পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৪ 卯 মুখুজ্জ্যে, অমূল্যর মা, এমন কি, ভাগবতঃস্থ-মশায় পৰ্য্যন্ত তার পক্ষের সাক্ষী । ভাগবতরত্ন-মশায়কে তো সাক্ষী শিরোমণি বললেই চলে । তিনি আজ সাক্ষ্য দিতে এসে যা শোনালেন তা অমূল্য। এই সব সাক্ষীর সাক্ষাতে এই প্রমাণিত হয় যে, ছাগলের গায়ের লোমের রং বদলাতে পারে। বিশেষত ছাগলের কানের কালো লোম আগে সাদা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এর কারণও স্বম্পষ্ট। আমাদের মানুষদের বেলায় মস্তিষ্কের অর্থাৎ মাথার ওপর দিয়েই বেশী চোট যায়। তাই গায়ের লোম আগে না পেকে মাথার চুলই আগে পাকে। কিন্তু ছাগজাতির মস্তিষ্কের বালাই নেই। তাদের বেলায় কানের ওপর দিয়েই বেশী চোট যায়। তাই তাদের বেলায় কানের লোম প্রথমে সাদা হওয়া স্বাভাবিক। বিশেষত এই ছাগলের কানের উপর দিয়ে যথেষ্টই চোট গেছে, তা বিবাদীর সাক্ষাতেই প্রকাশ। অতএব আমার মতে অনাথই ছাগলের প্রকৃত মালিক-জীবন নয়। আর জীবন অনাথের নামে মিথ্যা মামলা এনেছে ব'লে তার পাচ টাকা জরিমান হওয়া উচিত এবং এই টাক ভাগবতরত্ন-মশায় যে এভক্ষণ অবধি কষ্ট স্বীকার ক’রে মে S99āు আমাদিগকে এমন মধুমাখা নামগান শোনালেন তঙ্ক র্তীকে পারিশ্রমিকস্বরূপ দেওয়া উচিত । মোড়লের কথা শেষ হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত চারিজন বিচারক এমন ভাবে কণ্ঠ মিলাইয়া "আমারও সেই মত বাক্যটি উচ্চারণ করিলেন যে, কোনও পেশাদার ষত্রিীদলে রাজ-দরবারের সভাসদবর্গের অভিনয়কারী ব্যক্তিগণও বহুস্থানে বহুবার অভিনয় করিবার পরও এমন ঐকতানে বাক্যটি উচ্চারণ করিতে পারে না । পঞ্চায়ং ভাঙিয়া গেল। অনাথের মুখখানা জয়লাভের খুশীতে ভরিয়া গেল। সে মোড়ল-মশায় ও অন্ত চারিজন বিচারককে এবং কথক-ঠাকুরকে গিয়া সাষ্ট্রাঙ্গে প্রণাম করিল। এদিকে জীবনের মুখখান শুকাইয়া এতটুকু হুইয়া গেল। তাহার পক্ষে এ ধে মড়ার উপর খাড়ার ধা । ছাগল তে! গেলই উপরন্তু পাচ টাকা জরিমান । কিন্তু এদিকে কাহারও দৃষ্টি ছিল না । ভাগবতরত্ন-মহাশয়ের পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা হইল দেখিয়া দর্শকের দল মোড়লকে সাধুবাদ দিতে দিতে যে যার ঘরে ফিরিল। আমিং এই অদ্ভুত বিচারের কথা ভাবিতে ভাবিতে বাড়ির দিকে bা সলাম । t