পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

는 P8 S99ళేు ৬৩০—“যিনি আমাকে সৰ্ব্বত্র দর্শন করেন এবং সমস্ত আমাতেই দেখেন আমি তাহার কাছে নষ্ট হই না অর্থাৎ লুপ্ত হই না এবং তিনি আমার কাছে নষ্ট হন না বা লুপ্ত হন না ” ৬।৩১–“যিনি একত্বে স্থিত হইয়া অর্থাৎ সমস্তই এক এই অনুভব করিয়া সৰ্ব্বভুতস্থিত আমাকে ভজন করেন অর্থাৎ সৰ্ব্বত্রই একমাত্র ব্রহ্মদর্শন করেন তিনি যে অবস্থাতে থাকুন না কেন আমাতেই বর্তমান থাকেন * ৬৩২–“হে অৰ্জ্জুন, যিনি আত্মাকে উপমা মানিয়া অর্থাৎ আত্মার নির্লিপ্ততা মনে রাখিয়া মুখ বা দুঃখকে সৰ্ব্বত্র সমজ্ঞান করেন তিনি পরমযোগী বলিয়া বিবেচিত হন।” শঙ্কর এই শ্লোকের অন্যপ্রকার ব্যাখ্যা করেন, যথা –‘যিনি সকলের স্থখ-দুঃখ আপনার বলিয়৷ গণ্য করেন এবং কাহারও প্রতিকূলতাচরণ করেন না তিনিই শ্রেষ্ঠ যোগী। পরের সুখে স্বর্থী হইলে এবং পরের দুঃখ আপনার দুঃখ মনে করিলে যোগার নিলিপ্ততা থাকে না । সৰ্ব্বভূতে যোগী আপনাকে দেখেন বলিয়া তাহাদের স্বর্থ-দুঃখ ভোগ করেন এমন নহে, তিনি রন্ধবৎ নির্লিপ্তই থাকেন। ৬৩৩-৩৪—অর্জুন বলিলেন—“হে কৃষ্ণ, এই যে সাম্যবুদ্ধি দ্বারা যোগপ্রাপ্তির উপায় তুমি বলিলে এই অবস্থা চঞ্চল সেজন্ত ইহার স্থির স্থিতির সম্ভাবনা দেখিতেছি না। হে কৃষ্ণ, মন স্বতঃই চঞ্চল, বিক্ষোভকর প্রবল ও দৃঢ় অর্থাৎ অ-নমনীয়। আমি সেই মনের ষো মাং পণ্ঠতি সৰ্ব্বত্ৰ সৰ্ব্বঞ্চ ময়ি পঙ্কতি । তস্তাহং ন প্রশস্তামি স চ মে ল প্রশগুতি ॥ ৩• সৰ্ব্বভুতস্থিতং যে মাং ভজতোকত্বমান্বিতঃ। সৰ্ব্বথা বৰ্ত্তমানোহপি স যোগী মল্লি বৰ্ত্ততে ॥ ৩১ জাগ্নৌপম্যেন সৰ্ব্বত্র সমং পগুতি যোহর্জন। মুখং বা যদি বা দুঃখংসযোগী পরমে৷ মত ॥ ৩২ অৰ্জুন উবাচ— যোহরং যোগত্বর প্রোক্ত: সামোন মধুসূদন। এতন্ত্যহং ন পস্তামি চঞ্চলত্বাৎ স্থিতিং স্কিয়াম ॥ ৩৪ চঞ্চলং হি মনঃ কৃষ্ণ প্রমাধি বলবদ্ধৃঢ়ম্। पठछांश् नियंश् बtछ बां८ब्रांद्रिव छछूकब्रन् ॥ ७s নিগ্রহ বা নিরোধ বায়ুকে নিরোধ করার স্তায় স্বছন্ধর মনে করি।” অৰ্জুনের প্রশ্নের উদ্বেগু এই যে, সমাধি অবস্থায় মনের সংযম সম্ভব হইলেও সাধারণ কাৰ্য্যকালে তাহা স্থায়ী হইবার সম্ভাবনা নাই অতএব কৃষ্ণ পূৰ্ব্বে যে বলিলেন সৰ্ব্বাবস্থায় যোগী ব্ৰক্ষে অবস্থান করেন তাহা কিরূপে হইতে পারে। ৬৩৫-৩৬—শ্ৰীভগবান বলিলেন—“হে মহাবাহো, মন যে চঞ্চল ও দুৰ্দ্ধমনীয় জাঙ্গ নিংসন্দেহ, কিন্তু হে কৌন্তেয়, অভ্যাস ও বৈরাগ্য দ্বারা মনকে বশে আনা যায়। অসংযত চিত্ত ব্যক্তির ধোগ দুষ্পাপ্য ইহা আমার মত, কিন্তু যথাবিধানে যত্নশীল আত্মজয়ী পুরুষের ইহা লভ্য ।” অভ্যাস ও বৈরাগ্য এই দুইটি পাতঞ্জল সূত্রোক্ত i ১ ২ ) পারিভাষিক শবদ । চিত্তস্থৈধ্যের জন্য যত্নের নাম অভ্যাস। প্রকৃতির গুণত্রয়ের প্রতি বিতৃষ্ণাই প্রকৃত বৈরাগ্য ৷ ৬৩ শ্লোকের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য । ৬৩৭-৩৯—অর্জন বলিলেন—“হে কৃষ্ণ, শ্রদ্ধাসহকারে যোগাভ্যাস আরম্ভ করিয়া যোগ হইতে বিচলিত মানস অযতি অর্থাং যোগভ্ৰষ্ট ব্যক্তি যোগসিদ্ধিতে বঞ্চিত হইয়া কোন গতি প্রাপ্ত হয় ? হে মহাবাহো, উভয় বিভ্রষ্ট অর্থাৎ ইহলোক ও পরোলোকে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়া বিচ্ছিন্ন মেঘখণ্ডের ন্যায় প্রতিষ্ঠাহীন অর্থাৎ আক্ৰয়হীন সেই বিমূঢ় ব্যক্তি কি ব্ৰহ্মলাভের মধ্যপথেই নষ্ট হয় না? হে কৃষ্ণ, তুমিই আমার এই সংশয় নিঃশেষে দুর করিয়া দাও, কারণ তুমি ভিন্ন এই সংশয় নিরাকরণের উপযুক্ত অপর ব্যক্তি দেখিতেছি না।” সাধারণের মনে শ্ৰীভগবানুবাচ– অসংশয়ং মহাবাহো মনে দুনিগ্ৰহং চল। অভ্যাসেন তু কৌন্তেয় বৈরাগ্যেণ চ গৃহতে ॥ ৩৪ অসংযতায়না যোগো ছুঙ্গাপ ইতি মে মতিঃ । ৰপ্তাল্পনা তু যততা শক্যোইবাপ্তযুগান্ধতঃ ॥ ৩৬ অর্জুন উবাচ-- অষভিঃ শ্রদ্ধয়োগেতো যোগাচ্চলিত মানসঃ। অপ্রাপ্য যোগসংসিদ্ধিং কাংগতিং কৃষ্ণ গচ্ছতি ॥ ৩৭ कक्रियब्रॉडब्रदिबहेनिश्त्रांबभिष बश्चखि । অপ্রতিঠে। মহাৰাছে বিমূঢ়ে৷ ব্ৰক্ষণঃপখি। ৩৮ এতয়ে সংশয়ং কৃষ্ণ ছেত্তুমৰ্হস্তশেষতঃ। স্বদন্তঃ সংশয়স্তান্ত ছেত্তা ন ছাপপদ্যতে ॥ ৬১