পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a99ھ ব'লে একবার টেনে দিয়েছিলেন। তার হাতেও দেখলাম সেই আংটী। দু-পাশে দু-খানা হীরা, মাঝখানে একখানা বড় লাল টকটকে চুনি। গলদঘর্থ হইয়া জিলোচন অন্ধকার দেখিলেন। অনেক কষ্টে একটু সামলাইয়া কছিলেন, তুমি এখন যাও। আমি দু-চার দিনের মধ্যে কলকেতায় যাচ্ছি, সেখানে গিয়ে তোমাকে ডাকিয়ে পাঠাব। শ্যামাচরণ চলিয়া গেল । ত্ৰিলোচন কোচার আগ দিয়া মাথার গায়ের ঘাম মুছিতে লাগিলেন। কান্ত্রিক প্রচ্ছন্ন থাকিয় দেখিল, খামাচরণ বুক ফুলাইয়৷ হাসিতে হাসিতে বাহির হইয় গেল। এবার শ্যামাচরণের সঙ্গ লইতে তাঙ্গার সাহস হইল না। চতুস্ত্রিংশ পরিচ্ছেদ ফোটোগ্রাফ সুবর্ণপুর হইতে নিষ্ক্রান্ত হইয় গঙ্গাধর ও হরিনাথ রাত্রিকালের ঘটনা বিচার করিতে প্রবৃত্ত হইল। যাহার বলপূর্বক তাহাদের ঘরে প্রবেশ করিয়াছিল তাহার যে সাধারণ ডাকাত নয় সে-সম্বন্ধে তাহাদের কোন সংশয় ছিল না। ডাকাত লুট করিবার লোভে আসে । দুই জন পথিকের কাছে কি এমন অর্থ থাকিতে পারে যাহা গ্রহণ করিবার জঙ্ক এক দল দস্থ্য আসিবে ? তবে তাহার কি অভিপ্রায়ে আসিয়াছিল ? হরিনাথ ও গঙ্গাধরকে হত্যা করিবার জন্ত ? দুই জন নিরপরাধী পথিককে হত্যা করিয়া তাহাদের কি লাভ ? তাহাদের পিছনে কে আছে ? একবার গঙ্গাধরের মনে হইল দেওয়ান ঞ্জিলোচন এই ব্যাপারে লিপ্ত থাকিতে পারেন, কিন্তু এরূপ সন্দেহ করিবার কোন কারণ খুজিয়া পাইল না। স্বাগত ও তাহার মৃত সঙ্গীর সঙ্গে মুবর্ণপুরের কোন সম্বন্ধ আছে এরূপ কল্পনা হরিনাথ কিংবা গঙ্গাধরের মনে স্থান পায় নাই। বাকি রহিল বনবিহারী। সে-ই বা কেন কতকগুলা লোক দিয়া হরিনাথ ও গঙ্গাধরকে হত্য করিবার চেষ্টা করিবে ? বরং তাছাদের সহায়তায় সে কিছু লাভের আশা করে। দুই বন্ধু কিছুই স্থির করিতে পারিল না, কিন্তু কয়েকটা লোক যে তাহাদিগকে বিনা S9లిఖి কারণে আক্রমণ করিয়াছিল এ সম্ভাবনা বিশ্বাসযোগ্য नु । ইহার পরেই আর এক গ্রামে ক্ষেত্রনাথ অর্থাৎ গঙ্গাধরের নামে একখান টেলিগ্রাম আসিল । তাহাতে চালের ও পাটের কথা লেখা থাকিলেও গঙ্গাধর বুঝিতে পারিল বনবিহারী কানাইয়ের সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছে। কিছুক্ষণ বিবেচনা করিয়া গঙ্গাধর বলিল, আমাকে এক বার কলকেতায় যেতে হবে । হরিনাথ সাগ্রহে বলিল, বেশ ত, আমরা দুজনেই যাব । গঙ্গাধর বলিল, না, এবার আমি একাই যাই । দেশে যাব না, কলকে ভায় তোমার বাড়িতেও যাব না । কানাইয়ের বাড়ি বনবিহারীর সঙ্গে দেখা করে ফিরে আসব। তারপর তুমি না-হয় দু-চার দিনের জন্য যে৪ । হরিনাথ বলিল, স্বাগতাকে একথান চিঠি দেব নিয়ে যেও আর জবাব নিয়ে এস। —তা দিও, আমি কানাইকে দিয়ে পাঠিয়ে দেব। বনবিহারী যে ঠিকানায় লিখিতে বলিয়াছিল গঙ্গাধর সেখানে একখান। পত্র লিখিল । হরিনাথের সহিত স্থির হুইল সে নবাবগঞ্জে গঙ্গাধরের অপেক্ষা করিবে । তিন দিন পরে গঙ্গাধর চলিয়া গেল । হরিনাথ সেই গ্রামেই আরও তিন চার দিন কাটাইল । কাজের মধ্যে এদিক-ওদিক ঘুরিয়৷ বেড়ায় আর ঘরে বসিয়া স্বাগতার ছবি দেখে । হরিনাথ ইচ্ছা করিলেই গঙ্গাধরের সঙ্গে কলিকাতায় যাইতে পারিত, কিন্তু সে স্থির করিয়াছিল গঙ্গাধরের অমতে কিছু করিবে না। চিত্তকে দমন করিতেই হইবে। যদি স্বাগতার প্রকৃত পরিচয় জানিতে পারা যায়, যদি তাহাকে বিবাহ করিতে ८कन बांक्षी न थां८क उtबहे रुग्निनांषं ७ोझांtक दिशांश् করিতে পারে। আর এখন স্বাগতার যে অবস্থা তাহাতে বিবাহের মৰ্ম্ম সে কি বুঝিবে ? স্মৃতির সঙ্গে সঙ্গে তাহার হৃদয়ের অনুভূতি গিয়াছে, গ্রেমের অতৃপ্তি, প্রেমের আকাঙ্ক্ষা সে কেমন করিয়া জানিবে ? অমুরাগের আদানপ্রদান না হইলে প্রেম বদ্ধমূল হয় না, স্বাগতার হৃদয়ে शशिब्रि अवश, डांशष्ठ कि ¢यम जांशंब्रिङ श्हेंtद ?