোন।।’ নাট্যকারের মনে সঙ্গীত-পিপাসা এতই জাগরূক ছিল যে তিনি গদ্য লিখিবার সময়েও ধ্বনিসাম্যের দ্বারা সঙ্গীত-তরঙ্গ হুষ্টি করিয়া যাইভেন :– "B্যাগা মা ! বিদ্যাবতী, গুণবতী, আচঞ্চল, সুশীলা, গুণশীল। যন্তই কেন হ’ক না, স্ববলা হলেই কি লঘুবুদ্ধি যায় না?...তোমার জনকজননী ভগ্নীগণ হুনে শুনে সপরিজনে স্বচ্ছদে অাছেন, কোনো পক্ষে কোনো স্থমুখ নাই ।” সতী নাটকের পরে হরিশ্চন্দ্র ; ইহাও বহুবাজার অবৈতনিক নাট্যসমাজের সভ্যদিগের বিশেষ অনুরোধে রচিত। কৃতজ্ঞ গ্রন্থকার ঋণস্বীকার বিষয়ে বিশেষ সতর্ক ছিলেন, নিম্নলিখিত উৎসর্গপত্র হইতে তাহা বুঝিতে পারা যায় । - প্রণয়াম্পদ মাস্থ্যতম ঐ সূক্ত বল্পধাক্কার-নাট্য-সমাজ-সজ্ঞা মহোদয়গণ সমীপেলু প্রিয় সুহৃদ-মণ্ডলি । প্রণয়োৎস্বল্প উপস্থার নিকুষ্ট হইলেণ্ড প্রেমাদ্র হৃদয় গৌরবে গ্রহণ করিয়া থাকে। যুদ্ধ সেই ভরসাহেই এই যৎসামান্ত নাটকখানি আপনাদের করকমলে অর্পণ করিতে সাহসী হুইতেছি । বিশুদ্ধরুচি ও সমাজ-শুদ্ধির প্রতুক্তি বশতঃই যে স্থাপনার অভিনয় কার্ষ্যে লিপ্ত, বঙ্গীয় সমাজের সহায় মাত্রেই ইহা স্বীকার করিয়া আসিতেছেন। নচেৎ এতাধিক পরিশ্রম ও অর্থব্যয় স্বীকার পূর্বক এমন চিত্তবিনোদন অবৈতনিক নাট্যশাল স্থাপনের প্রয়োজন কি ছিল ? সেই বঙ্গোজ্জ্বল রঙ্গভূমিতে নাটক নামের স্থযোগ্য মদীয় "রামাভিষেক" ও “সতীনাটকে"র প্রদর্শনও স্থাপনাদের যোগ্যভাগুণে উচ্চপদবী লাভে সমর্থ হইয়াছিল ...জাপনাদের বদন হইতে আবার একখানি নাটক প্রণয়নের অনুরোধ হইব মাত্র সেই হস্তের লেখনী যে ধাবিত হইবে... তাহা বিচিত্র নহে! নাটকখানি কিঞ্চিৎ দীর্ঘ হইয়া থাকিবে, কিন্তু তাহাতে কি ? যদি বিনোদনের গুণ না থাকে, তবে হ্রস্ব দীর্ঘ সবই সমাণ ! আর যদি সৌভাগ্যক্রমে অল্পeাগেও মনোরঞ্জক হইতে পারে, তবে দুই এক দ্বও সময় দানে কি অভিনেতৃ, কি শ্ৰোতৃ, সুদামোদী মাত্রেই কদাচ কাতর হইবেন না । কলিকাতা । ! চিন্ত্রবাধ্য ২-২ নং করনওয়ালিস স্ট্রট। পৌষ, ১২৮১ সাল । প্রীমনোমোহন বস্তু । হরিশ্চন্দ্ৰও নানাগুণে লোকপ্রিয় হইয়াছিল ; ইং ১৮৮৫ সালে চতুর্থ মুদ্রাঙ্কণ হয়। নাট্যকারের ছড়াকাটার যে প্রবৃত্তি আমরা পূর্ববর্তী নাটক দুইখানিতে দেখিয়াছি ইহাতেও তাহার পরিচয় আছে। খগা পাগলার কথা –