পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ "প্রবাসী; S99షా খোদাই করিয়া নির্মিত। এই হস্তিমূৰ্ত্তি বুদ্ধদেবের প্রতিরূপ বলিয়া কেহ কেহ মনে করেন। বুদ্ধদেব হস্তিরূপে মাতৃগর্ভে প্রবেশ করিয়াছিলেন বলিয়া যে একটি কথা প্রচলিত আছে, তাহাই স্মরণ করিয়া এই হস্তিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মিত হয় বলিয়া কাহারও কাহারও মত। মূৰ্ত্তির চারি পাশে নালা কাটা দেখিয়া বোধ হয় যে, পূৰ্ব্বে ইহার মাথার উপর কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত চাঁদোয় দেওয়া হইত। এই হস্তিমূৰ্ত্তি কাহারও উপাস্য নহে, তবে বৎসরে একদিন গজানন দেবের প্রত্যর্থে ইহার মস্তকে জল সেক ও সিন্দুর লেপন করা হইয়া থাকে। হস্তিমূৰ্ত্তির দক্ষিণে পাচটি গুছাকে পঞ্চ পাণ্ডব বা পঞ্চ গোস্বামী বলা হয়, তদ্ভিন্ন অসংখ্য গুহা পৰ্ব্বতগাত্রে বিদ্যমান। তাহার অনেকগুলি ধ্বংসমুখে পতিত। কোন কোন স্থানে গৃহভিত্তির চিহ্নও আছে। হস্তিমূৰ্ত্তি হইতে পশ্চিম দিকে কিছুদূর গমন করিলে মহাদেবের একটি ক্ষুদ্র মন্দির দেখিতে পাওয়া যায়। মহাদেবের চতুষ্কোণ গৌরী পাঠটি ভাঙিয়। গিয়াছে, তথাপি মঙ্গদেবের পূজা হুইয়া থাকে। নিকটে একটি কুণ্ড পাথর দিয়া বদ্ধ। এইথান হইতে উত্তর দিকে পাহাড়ে উঠিলে পাহাড়ের সৰ্ব্বোচ্চ স্থানে একটি ভগ্ন মন্দিরের নিকট ধাওয়া যায়। এই সৰ্ব্বোচ্চ স্থানটি পাহাড়ের উত্তর ভাগেই অবস্থিত। এই ভগ্ন মন্দির মধ্যে গৌরীপীঠস্থান শিবলিঙ্গ। একটি দেবীমূৰ্ত্তিও আছে, তাহা মহিষমদিনী বলিয়াই বোধ হয়। লোকে তাহাতে চন্দন, সিপুর, ফুল, বিল্বপত্র দিয়া থাকে। এই উচ্চ পাহাড়ের পশ্চিম দিকে গণেশের মন্দির, গণেশের রীতিমত পুজা হয়, ধাত্ৰীসমাগম গু হইয় থাকে। গণেশের মন্দিরের নিকট দিয়া দয়া নদী বঙ্গিয়া ধাইতেছে । পৰ্ব্বতে দুইটি প্রকাগু গহবর আছে, একটি বন্ধ করিয়া দেওয়া হইয়াছে, অপরটির কতক দূর যাওয়া যায়, কিন্তু তাহার পথ এত সঙ্কীর্ণ ও চামচিকার মলে পরিপূর্ণ যে তাহার মধ্যে প্রবেশ করাই কঠিন। পৰ্ব্বতে কোন বৃক্ষ নাই, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বেত ও অস্তান্ত কঁাটা গাছ মধ্যে মধ্যে জন্মিয়াছে পাহাড়ের নিকটস্থ ধৌলিগ্রামে অনেক ভগ্ন গৃহাদির চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। তাহাতে বোধ হয় যে ধৌলি এককালে একটি সমৃদ্ধ নগর ছিল। এই ভগ্নস্তুপগুলি খনন করিলে অনেক পুরাতত্ত্বের আবিষ্কার হইতে পারে । ধৌলি পাহাড়ের নিকট একটি প্রকাণ্ড দীঘি অবস্থিত, তাহাকে কৌশল্য-গাঙ্গ বলে, এক্ষণে ইহা জঙ্গলে আবৃত। এই দীঘি এককালে দয়া নদীর সহিত খাল দ্বারা যুক্ত ছিল, এবং তাহা জলে পরিপূর্ণ হইত। পাল এক্ষণে পূরিয়া উঠিয়াছে, খালের উপর কতকগুলি পাথরের সাকো ছিল । দীঘির মধ্যে একটি দ্বীপ আছে, তাহাতে প্রাসাদাদির চিহ্ন দেখা যায়। গঙ্গেশ্বরদেব ও র্তাহার কন্যা কৌশল্যার নামে এই কৌশল্যা-গাঙ্গ থনিত হইয়াছিল বলিয়। কথিত হইয়া থাকে। কি হুত্রে এই দীঘি খনিত হয়, সে-সম্বন্ধে এক কুংসিত গল্প প্রচলিত আছে, রাজ ও তাহার কন্যার অবৈধ সম্বন্ধ সেই গল্পের মূল। রাজেন্দ্রলাল মিত্র খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীতে গঙ্গেশ্বরদেব কবুক কৌশল্যগাঙ্গের খনন হয় বলিয়। উল্লেখ করিয়াছেন । নগেন্দ্রনাথ বন্ধ তাঙ্গাকে চোড়গঙ্গ গঙ্গেশ্বর বলেন । কিন্তু কোন গঙ্গেশ্বরদেবের সময় ইহু। গনিত হয় তাহ। স্থির করিয়া বলা কঠিন | এইবার অমর। ধৌলি-অম্লশাসন ও ধৌলির পুরাতত্ত্ব সম্বন্ধে আলোচনার চেষ্টা করিতেছি । মৌৰ্য্য-সম্রাট প্রিয়দর্শী অশোক তাহার প্রজাবৰ্গ ও ঠাহীর রাজ্যের সন্নিহিত রাজাদের প্রজাগণের মধে। শু ধৰ্ম্মপ্রচারের জন্ত পৰ্ব্বতগাত্রে কতকগুলি বৃহৎ ও ক্ষুদ্র অনুশাসন এবং স্তম্ভগাত্রে ও গুহামধ্যে কতকগুলি অনুশাসন খোদিত করিয়াছিলেন । পৰ্ব্বতগাত্রে পোদিত বৃহত্তর অনুশাসনগুলি চৌদ্ধ দফায় লিপিত, এইজন্য ইহাদিগকে চতুৰ্দ্দশ গিরিলিপি বলিয়া অভিহিত করা হয়। এই চতুৰ্দ্দশ গিরিলিপি প্রধানতঃ ছয়টি স্থানে দেখিতে পাওয়া যায়,—যথ! (১) উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের পেশোয়ার জেলার যুমুফজাই মহকুমার শাহবাজগড়িতে, (২) উক্ত সীমান্থ প্রদেশের হাজরা জেলার মনসেরায়, (৩) যুক্ত-প্রদেশের দেরাদুন জেলার কলসীতে, (৪) কাঠিয়াবাড়ের জুনাগড় নগরের নিকটস্থ গির্ণার পর্বতে, (৫) ধৌলিতে এবং (৬) মান্দ্রাজের গঞ্জাম জেলার জৌগড়ে । এই ছয়টি ব্যতীত কয়েক বৎসর হুইল বোম্বাই প্রদেশের ঠানা