পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহায়ণ —অত ব্যস্ত কেন ? অার একটা কথা আছে। সোনাপুরে রাত্রে কতকগুলা লোক আমাদের দরজা ভেঙে আমাদের ঘরে ঢুকেছিল, জান ? दनविशन्नैौ cशन षांकांनं श्रेष्ठ भफ़िल। अऊास्त्र বিশ্বয়ের ভাণ করিয়া কহিল, আমি কেমন ক’রে জানব ? তোমাদের সঙ্গে দেখা হবার পরেই ত আমি চলে গেলাম, তার পর আর আমি সোনাপুর ঘাই নি । সত্যি বলচি, বুঝলে কি-না ? গঙ্গাধর বলিল, জন-দশ বার লোক ছিল তাদের দু-তিন জনের একটু লেগেছিল, না পালালে আরও লাগত। ষে কাজে আমরা হাত দিয়েচি তাতে কিছু ভয় আছে আমরা জানি । কিন্তু যারা আমাদের সঙ্গে লাগবে তাদেরও ভয় আছে সেই কথাটা তোমাকে জানিয়ে রাখচি । যট ত্রিংশ পরিচ্ছেদ কামিনী গ্রামের রাত্রি শহরের অপেক্ষ অধিক অন্ধকার, কারণ পথে আলোক নাই, বেশী দোকান-পসার নাই, থিয়েটার সিনেমা নাই, চৌরাস্তায় লোকের জনতা নাই। সন্ধ্যা হইলেই যে যাহার গৃহে প্রবেশ করে, চারিদিকে সাড়াশব্দ থাকে না, অল্প রাত্রেই নিশুতি হয় । জাগিয়া থাকে নিশাচর পশুপক্ষী, থাকিয়া থাকিয়া শৃগালের কোলাহল, বৃক্ষপত্রে বাহুড়ের পক্ষধুনন, গৃহের প্রাচীরে অথবা বৃক্ষশাখায় পেচকের কর্কশ রব, কখন কখন গ্রামের কুঙ্কুরের ডাক। কোথাও বঁাশবন, চারিদিকে নিসিন, বাগভেরেগু, আশস্তাওড়ার জঙ্গল, আর স্থানে স্থানে উন্নতশীর্ষ, ছায়াবহুল অশ্বথ, বট প্রভৃতি তরুরাজ। স্ববর্ণপুরের এক পাশে একখানি ছোট, মেটে, খটখটে বাড়ি। দিনের বেলা হইলে দেখা যাইত ঘরের বাহিরে দেয়ালে গৈরিক ও সিন্মুর দিয়া ঠাকুর-দেবতার ইন্টারখানা ছবি আঁকা আছে। বাড়ির সম্মুখে ছোট বাগান, তাহাতে ফুলগাছ, লাউ কুমড়া লতা। রাত্রি প্রায় দশটা হইবে এমন সময় বাহির হইতে কে সাবধানে স্বাগজ ఫి(t দরজার শিকল নাড়িল। ভিতর হইতে নারীকণ্ঠে আমনি কে বলিল কেও ? যে শিকল নাড়িয়াছিল সে চাপা গলায় উত্তর দিল, দোর খুললেই চিনতে পারবে। ভিতর হইতে উত্তর আসিল, রোসে, পিঙ্গীম জালি। প্রদীপ জালিয়া রমণী দরজার হুড়ক খুলিল। দরঞ্জ ঠেলিয়া ত্ৰিলোচন ঘরে প্রবেশ করিয়া ভিতর হইতে দ্বার বন্ধ করিলেন। স্ত্রীলোকের বয়স চল্লিশ বৎসর হইবে, উজ্জল হামবর্ণ মুখ স্বত্র, আয়ত আকৃতি। প্রথম যৌবনে হয়ত তম্বী ছিল, কিন্তু এখন দেহ কিছু স্কুল। ত্ৰিলোচনকে দেখিয়া বলিল, কি ভাগ্যি! আজি কার মুখ দেখে উঠেছিলাম! এদিকে আজ যে বড় পথ ভুলে এসেচ ? ঘরে তক্তপোষে বিছানা পাতা ছিল, ত্ৰিলোচন তাহার উপর উপবেশন করিয়া কহিলেন, একটা কাজে এসেচি। তোমাকে ত ভুলি নি, কিন্তু এখন বয়স হতে চলল, ছেলেমেয়ে বড় হয়েচে, গামেও একটু মানসন্ত্রম হয়েছে, কাজেই একটু সাবধানে থাকতে হয়। রমণী চোক ঘুরাইয়া বলিল, অত কথা না ব’লে পষ্ট করে কেন বল না আমি বুড়ে হয়েচি তাই আর মনে ধরে না । 靈 —বুড়ে আবার কোন খালটা হ’লে ? দেখ, কামিনী, তোমাকে একটা কাজ করতে হবে, সে কাজ আর কাউকে দিয়ে হবে না, আর তোমাকে আমি যতটা বিশ্বাস করি আর কাউকে তত করি নে। কামিনী বলিল, সে আমার ভাগ্যি! আমাকে দিয়ে আবার কি কাজ হবে, আমি কি তোমাদের জমিদারীর কিছু বুঝি ? —সে কাজের জন্ত অনেক লোক আছে, আর সে মেয়েমানুষের কাজ নয়। এ কাজ তোমাৰুে ছাড়া আর কাউকে দিয়ে হবে না, আর তোমাকে দিয়ে কোন কথা প্রকাশ হবে না তাও আমি জানি । কামিনীর কৌতুহল হইল, বলিল, কাজটা কি শুনি। —আমার কাছে বলে, বলচি ৷ . কামিনী ত্ৰিলোচনের পাশে বসিল । ত্ৰিলোচন