আগ্রহায়ণ পঞ্চায়ভের বিচার $ oጫ মোড়ল শুামবিহারীর দিকে তাকাইয়া বলিলেন— কিহে শুামবিহারী, তুমি অনাথের কাছে ছাগল বেচেছিলে ? শুামবিহারী ৷ ই্যা কৰ্ত্তা । মোড়ল। কতদিন আগে ? শু্যামবিহারী । অকুমান ছু-মাস আগে । মোড়ল । এই ছাগলই তুমি বেচেছিলে ? হ্যামবিহারী। আজ্ঞে কৰ্ত্তা, তার সবটাই কাল রং ছিল । কানের কাছে ও রকম সাদা ছিল না। উপস্থিত সকলেই ভাবিল, গেল বুঝি মামলা এইখানে ফাসিয়া। আসামীর নিজের সাক্ষীই বুঝি আসামীকে ফাসায় । মোড়ল বলিলেন–কিহে অনাথ, এবারে তোমার কি বলবার আছে ? অনাথ । আজ্ঞে দেবতা, আমার ছোট ছেলেট রাতদিন ওটার পেছনে লেগেই আছে। সৰ্ব্বদাই কান ছুটে ধরে টেনে হেঁচড়ে সারা বাড়িময় ঘুরিয়ে বেড়ায়। তাইতে ঘসা লেগে লেগে কান দুটো ও রকম সাদা হয়ে C例〔豆 1 এ অদ্ভুত কথা শুনিয়া সভাময় একটা হাসির গৰ্বর উঠিল । মোড়ল হাসিয়া বলিলেন—ওহে অনাথ, তুমি কি আমাদের বোকা বোঝাচ্ছ ? কালো রং কি কখনও সাদা হয় ? বলে ‘অঙ্গারং শত ধৌতেনাপি মলিনত্বং ন মুঞ্চতি। অর্থাৎ কিনা, অঙ্গর তুমি যতই কেন ধোও না, ও কালোই থাকবে। অনাথ জিভ কাটিয়া বলিল—আজ্ঞে দেবতা, আমি আপনাদিগকে বোকা বোঝাব! আমার ঘাড়ে কট মাথা ? ঐ ষে শাস্ত্রের কথা বললেন অক্ষার ধুলেও সাদা হয় না সে তো ঠিক কথা। দেবতাদের তৈরি শাস্ত্রবাকি কি মিথ্যে হবার জো আছে ? তবে কি-না দেবতা, এটা তো অজারের কথা হচ্ছে না। এ হচ্ছে ছাগলের গায়ের লোমের কথা। আর এ যে শুধু আমার ছাগলের বেলায় হয় তা নয়। সিমলের যে সব কালো ভেড়ার १ग्ilपभ शबष बगंश्चाङ्घ्रि हैडिङ्घ्रि इव उबि चवक्षि ब्र६ जीा। इट्झ ** I चांभां८षञ्च ८शकैटलांकद्वषद्ध कषष्ट्रि विचाग ना ह्यग्न দেবতা, ঐ অনিল মুখুজ্জ্যে মশায়কে জিজ্ঞেস করুন, ওঁর গায়ে ঐ যে সাদা মত গরম জামা দেখছেন ওটা আগে কালো ছিল কিনা ৷ কথাটায় সকলেই একটু বিস্মিত হইল। পশমের তৈয়ারি গরম কাপড়ের রং ওঠে এটা সকলের কাছেই নূতন কথা । মোড়ল জিজ্ঞাসা করিলেন—কি হে মুখুজ্যের পো, ব্যাপারটা কি বল দেখি ? অনিল মুখুজা বলিল-আজ্ঞে, অনাথ ঠিক কথাই বলেছে । তিন বছর আগে যখন আমার এ জামাটা তৈরি করাই তখন কাপড়টার রং কালোই ছিল। ষে দেখত সে-ই একবার ক’রে ঐ কাপড়টার তারিফ করত । কিন্তু এখন রং উঠে গিয়ে এই তো জামার অবস্থা দাড়িয়েছে। অনাথ বলিল—দেবতা, শুধু যে ছাগল-ভেড়ারই গায়ের রং বদলায় তা নয়। মানুষেরও গায়ের কালো রং ফরসা হয় । মোড়ল হাসিয়া বলিলেন—ই্যা, তা হয় বইকি ! লোকে যখন রোগে ভুগে ভুগে শিটে হয় তখন গায়ে রক্ত না থাকাতে তাকে অনেকটা ফরসা দেখায় বটে । অনাথ বলিল—আজ্ঞে দেবতা, আমি সে রকম ফরসার কথা বলছি না। স্বস্থ শরীরেই প্রক্রিয় দ্বারা কালো রং ফরসা হয় সে কথাই বলছি । মোড়ল এই অদ্ভূত ধরণের কথা শুনিয়া অত্যন্ত উংস্থক চিত্তে প্রশ্ন করিলেন—সে কি হে অনাথ ? প্রক্রিয়া দ্বারা মামুষের গায়ের রং ফরসা হয় তার প্রমাণ দিতে পার ? শুনিলাম মোড়লের একটি বিবাহযোগ্য মেয়ে আছে। অনেক বরপক্ষ মেয়ে দেখিতে আসিয়া প্রধানত গায়ের রঙের জন্যই অপছন্দ করিয়া যাইত। তাই তাহার এই ঐকাত্তিক ঔৎস্থক্য । অনাথ বলিল—আজ্ঞে দেবতা, পারি বইকি ? এর প্রমাণ জলজ্যাস্ত আপনার সামনেই উপস্থিত। ঐ যে ঐ কোণে অমূল্যের মা বলে আছে তাকেই জিজ্ঞাসা করুন তার পাশের ঐ ফরসা মেয়েটির কথা, কি রকম কালো ছিল ঐ মেয়েটি ওর জন্মের সময়ে। আর দেখুন এখন কি রকম ফরসা হয়েছে।
পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।