পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহায়ণ স্বাগভা సిరి আছেন। তুমি যা দেখলে ফশ ক’রে যেন যাকে-তাকে বলে বলে না। তুমি দেখে ফেললে বলে ত সবাইকে এ ফোটে দেখাতে পারি নে। —আপনার কেউ হবেন বুঝি ? আপনার বউ বুৰি ? : হরিনাথের অঙ্গ পুলকাঞ্চিত হইল। মৃদুস্বরে কহিল, হবেন হয়ত। এইবার গাড়ী থেমেচে, তুমি নেমে যাওঁ । কাৰ্ত্তিক নামিয়া গেল। কোথায় তাহার পা পড়িতেছে তাহা বুঝিতে পারিল না। সব যেন স্বপ্ন, সব যেন মিথ্যা। সে কাহার ছবি দেখিয়াছিল ? দুইজন মানুযে কি এমন অদ্ভূত সাদৃশ্য হইতে পারে? এ কি কুহুকের মায়া? পকেটে হাত দিয়া দেখিল নোট আর টিন ঠিক আছে। এই দুইটা সভ্য আর সব কি মিথ্যা ? পঞ্চত্রিংশ পরিচ্ছেদ বিপদের সুচনা নবাবগঞ্জে পন্থছিয়া হরিনাথ প্রথমে ভাবিল তখনই কলিকাতায় ফিরিয়া যাইবে, আবার বিবেচনা করিল উতল হইবার কারণ নাই, ধীরেস্থন্থে কৰ্ত্তব্য স্থির করিতে হইবে। যে কারণে গঙ্গাধর আর সে নানাস্থানে ঘুরিয়৷ বেড়াইতেছিল সে-উদ্দেশ্য ত সফল হইয়াছে, কিন্তু গঙ্গাধর এ পর্ষ্যস্ত কিছু জানে না। কাক্টিক অকপটে যাহা বলিয়াছিল তাহাতে সমস্ত রহস্য স্পষ্ট হইয়া গিয়াছিল। স্বাগত ও করুণাময়ী এক, তাহাকে ষড়যন্ত্র করিয়া দুর্ঘটনার ব্যাপদেশে হত্যা করাইয়া ত্রিলোচন সম্পত্তি হস্তগত করিতে চায়। মোটরের কাও চাপা দিয়া নৌকাডুবি হুইবার অলীক কথা রটাইয়াছে। শ্যামাচরণ ও বনবিহারী হত্যার ব্যাপারে লিপ্ত আছে সে-বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। গদাধর যদি বনবিহারীর নিকট হইতে কিছু জানিতে পারে তাহা হইলে ক্ষতি কি ? বনবিহারী সত্য কথা বলিবে না, কিন্তু মিথ্যার ভিতর হইতেও কোন সক্ষেত পাওয়া যাইতে পারে। কানাইয়ের ঠিকানায় হরিনাথ গদাধরকে পত্র লিখিল। শে-পত্র আর কাহারও হাতে পড়িলে কিছুই বুঝিতে পারিত না। হরিনাথ খুলিয়া কোন কথা লিখিল না, তথাপি তাহার লেখার ভাবে গঙ্গাধর অনেক কথা অকুমান করিতে পারিল। কেবল স্বাগতার পূর্বপরিচয় সম্বন্ধে হরিনাথ কোন কথা লিখে নাই। সাক্ষাতে গঙ্গাধরকে কোন বিশেষ সংবাদ জানাইবে এইমাত্র ইঙ্গিত ছিল । গঙ্গাধরের পত্ৰ পাইয়া কলিকাতায় যাইবার পূৰ্ব্বে বনবিহারী একবার ত্ৰিলোচনের সঙ্গে দেখা করিতে গিয়াছিল। শ্যামাচরণের সঙ্গে দেগা হইয়া পৰ্য্যন্ত ত্রিলোচনের মহা আতঙ্ক হইয়াছিল। তাহার ধ্রুব বিশ্বাস হইয়াছিল বনবিহারী কোন কথা তাহার নিকট হইতে গোপন করিতেছে। বনবিহারী আসিতেই তিনি যাহা মুখে আসিল তাহাই বলিয় তাহাকে ভৎসন করিলেন। বনবিহারী তখন রাগ সামলাইল । সে বুঝিল শ্যামাচরণ কোনমতে ত্রিলোচনের সঙ্গে দেখা করিয়া তাহাকে কিছু বলিয়া থাকিবে । ত্রিলোচন বলিলেন, তুমি আমার কাছ থেকে কাড়ির্কড়ি টাকা নাও আর আমার কাছ থেকে কথা লুকোও ? —কি কথা লুকিয়েচি ? —তুমি বলেচ দুজনের একজন বেঁচে আছে। —বেঁচে থাকলে কি সে এতদিন চুপ করে থাকত, না আপনি কিছু জানতে পারতেন না ? কথাটা সঙ্গত হইলেও ত্ৰিলোচন কানে তুলিলেন না। রাগিয়া বলিলেন, তুমি যা পেয়েচ পেয়েচ, আমার কাছ থেকে আর কিছু পাবে না। –এই আপনার শেষ কথা ? —আবার কি ? সেদিন যে পাচ শো টাকা নিয়ে গেলে কি হ’ল ? —খবর আপনি শীঘ্ৰ পাবেন। তাদের বাড়ির ঠিকানা পেয়েচি। —যখন খবর নিয়ে আসবে তখনকার কথা । কানাইয়ের বাড়িতে গিয়া বনবিহারী দেখিল গঙ্গাধর বসিয়া আছে। কৌতুক করিয়া বলিল, ক্ষেত্রনাথ যে খোদ বলে! আদার ব্যাপারী জাহাজেরও খবর রাখে বুঝলে কি-না? গঙ্গাধর বলিল, আজকাল ষে সময় পড়েচে তা রাখতে झ्म्न बहेकि !