পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चैरेरेरे S99ళీ> —আমার মেয়ে ছ’বছরের হ’ল, আর তুমি এখনও দিগম্ভভরা সবুজ প্রান্তর, ফুলে ছাওয়া, পাখীর গানে বিয়ে করলে না। শোন, আমার একটি শুালিকা, অষ্টাদশী, श्ञौ – —সেই জন্তেই বুঝি কলিকাতায় আমার খোজ হয়েছিল। —কথাটা ঠিকই বলেছ, গিন্নি বড় ধরেছিলেন, তার মনের সাধ তোমার সঙ্গে হয়, তোমাকে বড় পছন— ! تي —আর শালিকাটি, বুঝলে, সত্যি স্বন্দরী। তারপর গানে, সেলাইতে, গল্পে, রান্নায়, সবেতে নিপুণা, বড় মিঠে চৌধ— —দেখ, হালিকার যা গুণগান আমার কাছে করলে গিল্লির কাছে ভুলে করে না। —সে আর বলতে, সে-সব আমার জানা আছে, সংসারে স্বর্থী হবার আর্টই হচ্ছে লোক বুঝে ঠিকসময়ে ঠিকমত কথা বলা । —ই ! ডালানওয়াল ত বেশ দেখছি। এত নির্জন, এত সুন্দর, আমার ধারণা ছিল না। —জার আমাদের বাড়ী একেবারে নদীর ধারে, এই এসে পড়েছি । বন্ধুমহলে প্রবীর ছিল এক দুঞ্জেয় রহস্ত । বেটে কালো রোগা শাস্ত যুবকটিকে দেখে মনে হত না সে মোটর চালাতে বা কবিতা লিখতে পারে। মুখখানি শ্যামল, উজ্জল ; দীর্ঘ কপোল একটু শীর্ণ, ক্লাস্তির ছায়াঘন ; চোখ দু'টি বসা, কালে, তার ওপর চশমার কাচ দু’টি ঝকমক করে ; শাম্ভপ্রকৃতির এ যুবকের হৃদয়ে অন্তঃসলিলা যে নিদারুণ চাঞ্চল্য ছিল, তা মাঝে মাঝে প্রকাশ পেত যখন সে হঠাৎ মোটরগাড়ী নিয়ে বার হয়ে পড়ত। কিন্তু এ চঞ্চলতা তার অন্তর-প্রকৃতির সত্যরূপ ছিল না। সে ছিল প্রেমসৌন্দৰ্য্যময় চিরস্নিগ্ধ এক শাস্তিলোকের জন্ত তৃষিত । তার পারিপার্থিক আবেষ্টনের মধ্যে, বাস্তব সংসারে জীবনের কদৰ্য্যত, সৌন্দর্ঘ্যের অনিত্যতা, প্রেমের বিকৃতি, চারিদিকের অশাস্ত বীভৎস সংগ্রাম তাকে বেদনা দিত। তাই কল্পনায় সে শাস্তির স্বপ্ন-ছবি অঁাকত, নৰ নৰ সৌন্দৰ্য্যপ্রকাশিনী প্রকৃতিরূপে মধুর নিতানৰ মাধুৰ্য্যদায়িনী প্রিয়ার গ্রেমে স্নিগ্ধ अङ्कल ; ७ोग्न धाक टिप्न नौ बच्न झाजटश्, त्रुज्राभन्त्री, রঙ্গিণী ; হামল পুষ্পিত তীরে প্রিয়ার ভালবাসা-ম্বের শাস্তির ঘর ; দিকচক্রবাল রাঙিয়ে মেঘস্তপের মধ্যে স্থধ্য অস্ত যায়, নদীর জলে টা ঝিকিমিকি করে ; দূর বন হতে পিয়ালমুকুলের গন্ধে আকুল বাতাস এসে ওড়ায় প্রিয়ার রঙীন অঞ্চল, যখন তারা তমাল গাছের তলায় পা ছড়িয়ে বসে পাশাপাশি– অথবা, নির্জন নিস্তরঙ্গ স্ববৃহৎ হ্রদ, স্থগভীর নীল ; কে যেন কাপড় ছোপাবার জন্ত নীল রং গুলেছে ; নীল হ্রদের জলে সবুজ বনের ছায়া, তুষারঢাকা পৰ্ব্বতমালার ছায়া, যেন তার হ্রদের নীল চোখের দিকে মুগ্ধ হয়ে অনিমেষে চেয়ে আছে উজ্জল আলোভরা নীলাকাশ ; শুভ্ৰ মেঘের পুঞ্জ। এই আকাশ, আলো পাহাড়ের রজতকাস্তি, পাইনবনের সবুজ, হ্রদের নীল, জলস্থলের মায় মূৰ্ত্তিমতী হয়ে বসেছে তার ধীরগামী তরীতে, নীল শাড়ী-পরা নারী তার সবুজ রঙের তরীতে, ছোট তরী, মুখোমুখি দু-জনে বলে ; স্বন্দরী তার ঘনকালো কেশ এলিয়ে দিয়েছে ; তার হাতের ভঙ্গীর চাঞ্চল্যে তরী দুলে ওঠে ; ছলে কেঁপে তরী ধীরে চলে ; নীল জল সুধ্যালোকে ঝকৃমকৃ করে— অথবা, নারিকেলবৃক্ষবনবেষ্টিত ফেনতরঙ্গময় সমুদ্র,—তার মধ্যে— এমনি শাস্তির কত স্বপ্ন-ছবি । ক্ষুদ্র দ্বীপ, শুভ্ৰ স্বরখ চলে যাওয়ার পর প্রবীর স্বরথের বাড়ীতে এসে উঠল। বারান্দায় ইজিচেয়ারে হেলান দিয়ে গুয়ে মুসৌরীর পাহাড় ও নীলাকাশ দেখে তার দু-দিন কেটে গেল, কোথাও বার হল না। তৃতীয় দিন সে তার অসমাপ্ত কাব্যের মোট খাতাখানি বার করলে। এ কাৰ্যটি সে আরম্ভ করেছিল সাত বছর আগে, তার প্রথম প্রেমের বেদনার প্রেরণায় । তারপর প্রতিবৎসর তার প্রেমান্থস্থতির পরিবর্জনের সঙ্গে সঙ্গে কাব্যের কাটাকুটি চলছে, কাব্য আর শেষ হতে कांब ना । दकृङ्गा दणङ, eब्रक्ष क्रव्र cडांबांब ७ कविः