পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᏏ Ꮼ SoSD9āు আশ্বিন খণ্ডের শেষ পৃষ্ঠায় “শ্ৰীমধ্যস্থ” জানাইতেছেন যে, বৎসরাবধি বার বার পীড়াক্রাস্ত হওয়ায় ( বিশেষতঃ শিরঃপীড়া বিশেষ ) তিনি নিয়মিত মধ্যস্থ প্রকাশ করিতে পারিতেছেন না, এবং চিকিৎসক ও বান্ধবগণের সনিৰ্ব্বন্ধ অনুরোধ-মানসিক শ্রমকার্ধ্যে কিছুদিন নিবুন্তু থাকা । “যদি শীঘ্র স্বাস্থা লাভ করিতে পারি তবে পরম ভাগ্য । নচেৎ এই অপ্রতিবিধেয় কারণে মধ্যস্থ প্রকাশে যদি কিছু বিলম্ব ঘটে, তবে অন্তগ্রাহক গ্রাহক মহাশয়ের স্ব স্ব ঔদার্থ্যগুণে ক্ষমাপরায়ণ হইবেন " মনোমোহনবাৰু হিন্দুমেলার একজন প্রধান উদ্যোগী ছিলেন। র্তাহার যথেষ্ট বক্তৃতা-শক্তি ছিল। ১২৮০ সালের পৌষ সংখ্যা মধ্যস্থ হইতে জাতীয় নাটাসমাজের সাম্বৎসরিক উৎসবে প্রদত্ত র্তাহার বক্তৃতার কিয়দংশ উদ্ধৃত করি – “যেমন মধুর অভাবে ফুল ধোওয়া, নাটকের অভাবে যাত্রা ঠিক সেইরূপ ! আমি জানি, বঙ্গদেশে যাত্রাওয়ালার সামাপ্ত আমোদ দান করে নাই। আমি জানি, তাহারা প্রত্যহ প্রায় প্র৬ি গ্রামে—প্রতি পল্লীতে সহস্ৰ সহস্ৰ লোকের চিত্ত রঞ্জন করিয়াছে। অামি জানি, তাহাদের মধ্যেও একপ্রকারের গুণলোক পাওয়া যাইত, মুরের জমাট বাধাইয় তাহার বহুচিস্তকে মোহিত করিত। কিন্তু হায়! তাহাতে অপকার যত, উপকার ভক্ত ছিল ন! ! তাহাদের স্বস্বল্প গুণের প্রশংসা অবগু করিব, তাহীদের গানগুলির মধ্যে এমন গানও অাছে, যাহাতে কখনো কখনো যথার্থ কবিত্ব, স্বতরাং উপাদেয়ত্ব ও নীতিতত্ত্বের সম্ভাব দেখা যাইত-কিন্তু সে সব সৰ্ব্বদা নয়।” এইভাবে তিনি যাত্রা অপেক্ষা নাটকের প্রাধান্ত দেখাইয়া বঙ্গদেশে নাট্যাভিনয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়াছেন। ঈশ্বর গুপ্তের প্রবোধচন্দ্রোদয়, ভারতচন্দ্রের বিদ্যাম্বন্দর, তারাচরণের ভদ্রাজুন, কোনটিই সমাজে তেমন আদৃত হয় নাই। কারণ উহাদের অধিকাংশই পয়ারে লিখিত ; তারপর পাইকপাড়, জোড়াসাকোর কথা বলিয়া দীনবন্ধু ও মাইকেলের নাম করিয়াছেন, দীনবন্ধুকেই “আমাদের মাতৃভাষার দৃশুকাব্যের প্রথম জন্মদাতা" বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। রামাভিষেক ও নব নাটক প্রভৃতি রচনার পর “দুঃখশেষ (tragedy), স্থখশেষ (comedy) ও প্রহসনাদি डॉलभमनं दश् बछ् দৃশ্বকাব্যের শ্ৰোতে বঙ্গদেশ এককালে ( এজেণ্টস ঃ-রেডিও সাল্লাহ gোঞ্চল ॥