পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৬ ় প্রবাসী ; S99ēు কথা জানাইবে । আমি ঘোষণার জন্য যে-কোন মৌখিক আদেশ প্রদান করিয়া থাকি বা মহামাত্রদিগের প্রতি শীঘ্র সম্পাদা আদেশ দিয়া থাকি, তাহ অমাত্য পরিষদে কতকের বা সকলের মতবিরুদ্ধ হইলে তৎক্ষণাৎ আমাকে জানাইতে হুইবে । আমার রুত পরিশ্রম ও রাজকাৰ্য্য আমি পৰ্য্যাপ বলিয়া সন্থী নহি । সকল প্রজার কল্যাণসাধনই আমি আমার কৰ্ত্তব্য বলিয়া মনে করি । অধ্যবসায় ও কৰ্ম্ম সম্পাদনই তাহার মূল । জগতের হিতসাধন ভিন্ন মহত্তর কার্ষ্য আর কিছু নাই। আমি সকল প্রাণীর ঋণপরিশোধের জন্তু তাহাদিগের মুখ ও পরজগতে তাহাদের স্বৰ্গপ্রাপ্তির জন্য সামান্ত চেষ্টা করিয়াছি। এই ধৰ্ম্মলিপি এই উদ্দেশ্যে লিপিত হইল যে, ইহা চিরকাল অবস্থিতি করুক। আমার পুত্র, পৌত্র, প্রপৌত্ৰগণ সকল লোকের হিতের জন্য ব্যাপুত থাকুক। উদ্যমের পরাকাষ্ঠা ব্যতীত ইহা স্বসম্পন্ন করা কঠিন।* সপ্তম অনুশাসন রাজা প্রিয়দর্শী ইচ্ছা করেন যে, সৰ্ব্বত্র সকল সম্প্রদায় বাস করুক। তাহারা সকলেষ্ট সংযম ও ভাবশুদ্ধি লাভে ইচ্ছা করে। লোকেরা নানারূপ রুচি ও অন্তরাগসম্পন্ন, তাহারা সম্পূর্ণরূপে বা আংশিকভাবে ধৰ্ম্মপালন করে। যাহার সংযম, ভাবশুদ্ধি, কুভজ্ঞতা বা দৃঢ় ভক্তি নাই সে বিপুল দান করিলেও নীচ + অষ্টম অনুশাসন বহুদিন হইতে রাজারা বিহার যাত্রা করিডেন, তাহাতে মুগয়া ও অন্যান্য আমোদ-প্রমোদ হইত। দেবতাদের প্রিয় রাজা প্রিয়দর্শীর রাজ্যাভিষেকের দশম বর্ষে তিনি সম্বোধি ( বোপিতরু ) দর্শনে গমন করিয়াছিলেন। তদবধি এই পৰ্ম্মযাত্রার ব্যবস্থা। ইহাতে

  • কেহ কেহ রাজকীয় অৰ্থশালার স্থানে শৌচাগার ও অশ্বগৃষ্ঠের इोप्न जिबिकाप्द्राश्ष्ण बनिद्रा थाप्कन । मृष्ज 'वक्रनि' ७ “विनिउनि' আছে। ভাণ্ডারকর ইহাঙ্গের অর্থ অশ্বশাল ও অশ্বগৃষ্ঠ করিয়াছেন।

+ এই অনুশাসন হইতেও অশোকের সকল ধর্গের প্রতি সহানুভূতির পরিচয় পাওয়া যায়। এই সব হয়—ব্রাহ্মণ ও শ্রমণদিগের দর্শন ও দান, স্থবিরদিগের দর্শন, স্বর্ণ বিতরণ, জনপদবাসীদের দর্শন, ধৰ্ম্মান্তান ও ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসা। অন্তান্ত আমোদের স্থানে ইহাই দেবতাদিগের প্রিয় প্রিয়দর্শীর পুন:পুন: আনন্দের কারণ হইয়াছে। নবম অনুশাসন দেবতাদের প্রিয় রাজা প্রিয়দর্শী এইরূপ বলিতেছেন— আপৎকালে, পুত্র কন্যার বিবাহে, পুত্রজন্মে, প্রবাস যাত্রাকালে বা অদ্যান্ত কাঁধ্যে নানাপ্রকার মাঙ্গলিক অল্পষ্ঠান হইয়া থাকে। মহিলারাও বহুল পরিমাণে অনেক প্রকার সামান্ত ও নিরর্থক মাঙ্গলিক কাৰ্য্য করেন । মঙ্গলাল্পষ্ঠান কৰ্ত্তব্য বটে, কিন্তু ঐন্ধপ মঙ্গলাল্পষ্ঠান প্রায়ই নিষ্ফল হয়, ধৰ্ম্মমঙ্গল মহাফলপ্ৰদ । দাস ভূতাদের প্রতি সদয় ব্যবহার, গুরুজনের পূজা, প্রাণিদের প্রতি অহিংসা, ব্রাহ্মণ শ্রমশদিগকে দান প্রভৃতি সাধুকাৰ্য্য। এইরূপ অন্যান্ত কাৰ্য্যকে ধৰ্ম্মমঙ্গল বলে। পিতা পুত্র ভ্রাতা ও প্রচুর বলা উচিত যে, এই সকল কাৰ্য সাধু। অভীঃসিদ্ধি ন হওয়া পৰ্য্যস্ত এ সকল কাৰ্য্য করা উচিত। আরও বলা উচিত যে, দান করা সাধুকাধা। কিন্তু ধৰ্ম্মদান ও ধৰ্ম্মান্তগ্রহের সঙ্গিত কোন দান ও অন্ত গ্রহের তুলন। হয় না। সেই জন্য মিত্র স্বহৃদ জ্ঞাতি সহায় সকলের বল; উচিত যে, ইহা কৰ্ত্তব্য, ইহা সাধু। ইছার দ্বারা স্বর্গের আরাধনা হয়। ইহার দ্বারা স্বৰ্গলাভ হয় বলিয়৷ ইহা অপেক্ষ আর কোন শ্রেষ্ঠ কৰ্ত্তব্য নাই । দশম অনুশাসন দেবতাদের প্রিয় প্রিয়দর্শী রাজা যশ বা কীৰ্ত্তিকে মহাফলপ্রদ মনে করেন না । তাহার প্রজার ধৰ্ম্ম শ্রবণ ও ধর্ধাচরণ করুক এই উদেশ্যগ্রন্থত যশ ও कौठिंब्रहे उिनि हेक्र क८ब्रन । धिग्रनलौ ब्राखा याश-किहू অনুষ্ঠান করেন পরজগতেরই জন্ত। কিরূপ ? সকলে অল্প পরিশ্রমযুক্ত ও বিপদশূন্ত হউক। পাপই একমাত্র বিপদ। ক্ষুদ্র ও মহৎ সকলেরই পক্ষে একান্ত চেষ্টা ৪ সৰ্ব্বত্যাগ ব্যতীত নিষ্পাপত লাভ দুষ্কর।