পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S99ఉు ‘উপশম’ বা কৰ্ম্মনিবৃত্তি, তিলকের মতে ‘যোগসিদ্ধি’। শ্ৰীকৃষ্ণ এই অধ্যায়ে পাতঞ্জল যোগের অবতারণা করিয়াছেন, অতএব পাতঞ্জল যোগ শাস্ত্রেই এই দুই শব্দের যথার্থ অর্থ পাওয়া যাইবে । পাতঞ্জল সুত্রের ভাষ্যকার ও টীকাকারদের মতে যোগসিদ্ধিকামী সাধকদিগকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা—(১) আরুরুফু, (২) যুজ্ঞান এবং (৩) যোগারূঢ়। ‘আকুরুক্ষু সাধক যোগমার্গ আবলম্বনে ইচ্ছুক হইয়া সাধনার নিম্নস্তরে আছেন ; ধ্যান ও সমাধির জন্ত তিনি চেষ্টা করিতেছেন, কিন্তু এ সকল তাহার আয়ত্তে এখনও আসে নাই। যুঞ্জান সাধক মধ্যমাধিকারী ; তিনি মোক্ষকামী হইয় যোগসাধনার দ্বারা ভগবানে মনোনিবেশের চেষ্টা করিতেছেন। ‘যোগান্ধঢ় সাধকের উচ্চাধিকারী। পূৰ্ব্বজন্মেই তাহদের যৌগিক সাধনাগুলি আয়ত্ত থাকায় তাহারা একেবারেই সৰ্ব্বোচ্চ সাধনায় রত হইতে পারেন। (মহামহোপাধ্যায় শ্ৰীযুক্ত গঙ্গানাথ ঝা প্রণীত ইংরেজী যোগদর্শনের উপক্রমণিকা দ্রষ্টব্য। ) গীতায় যোগ মার্গের সাধকদিগকে উচ্চ ও নিম্ন অধিকার হিসাবে মাত্র দুই ভাগে ভাগ করা হইয়াছে। গীতোক্ত ‘আরুরুস্কৃ', ‘যোগারূঢ় এই দুইটি শব্দ পারিভাষিক শব্দ এবং যথাক্রমে নিম্ন ও উচ্চাধিকারী সাধক বুঝাইতেছে। ‘যোগারূঢ় মানে যোগসিদ্ধ নহে । যোগান্ধঢ়ের সিদ্ধাবস্থাপ্রাপ্তির চেষ্টা আছে কিন্তু তিনি পূর্ণ সাফল্য লাভ করেন নাই সে জন্তু এখনও তাহার সাধনার আবশ্যকতা আছে। গীতায় যোগসিদ্ধকে “যুক্ত' বলা হইয়াছে (৬৮ ) । পাতঞ্জল শাস্ত্রে অধিকারভেদে তিন প্রকার সাধকের ভিন্ন ভিন্ন সাধনার উল্লেখ আছে। নিম্নাধিকারী অর্থাৎ আরুরুস্কুর সাধন পাতঞ্জল সুত্রের দ্বিতীয় পাদের ২৯ শ্লোকে উক্ত হইয়াছে। १५l-{ > ) यय, (२) निश्चय, (७) त्रानन, (8) थां*ांभ्रांभ, ( e ) প্রত্যাহার, ( ৬ ) ধারণা, ( ৭ ) ধ্যান ও ( ৮ ) সমাধি। প্রথমাবস্থার মূল সাধনাগুলি প্রধানত কৰ্ম্মময়, এই জন্তই গীতায় বলা হইল “আরুরুস্কুর’ কৰ্ম্মই সাধনা। পাতঞ্জল স্বত্রের দ্বিতীয় পাদের প্রথম স্বত্রে যুদ্ধান সাধকের অর্থাৎ মধ্যমাধিকারীর সাধনা উল্লিখিত হইয়াছে, যথা— তপঃ স্বাধ্যায়েশ্বরপ্রণিধাননি ক্রিয়াযোগঃ অর্থাৎ তপ, অধ্যয়ন ও ঈশ্বরপ্রণিধানরূপ ক্রিয়াই