পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুথিকা শ্ৰীমণীন্দ্রলাল বসু দরাদুনে এসেমোটরগাড়ীর ইঞ্জিন গেল বিগৃড়ে। প্রবীরের প্রশান্ত চঞ্চল অন্তরের সঙ্গে ক্রাইস্লার মোটরকারখানা এক মাসের মধ্যে ঘুরেছে অনেক কলিকাতা হতে টক, সেখান হতে রাচি, তারপর এলাহাবাদ, খাজুরাহে, iাচি, আগ্রা, দিল্লী হয়ে দেরাদুনে এসে মোটরগাড়ী আর চলতে চাইল না। প্রবীরের প্ল্যান ছিল একটা ম্ব পাড়ি দেবে, অন্তত: পেশোয়ার পর্য্যস্ত ; তারপর যদি iাড়পত্র পাওয়া যায় আফগানিস্থান পার হয়ে তুর্কিস্থানে গয়ে পৌছালে মন হবে না, সেখান থেকে মঙ্গোলিয়ায়, গাবি মরুভূমির পাশ দিয়ে। চীনপরিব্রাজকরা এক দিন ষ-পথ দিয়ে ভারতবর্ষে এসেছিলেন সত্যধর্মের সন্ধানে, অথবা যে-পথ দিয়ে নাদির তার বিছাগামী অশ্বারোহী সন্যদল নিয়ে বাহির হয়েছিলেন দিগবিজয় করতে, নরণ্ডের পাহাড় তুলে, রক্তের বঙ্গ প্রবাহিত করে-সেপথগুলির সন্ধান যদি পাওয়া যায়। মিনিটে মাইল বেগে ঘন্টার পর ঘণ্টা দিগন্তের রঙীন :াতছানিতে ভুলে নিরুদেশে ছোট, পথের পর নবপথে দশের পর দেশ পরিক্রমা—এই গতি অনুভবের তৃষ্ণ মাঝে মাঝে প্রবীর তার রক্তে অনুভব করত, তখন সে রার হয়ে পড়ত তার ক্রাইসলার কার-খানি নিয়ে। কিন্তু দেরাদুনে এসে মোটরগাড়ীর ইঞ্জিনটা গেল বগড়ে। শোফার জানালে, এ ইঞ্জিন সারাবার মত কারখানা দরাদুনে নেই। শোফার ও মোটরকার রেলে কলিকাতাতে পাঠিয়ে দিয়ে মুঙ্গেীরীর কোন হোটেলে আশ্রয় নিয়ে তার অসমাপ্ত কাব্যখানা শেষ করবে, না, দিল্লীতে নেমে আর একটা মোটরগাড়ী কিনে পেশোয়ারের দিকে পাড়ি দেবে, তুর্কিস্থানে পৌছোতে না পারলেও ইরানে হয়ত যেতে fারবে, সেখানে সিরাজের কোন ত্রাক্ষাকুঞ্জে বসে আবার হাফেজ পাঠ করা যেতে পারে—এমনি ভাবতে ভাবতে এীর তার হোটেল হতে বার হচ্ছে, পথে স্বরখের সঙ্গে দেখা। স্বরথ হচ্ছে তার আবালা বন্ধু, স্কুল কলেজের সহপাঠী –হালো প্রবীর ! তুমি এখানে ? কলিকাতায় তোমায় খুঁজেছিলুম। শুনলুম, তুমি হঠাৎ কোথায় বাইরে গেছ, ব্যাঙ্ক ছাড়া তোমার ঠিকানা কেউ জানে না। —হা, দেখ না, মোটরকারটা গেল খারাপ হয়ে। আর তুমি এখানে ? —ছোট মেয়েট রিকেটে হুগে বড় দুৰ্ব্বল, তাই চেঞ্জে এসেছি। এখানে এসে "সন্‌-কিওর" করে বেশ উপকার হচ্ছে। কিন্তু কালই বোধ হয় চলে যেতে হবে, শ্বশুর-মশাইয়ের বড় অস্থখ। আজ টেলিগ্রাম এল। গিরি ত কান্নাকাটি আরম্ভ করেছেন। বাড়িটা পেয়েছিলুম ভাল, আর এমন স্বন্দর ওয়েদার— —কোথায় বাড়িটা ? —ডালানওয়ালাতে,চল, দেশে আসবে, ওষ্ঠ টাঙ্গাতে, গিরি তোমায় দেখলে খুব খুশী হবে। দু-বন্ধু টাঙ্গাতে উঠলে টাঙ্গা ডালানওয়ালার দিকে চলল । —তুমি কিছু দিন এখানে আছ, প্রবীর } কিছু ঠিক করতে পারছি না, মোটরকারটা গেল পারাপ হয়ে । --ওই মোটরকারের ভূত তোমার ঘাড় থেকে কবে যে নামবে! শোন, আর টো টো না করে কিছুদিন এখানে বিশ্রাম কর, শরীর ত তেমন ভাল দেখাচ্ছে না। আমার বাড়িটা সেই ডিসেম্বরের শেষ পর্যাপ্ত ভাড়া নিয়েছি, এখন ত অক্টোবর মাসও শেষ হয় নি, দু’মাস এখানে তুমি বেশ থাকৃতে পারবে, স্বন্দর ওয়েদার, আমার বাড়িতে এসে शंक क्कूि नि ই্যাহে, তোমার মেয়োট কত বড় হল ? অনেকদিন দেখিনি।