পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖՆ-8 Sక99శు ‘এখন সব চিরে বুঝলেম । তবে স্বধু টাকার লোভে পড়েই চণ্ডী ছেলে চুরি করে নি—তার নিজেরও দাদ তোলা ছিল। (১৯ পৃ: ) একৃঙ্গাইয়ের সময় পাচ শ টাকা পায় ঢেলে পুঙ্গে করেছিলেন, শেষটা কেবল জালে ধরা পড়েই পুলিল্লা যায় । ( ৪৩ পৃ: ) আনন্দময় ধটনাবহুল নাটক, সমসাময়িক বাংলার চিত্র, অর্থগুঞ্জ কৰ্ম্মচারী। আপনাভোলা প্রভুর বংশনাশ করিয়া সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাং করিতে চায়, কিন্তু সহজানন্দের দ্বারা চক্রীর চক্রান্ত ব্যর্থ হইল। ইহাতেও অনেক গান আছে । গানের আকার দেখিলে মনে সন্দেহ হয়, ইংরেজী duet কি দেশী অপ্তর হইতে কতটুকু লইয়াছেন ? একটি গানে লালজী ও বাণীকণ্ঠ ২ কলি গাহিলেন, ভৈরবী গাহিলেন 3, তাহার পর লালজী ও বাণীকণ্ঠ আবার ধরিল, এইরূপ চলিতেছে। আনন্দময়ের মধ্যে যাহা সবচেয়ে ভাল গান বলিয়া মনে হইয়াছে তাহ নীচে দিলাম :– (মিছে) ভব-ঘোরে ঘুরে ঘুরে ভবঘুরে হয়েছি। ও যার, তত্ত্ব করে বেড়াই ঘুরে খেই আমি তার হারিয়েছি। তোমরা কি কেউ বলতে পারে। কোথায় গে পাই তত্ত্ব তারো, পেলেম পেলেম কত বারো, ক’রে শেষে ঠকেচি ৷ ( যদি বল ) ধর্ণ ধারণ চলন চালন রকম সকম কেমন তার ? সে সব কিছু কৈতে নারি, জেনেও হায় জানিনে সার । ( কেবল) একটি গুণ তার চমৎকার, জানা আছে বেশ আমার, যে ডাকে সে হয় গে। তার, সার বুঝে তা রেখেছি। আনন্দময়ের মধ্যে বিপরীত চরিত্রের যুগল স্বষ্টি আছে ; রঘু নায়েব ও কাস্তবাবু, বিশু মুহুরী ও রাধু সরকার, সং ও অসৎ প্রকৃতির প্রভেদ ও ক্রিয়া দেখাইবার জগুই যেন ইহাদের স্ষ্টি । আনন্দময়ের পর মনোমোহন ‘রাসলীলা’ নাটক লেখেন ; রাসলীলাকে তিনি melo-drama বলিতেন। এই নাটকের মধ্যেই অন্য অভিনয়ের ব্যবস্থা আছে, সখীরা অভিনয় প্রদর্শন করিতেছেন। শাস্তিরামের কথা বলিবার ধারা এখানে কালিন্দীর মুখে যেন লাগিয়া আছে । বঁধুর সনে মধুর খেলা, মধুর লীণা হায় ! ভাবুকের ভাৱ কাম কলি, ফুটিয়ে দিচ্ছে তার! সে মাধুরী, বারেক হেরি, পাসরি কি আর ? তার বুঝে তার, স্তর হয়েছে একৃতারা আমার! কালিন্দীর হাতে একতারা, মুখে ভাবময়ী বাণী, কালিন্দী নিজেও রহস্যময়ী ! রাস কোনও ঘরের মধ্যে বা এজেণ্টস —রেডিও সাপ্লাই ষ্ট্রোক্স লি: ) I আবরণের ভিতরে হইবার নয়, সেই কথাই কালিনীর মুথে :– তা হবে না, তা হবে না, রাদ ঢাকা হবে না ! চাদোয়াতে আঁধার হবে, চাদের আলো ঢাকা রবে, দোনার রাসে সোনার চাদকে না দেখলে প্রাণ স্বাচবে না! তা হবে না, তা হবে না, রাস ঢাকা হবে না । চামুখী সব, রাস কৰ্ব্বে, না দেশে চাদ কেঁদে মৰ্ব্বে, রাই চাদের পায় দশটা হয়ে কিরণ দিতে পাবে না ! তা হবে না, তা হবে না, রাধ ঢাকা হবে না ! ভগবানকে কেমন করিয়া দেখা যায় ? চৰ্ম্ম চকে, রূপ গনকে, চেয়ে কি হায় যায় থাক ? আড়াল থেকে, ধ্যানের চ'কে, যা দেখি, তার স্বপ পাক । সামূনে গেলে, চকের জলে, ম্ভেসে যে সই হই বোকা । একতারা তাই তারা মুদে দেখতে চায় হৃদয়-সঙ্গ ! (বলে ) প্রাণের চাঁকে ধ্যানের চাঁকে দেখাইতে পাকা দেখা ! উপরিলিখিত নাটক সপ্তক ছাড়া মনোমোহন বিস্তর কবিতা লিখিয়াছেন, তাহার পদ্যমালা বালক-বালিকাদের জন্ত ; ‘নাগাশ্রমে'র কথা তিনি ‘কেঁড়েল’ কবি নামে ব্যঙ্গ কবিতায় প্রকাশ করিয়াছিলেন ; আর বন্থ যাত্রা অভিনয়ে তিনি গান বাধিয়া দিতেন। তখনকার দিনে তাহার গানের খ্যাতি ছিল ; বৌবাজার নাট্যসমাজে তাহার রচিত গান শুনিয়া ‘সোমপ্রকাশ’ সম্পাদক মুগ্ধ হইয়া তাহার সংবাদপত্রে লিখিয়াছিলেন, “আহা ! কি মনোহর গানই শুনিলাম—যেমন ভাব, তেমনি রচনা, তেমনি স্বর” ; আর একবার তাহার লেখা সখীসম্বাদ শুনিয়া কবি ও ভাবুক ভোলানাথ মল্লিক মহাশয় অশ্রসংবরণ করিতে পারেন নাই ; প্রকাশ্য সভায় স্বনামধন্ত পণ্ডিতশ্রেষ্ঠ তারানাথ তর্কবাচস্পতি মহাশয় কবিকে প্রেমালিঙ্গন-দানে সমাদর করিয়াছিলেন । ইহাই ছিল সেকালের কবি-সম্বৰ্দ্ধনার রীতি। ‘মনোমোহন গীতাবলী’ কবির লেখা হাফআখড়ায়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসমৃদ্ধ প্রকাশিত হইয়াছে। সংবাদপত্রসেবী হিসাবেও তথনকার দিনে মনোমোহনের নাম নিতান্ত নগণ্য ছিল না । “বিভাকরে’র কথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি ; মধ্যস্থ' নামক পত্রও তাহার কীৰ্ত্তি। ইহা ১২৭৯ সনের ২রা বৈশাখ, তাহার পর প্রতি শনিবার প্রকাশ হইত। মধ্যস্থ সভা ইহার পিছনে থাকিত ; সে সভা ছিল "সপ্তরত্ন সমাজ', অর্থাৎ সাত জন সভ্য, সভার

              • * * * * * - - --