মধ্যমাধিকারী S LLLTuAS BBB BB eeBBB BBS I যোগাবলম্বীর সাধনা। অতএব যোগশাস্ত্রেও নিম্ন ও মধ্যমাাধিকারীর সাধনাকে কৰ্ম্মপ্রধান বলা হইয়াছে। গীতায় আরুরুন্ধু শব্দে এই দুই প্রকার সাধকই বুঝাইতেছে। ব্ৰহ্মজ্ঞানকে দূরস্থ গন্তব্যস্থান ও পাতঞ্জলযোগকে অশ্বের সহিত তুলনা করিলে বলা যায় যে, ‘আকুরুস্থ সাধক ব্ৰহ্মপুরে যাইবার অভিলাষে অশ্বারোহণে ইচ্ছুক হইয়াছেন মাত্র, এখনও তিনি অশ্ব সংগ্ৰহ করিয়া উঠিতে পারেন নাই ; “যুঞ্জান সাধক অশ্ব সংগ্ৰহ করিয়াছেন অর্থাৎ অশ্বযুক্ত হইয়াছেন, কিন্তু এখনও অশ্বারোহণে সক্ষম হন নাই , ‘যোগারূঢ়’ সাধক অশ্বে আরোহণ করিয়াছেন মাত্র, কিন্তু এখনও তিনি ব্ৰহ্মপুরে পৌঁছান নাই। যুক্ত সাধক ব্ৰহ্মপুরে পৌঁছিয়া ব্রহ্মের সহিত যুক্ত বা মিলিত হইয়াছেন। যোগারূঢ়ের সাধনা পাতঞ্জলস্থত্রের প্রথম পাদে ১২ হইতে ১৬ সূত্রে বর্ণিত হইয়াছে, যথা— অভ্যাস ও বৈরাগ্যের দ্বারা সমুদয় চিত্তবৃত্তি নিরুদ্ধ হয়। চিত্তস্থৈৰ্য্যের জন্য যত্বের নাম ‘অভ্যাস', বহুকাল শ্রদ্ধা সহকারে অস্থষ্ঠিত হইলে এই অভ্যাস দৃঢ় হয়। দৃষ্ট ও শ্রত বিষয়ে নিস্পৃহতার নাম বশীকার বৈরাগ্য । ইহা হইতে পর-বৈরাগ্য বা প্রকৃতির গুণত্রয়ের প্রতি বিতৃষ্ণ আসে ; ইহাই যোগের অসাধারণ উপকরণ। পাতঞ্জল শাস্ত্রে ১।৩৩ হইতে ৩৯ স্বত্রে চিত্তস্বৈর্ষ্যের জন্য উপায় নির্দিষ্ট হইয়াছে, যথা—মৈত্রী, করুণ, মুদিত, উপেক্ষা অর্থাৎ পরের মুখ, দুঃখ, পুণ্য ও পাপে যথাক্রমে স্বর্থী, দয়ালু, আনন্দিত ও উদাসীন হইবার চেষ্টা, প্রাণায়াম, শরীরের বিশেষ বিশেষ স্থানে ধারণা ও ধ্যান দ্বারা অতীন্দ্রিয় বিষয়ানুভূতির চেষ্টা, ধান দ্বার। বিশোকা বা জ্যোতিষ্মতী নামক শান্তিপূর্ণ আনন্দময় অবস্থা প্রাপ্তির চেষ্টা, অপর বৈরাগ্যযুক্ত ব্যক্তির মানসিক অবস্থা কল্পনা ও ধ্যান, স্বপ্রাবস্থা বা নিদ্রাবস্থার ধ্যান অথবা যে-কোন প্রিয়বস্তুর ধ্যান। এই সমস্ত উপায় দ্বারা চিত্তস্থৈধ্য আয়ত্ত হয়। চিত্তস্বৈর্ধাই যোগারূঢ়ের সাধনা, এজন্ত গীতায় শম’ অর্থাৎ মনের স্থিরতাকে যোগান্ধঢ়ের সাধনা বলা হইয়াছে। শম মানে উপশম বা কৰ্ম্মনিবৃত্তি বা যোগসিদ্ধি নহে। গীতায় ગ૭ cઃ રTજૈૌષ્ઠ ૭૦ાઇ, s>ાર8 ૭ નઇર cઃ শম কথার উল্লেখ আছে ; শঙ্করও এই সকল শ্লোকে


===--.-.-- نی -