পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাগত শ্ৰীনগেন্দ্রনাথ গুপ্ত ত্রয়ংিশ পরিচ্ছেদ । ত্ৰিলোচনের আশঙ্কা থ্যামাচরণ বনবিহারীর আগমনবাৰ্ত্তা জানিত না, কিন্তু সেও একেবারে নিশ্চিন্ত হইয় ছিল না । ত্ৰিলোচনের মনে ভয় উৎপাদন করিতে পারিলে কতকট। অপমানের প্রতিশোধ আর অন্য দিকেও কিছু লাভ হইতে পারে । যদি শুiমাচরণকে স্বীকার করিতে হয় সে যে কাজে নিযুক্ত হইয়াছিল তাহ পূর্ণরূপে সম্পন্ন হয় নাই তাহা হইলে তাহারও আশঙ্কা, কিন্তু তাহাতে তাহার বিশেষ ভয় হইল না। বনবিহারীকে কোনরূপে জড়াইতে পারিলে ত্রিলোচন তাহার প্রতি অসন্তুষ্ট হইবেন। অনেক ভাবিয়া-চিন্তিয়া শু্যামাচরণ ত্ৰিলোচনকে একখানা পত্র লিখিল । কোন কথা স্পষ্ট করিয়া লিখিল ন, যদি চিঠি আর কাহারও হাতে পড়ে। সে শুধু লিখিল, যে কাজ করিবার কথা ছিল তাহার কিছু বাকি আছে । অনুমতি হইলে সাক্ষাতে নিবেদন করিবে । ত্ৰিলোচন একে ত বনবিহারীর সঙ্কেজ-কথায় অভ্যন্ত দুশ্চিন্তায় তাহার উপর শ্যামাচরণের চিঠি পাইয়া তাহার ভাবনার সীমা রহিল না। তিনি নিজের নাম না দিয়া শ্যামাচরণকে পত্রদ্বারা ডাকাইয়া পাঠাইলেন। এদিকে শৈলবালাকে স্ববালার বিবাহের জগু চাপিয়া ধরিলেন। বিলম্ব করিবার সময় ছিল না। শৈলবালাকে বলিলেন, আপনার ভগিনীর ইচ্ছামত এইবার স্ববালা রাণীর বিয়ে দিন । শৈলবালা বলিলেন, বেশ ত, পাত্র কোথায় ? ফোলা গাল কাপাইয়া ত্রিলোচন খানিক হাসিলেন, কহিলেন, পাত্ৰ হাতের গোড়ায় । কাক্টিকের সঙ্গে আপনার মেয়ের বিয়ে দিন । প্রস্তাব শৈলবালার ভাল লাগিল না। কিছু নীরস স্বরে কহিলেন, কান্তিক ত বাড়ীর ছেলের মতন । তাকে কিছুতেই জামাই মনে হবে না। —বাইরে থেকে জামাই আনলে কেমন হবে কে জানে ? বড়মাহুষের ছেলে হ’লে স্বভাবে কত রকম দোষ হতে পারে। আর ধেই হোক বিসয় হাতে পেলে ফুটকড়াই করবে। কাক্টিক আমার ছেলে ব’লে বলচি নে, ওর স্বভাব-চরিত্র আপনি জানেন, কাজকৰ্ম্ম শিগেচে, বিষয় সামলাতে পারবে, আর আপনাকে দখবে । আমার যা-কিছু আছে আর এই সম্পত্তি একসঙ্গে থাকবে, আপনার ভগিনী কি না বুঝে-মুঝে এ বিয়ে ঠিক করেছিলেন ? —তাহ’লে তঁর পুষ্যিপুত্র নেবার কথা হচ্চিল কেন ? —৪-সব বাজে কথা । তিনি কখন কাউকে বঞ্চিত করতেন না । —এ বিয়ে আমার মনে নিচ্চে না । ত্ৰিলোচন কথা ফিরাইয়া আর এক দিক দিয়া ধরিলেন, বলিলেন, আপনার ভাবনা হবে ব'লে আর একটা কথা বলি নি । আর কেউ হয়ত এ বিষয়ের দাবি করতে পারে । —আর কে করবে ? তাহ’লে এত ক্লিন করে নি কেন ? —বোধ হয় কাগজপত্র সাক্ষী সাৰুদ্ধ তৈরি করচে । পাকাপাকি বন্দোবস্ত ক'রে নালিশ করবে । —তা জ্ঞাষ্যমত যদি তার হয় ত নেবে। শৈলবালা বিশেষ ভয় পাইলেন না দেখিয়া জিলোচন কহিলেন, এখনও বিষয় আপনার হাতে। এখন যত টাকা পাওয়া ধায় আপনি মেয়ে-জামাইয়ের নামে লিপে দিতে পারেন, তাতে কেউ হাত দিতে পারবে না। তবু ত আপনি ওদের একটা উপায় করতে পারবেন। শৈলবালা আইন-কান্থনের কি জানেন, জিলোচন