পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSు S99āు তাহার হাতের উপর হাত রাখিয়া বলিলেন, তোমাকে একবার কলকেতায় যেতে হবে। কামিনী আশ্চর্ষ্য হইয়া বলিল, কলকেতায় আমি কি করতে যাব ? সেখানে আমি কোথায় থাকব ? —সে ব্যবস্থা আমি করব। আমিও যাব। তাহার পর ত্রিলোচন মৃদুস্বরে কামিনীর কানে কানে অনেক কথা বলিলেন । সকল কথা শুনিয়া কামিনী কহিল, বেশ ত, আমি কালই যাব। —আমিও সেই গাড়ীতে যাব। কলকেতায় তোমার থাকব, কিন্তু তোমার সঙ্গে সৰ্ব্বদা দেখা হবে । এখন এই পথখরচের ত্রিশ টাকা নাও, কলকেতায় আরও টাকা দেব । ত্ৰিলোচন উঠিলেন, কামিনী তাহার হাত ধরিয়া বলিল, আর একটু বসবে না ? —না, এখন যাই, রাত হয়েচে । আমায় না দেখতে পেলে বাড়িতে খোজ করবে। কামিনী মুখ বাকা করিয়া, লোল কটাক্ষ হানিয়া কহিল, এর আগে ত খোজ পড়ত না। এখন যে জন্ত বাসা ঠিক করা আছে, আমি আর এক জায়গায় দেওয়ানজী ! ক্রমশঃ পথহারা শ্ৰীসৌরীন্দ্রমোহন দে উচ্ছ্বল যৌবন-সিন্ধু কোনৃপথে ডাকিছে আমারে চারিদিকে কুঞ্জটিকা চক্ষে লাগে প্রহেলিকা সম দিয়ে হাতছানি, নিম্পন্দ তিমির, কা’র তরে যাত্রী মম কেন সে গো ডাকে বারে বারে ভৈরবের নৃত্যছন্দে কি পুলকে নাচে প্রাণ মম নাহি তাহ জানি । অপ্রাস্ত অস্থির । কালবৈশাখীর রাতে যৌবনের জয়ধ্বজ তুলি পরিপূর্ণ জীবনের আস্বাদন পেতে চাও আঞ্জ দুরূহ দুৰ্গম পথে যাত্রা মম ঝঙ্কাবাত ভুলি নিঃশেষে শুষিয়া লবে যৌবনের বর্ণ-গন্ধ-সাজ সম্মুখে দুস্তর সিন্ধু পশ্চাতে ভীষণ অরণ্যানী প্রণয়ের শতদল না ফুটিতে ছিন্নভিন্ন করি শ্বসিছে কেবল— লুটাবে ধরায় – অগ্নিপরীক্ষার মাঝে কে তুমি একাকী মোরে আনি অগ্নিদেব সাক্ষী করি তব মন্ত্ৰ লইয়াছি বরি কেড়ে নিলে বল । জীবন-উষায় ! যে পথে চলিতেছিন্থ সেই পথ ভুলায়েছ মোরে রক্তচন্দনের ফোট পরায়েছ তুমি মোর ভালে পরীক্ষার তরে, भूछझ् ब्रांनिया, বরণ করেছ মোরে আমারাতে রক্তজবা ডোরে দিয়েছ যে জয়টাকা মুছিবে না তাহা কোনোকালে অর্ঘ্যডাল ভরে । নব-অরুণিমা । নিমেষে উত্তাল হয়ে যেই সিন্ধু পদতলে লোটে পথভ্রান্ত করি মোরে সন্ন্যাসীর বেশ দিলে ধরি তাহারি আবর্তমাঝে মৃত্যু মম পুষ্প হয়ে ফোটে অনিমেষ নেত্রে আমি তব দান লইছ যে বরি নিমেষে আমার চক্ষে অমুন্দর স্বনারের বেশে দুৰ্য্যোগ করেছি সার্থী—কালরাত্রে যাই অভিসারে রূপ ধরে আসে, প্রণয়িণী-কাছে— অশিব সে শিব হয়ে উন্মাদিনী রূপে এলোকেশে পথভ্রান্ত যাত্রী আমি চলিয়াছি কোন পারাবারে সিন্ধুমাঝে ভালে। উদার আকাশে।