৮a ) o প্লাবিত হইয়া পড়িল । দুঃখের বিষয়, ঐ সব নাটকের অধিকাংশ না-টক না-মিঠে !” মনোমোহন বাবুর দুইটি মত এস্থলে উল্লেখযোগ্য ; তিনি নাট্যরচনায় গীতের বহুল প্রয়োগ সমর্থন করিয়াছিলেন এবং আমাদের জাতীয় সম্পদ যাত্রায় আমূল উচ্ছেদ না করিয়া তাহাকেই নাটকের আীকার দেওয়া । “আমাদের আধুনিক শিক্ষিক্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকের এরূপ সংস্কার অাছে যে নাট্যাভিনয়ে গানের বড় আবশ্বক করে না, ইউরোপীয় রঙ্গভূমিতে নাটকাভিনয় কালে গানের অভাব দেখিয়াই উহার এই সংস্কারের বশতাপন্ন হইয়াছেন । কিন্তু ভারতবর্ষ যে ইউরোপ নয় : ইউরোপীয় সমাজ আর স্বদেশীয় সমাজ যে বিস্তুর বিভিন্ন, ইউরোপীয় রুচি ও দেশীয় রুচি যে সমাকু স্বতন্ত্র পদার্থ, তাহা ওঁাহারা ভাবিয়া দেখেন ম৷...আমরা মধ্যস্থ মামুৰ ; আমরা চাই, দেশে পূৰ্ব্বে বাহ। BDS BBDD BDD D BBB BBBBB BBBB BBBS BB S আমরা চাই, সেই যাত্রার গান সংগার কমাইয়া ও গাইবাস্ত্র প্রণালীকে শোধিত করিয়া নাটকের স্বভাবামুবারী কথোপকথনাদি বিবৃত হউক!” আর এক বিষয়ে মনোমোহন বাবুর মত অত্যস্ত দৃঢ় ছিল ; স্ত্রীলোকের ভূমিকায় অভিনেত্রী-নিয়োগের তিনি অনুমোদন করেন নাই, ওরূপ ব্যবস্থায় দেশের দুষ্প্রবৃত্তি বাড়িবে ইহাই তাহার ধারণা ছিল। “শতবর্ষ নাটক না দেখিতে হয়, যুগ-যুগান্তরে এদেশে নাটকাভিনয়রূপ সুখ-দৃগু না ঘটে, চিরকাল স্বভাবের বিরোধী যাত্রাওয়ালার জযস্ত অভিনয় প্রদর্শন করিতে প্রবৃত্ত থাকে, সেও ভাল, তবু যেন এমন দুষ্প্রবৃত্তিসাধক ধর্থনীতিঘাতক ঘোরলজ্জাজনক প্রথাকে আমাদিগের ७३ छाठीग्र नामॆनभांश अथवा अछांछ बछिनङ्कनभाछ अवलषन না করেন ।” মধ্যস্থ অবসানের পর হইতে মনোমোহনের প্রতিভজ্যোতি স্নান হইতে থাকে ; সম্ভবতঃ অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে র্তাহার শরীর-মন দুই-ই ভাঙিয়া পড়িয়াছিল। তিনি বইয়ের দোকান করিয়াছিলেন, মনোমোহন লাইব্রেরীতে নিজের হাতে বই বিক্ৰী করিতেন, ইহাতে বহু সময় ও শক্তি ব্যয় হইত। রজভূমিতে অভিনেত্রীর সমাবেশও র্তাহার মত লোকের পক্ষে স্থখকর হয় নাই। নিপুণ নট ও অভিনয়-শিক্ষায় সিদ্ধহস্ত গিরিশচক্সের ক্রমবৰ্দ্ধমান খ্যাতিপ্রতিপত্তিও ইহার কারণ হইতে পারে। যে কারণেই হউক, তিনি ক্রমশঃ জাতীয় সাহিত্য ও নাট্যাভিনয়