পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহায়ণ যুখিকা ২২৩ জীবনে কোন দিন শেষ হবে না, তুমি লিরিক লেখ । লিরিক লিখতে সে চায় না, সে চায় প্রেমের চির সত্যকে এক অখণ্ড কাব্যে পরিপূর্ণ স্বনীর রূপ দিতে। মাঝে মাঝে ভার মনে হত সে বুকি সত্যকে পেল, এবার ছন্দময় ভাষা দিলেই হবে ; কিন্তু কাল যা সত্য ছিল আজ তা মায়া হয়ে যায় ; যাকে জ্যোৎস্নারাতে স্বন্দর দেখেছে, ভোরের আলোয় সে মলিন, শুষ্ক, সে ছিল চাদের মায়া দখিন বাতাসে ; কিন্তু চিরদিন এই প্রেমভৃষ্ণ নিয়ে কি চলে যেতে হবে তাকে সংসার থেকে ! সমস্ত দিন সে নিজের কাব্য পড়লে, কোন কোন জায়গা মনে হল লিখেছে ভাল, কোন কোন জায়গা মনে হল মিথ্যে কথা, এ মেকী চলবে না, মোটা মোট লাইন দিয়ে সে জায়গাগুলি কাটলে। কিন্তু এমনি পুরান লখা কেটে নতুন লেখা লিখে কোথায় গিয়ে সে পৗছাবে ? আজ যা নতুন, কাল তা পুরাতন হয়ে যায়, তার অলীকতা, তার ক্ষণিক মায়া ধরা পড়ে। সেইজপ্তেই ত সে তরুণীদের সঙ্গে প্রেমের আরম্ভের খেল স্বরু করেই পালিয়ে আসে, নেশ কাটুবার আগেই উৎসবক্ষেত্র হতে চলে যায়। বন্ধুরা তাকে বলেছে, ভীরু ! তার এই ভীরুতা তার প্রেমস্বপ্নকে না ভাঙার প্রয়াস । প্রতিদিনের ব্যবহারে প্রেম কি বিকৃত হয়, সংসারের বাস্তবতায় তাকে কি কৃত্রিম মুখোস পরে থাকৃতে হয় রঙ্গশালার অভিনেত্রীদের মত, তা সে দেখেছে ; তার छैौक्रडांब्र छछ cन जच्छिङ नग्न । চতুর্থ দিন সারাদুপুর নিজের লেখা কাব্যপাঠ করে বিকেলের শেষে প্রবীর একটু বেড়াতে বার হল, নদীর তীরে বেড়াৰে এই ইচ্ছা। নদীটি প্রায় জলহীন, কুড়িপাথরের গাদার ধারে শুষ্ক বালুচর। একটু গিয়ে সে ঠমকে দাড়াল। রাজপথ নদীর ধারে যেখানে শেষ হয়েছে তারই একদিকে গাছের তলায়, বেতের চেয়ারে পেছনে গদের মত গোল বালিশ ঠেসান-দিয়ে এক তরুণী বলে, দিগন্তে পাহাড়ের সারির দিকে চেয়ে চুপ করে এলিয়ে বসে ; হাল্কা নীল শাড়ি-পরা ; চুলগুলি জড়িয়ে তাল করে *ীপ বাধ, মাখায় কাপড় নেই; শীর্ণহাতে কয়েকগাছি ** बिदमिक् कबप्रु । चडाकर्षकब्र उॉब्र ऋषब ब्र६ ।। বহুপ্রাচীন চীনে মাটির বাসন যেমন হলদে হয়ে যায়, তেমনি হলদে প্রাণহীন, কিন্তু সুন্দর শিল্প ; অথবা মুখখানি যেন পুরাতন গজদস্তে গড়া ; তার সঙ্গে সন্ধ্যার আলোর রঙীনতা মিশেছে। অনতিপক নাস্পাতির মত তরুণীর মুখের ভৌলটি, কমনীয় শীর্ণ চোয়াল হতে লম্বা চিবুক পৰ্য্যন্ত রেখার ছন্দ বড় উদাসতায় ভরা ; গভীর কালো চোখ, গাছের ছায়াভরা দীঘির মত ঝকৃমক্‌ করছে। লম্ব টানা ভুরু, যেন চীনে কালীতে অঁাক সাদা পটের ওপর । মুখখানির শীর্ণতার সঙ্গে স্বদূরে চেয়ে বসে থাকার ধ্যানমগ্রভ, প্রতীক্ষার ভঙ্গী এই নদীপাহাড়জোড়া বিজন স্তব্ধ সন্ধ্যার পটে প্রবীরের বড় করুণম্বন্দর লাগল। একটি Ef ! Atoista štiri “Annunciation" fārnā তরুণীর মত মুখ ! কিন্তু রসেটির তরুণীর আননে যে মুখবিস্ময় ও আনন্দময় ভীতি আছে, আশাভরা প্রাণের লাবণ্য আছে, এ অজানা তরুণীর মুখে তা নেই ; এর স্বপ্ন স্বরু না হতে শেষ হয়েছে, শুধু উদাস প্রতীক্ষায় বসে থাকা। বড় করুণস্বন্দর মুখখানি । মুখের দিকে বিমুগ্ধভাবে চেয়ে প্রবীর মেয়েটির কাছাকাছি চলে এসেছিল ; এমনিভাবে চেয়ে এগিয়ে আসা যে কি অভদ্রতা তা তার খেয়াল ছিল না । প্রবীরের পায়ের শব্দে মেয়েটি চমকে চাইল, ভীত হরিণীর মত। প্রবীর বড় লজ্জিত বোধ করলে ; মুখে কোন কধা এল না ; নতমস্তকে নমস্কার ক’রে যে-পথ দিয়ে এসেছিল সে-পথ দিয়ে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় রইল না। তাড়াতাড়ি ফিরে যেতে সে দেখতে পায়নি এক প্রৌঢ় ভালোক তার দিকে আসছেন, সে প্রায় র্তার ঘাড়ে গিয়ে পড়েছিল। ক্ষমা করবেন, বলে সে চলে যেতে চাইলে । কিন্তু প্রৌঢ় ভালোকটি তার পথরোধ করে হেসে জিজ্ঞাসা করলেন,--আপনি প্রবীরবাৰু ? প্রবীর কোন উত্তর না দিয়ে বিস্থিতমুখে তার দিকে क्लाहेण । —আপনি স্বরধবাবুর বাড়ীতে আছেন ? -ई !