পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহায়ণ জ্ঞানদা বলিলেন, “তোমার ও মাষ্টারকে আগে বিদায় করত বাপু, তার পরের ব্যবস্থা আমি সব ঠিক করছি।” নৃপেন্দ্রবাবু বলিলেন, “কেন তাকে বিদায় করা ছাড়া আর কিছু কি করা যায় না? আমি ত তার কাজে কোনো পুং পাইনি, মিহিরের পড়াশুনোয় এরই মধ্যে বেশ উন্নতি দেখা যাচ্ছে।” গৃহিণী তেলেবেণ্ডনে জলিয়া উঠিলেন। হাপাইতে ক্টাপাইতে বলিতে লাগিলেন, “তোমার মতলবখানা কি শুনি তবে ? ঐ ছোড়ার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে চাও নাকি ?” রাগে উত্তেজনায় তাহার চোখে জল আসিয়৷ পড়িল । নৃপেন্দ্রবাবু বলিলেন, “মেয়ের বিয়ে না-ই দিলাম, থোকাকে ও যেমন পড়াচ্ছে পড়াক না ?” জ্ঞানদা বলিলেন, “ত আর না ? এমন না হ’লে আর বুদ্ধি ? ওকে দিনের পর দিন চোখের উপর দেখলে যামিনীর মন আর ফিরবে ? অন্য কোথাও তখন আর তুমি ওর বিয়ে দিতে পারবে ?” কৰ্ত্তা বলিলেন, "মেয়ের মন যখন একজনের উপরে পড়েছে তখন জোর ক'রে তাকে অন্তলোকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া উচিত হবে না। প্রতাপ ছেলে ত মন্দ নয়, গরীব অবগু। কিছু সাহায্য করলে সে যদি মানুষ হয়ে উঠতে পারে—** আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মত জ্ঞানদার রাগ একেবারে ফাটিয়া পড়িল। “কি, কি বললে তুমি ? ঐ হতভাগা চালচুলোহীন হা-ঘরের সঙ্গে আমি বিয়ে দেব মেয়ের ? তার আগে ওকে বিষ খাইয়ে মারব, নিজে গলায় দড়ি দিয়ে মরব। তোমার মাথা কি একেবারে খারাপ হয়ে গেছে ? কি করে এমন কথা মনেও আনতে পারলে? আমার রাজরাণী হবার যুগি মেয়ে আর ঐ একটা ক্যাঙলা ছোড়া, সেদিন অবধি তালি দেওয়া কাপড় পরে এসেছে, সে হবে আমার জামাই ?” রাগে পত্নীর প্রায় দুম জাটুকাইয়া জালিতেছে দেখিয়া স্বপেক্সবাবু উঠিয়া পড়িলেন, বলিলেন, “থাক, রাগারগি ক'রে নিজের শরীর জার খারাপ করো না। মেয়ের মা ত তুমি, তার মঙ্গল-অমঙ্গল কিসে হয় সেটা স্থির হয়ে ভেবে बाङ्ग-क्षण Հ8Տ তার পর কোনো কাজ করো। আমি আর এ-সব কথায় থাকব না।” এই বলিয়া তিনি নীচে নামিয়া চলিয়া গেলেন । জ্ঞানদা খানিকক্ষণ একলা বসিয়াই নাক ঝাড়িতে এবং চোখ মুছিতে লাগিল। স্বামীর সংসারকে ঠিক নিজের মনের মত করিয়া গড়িবার চেষ্টায় চিরদিনই তাহার অশাস্তির সীমা ছিল না। ঝগড়া-বিবাদ ষে খুব বেশী হইত তাহা নয়, কারণ ঝগড়ার স্বত্রপাত দেখিলেই নৃপেন্দ্রবাবু সরিয়া পড়িতেন। ইহাও অবশ্ব জ্ঞানদার রাগের একটা কারণ ছিল । চোখা-চোখ বাক্যাবলী গুছাইয়া বলিতে আরম্ভ করিবামাত্রই যদি প্রতিপক্ষ পলায়ন করে, তাহা হইলে কোন নারীই বা স্থির থাকিতে পারে ? অশান্তির আরও কারণ ছিল। স্বামী যদিও তাহার কার্ষ্যে বাধা দিতেন না, কিন্তু লেশমাত্র সমর্থনও কোনোদিনই করিতেন না । ছেলেমেয়ে মায়ের কথা শুনিয়া চলিত বটে, অন্তত মেয়ে চলিত বটে, কিন্তু তাহারাও মনে মনে যে বাপেরই মতে মত দিতেছে, তাহা জ্ঞানদা সৰ্ব্বদাই বুঝিতে পারিতেন। সংসারে সকলের মধ্যে থাকিয়াও তিনি একাকিনী ছিলেন। সাধারণ নারীর চেয়ে তাহার মনের শক্তি অধিক ছিল বলিয়া তিনি হাল ছাড়িতেন না, নিজের মতানুসারে কাজ করিয়া চলিতেন। আশা ছিল আখেরে ছেলেমেয়ে স্বামী সকলেই তাহার দলে আসিবে, ঘাড় ইেট করিয়া স্বীকার করিবে যে, জ্ঞানদার বুদ্ধি তাঁহাদের সকলের অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ। কিন্তু সেদিন এখনও বহুদূরে। থাকিয়া থাকিয়া তাহার প্রাণ একটু সহানুভূতির জন্ত ছাপাইয়া উঠিত, কিন্তু কাহারও নিকট কণামাত্রও সমবেদন তিনি পাইতেন না। এখন যে ব্যাপার ঘটিয়া উঠিয়াছে, ইহাতে পারিবারিক সংঘাত আর কঠিন হইয়া উঠিবে, তাহা জ্ঞানদা বুঝিতে পারিতেছিলেন, কিন্তু ভয়ে পিছাইবার মানুষ তিনি ছিলেন না। যেমন করিয়া হউক, এ জটিল সমস্তার সমাধান তিনি করিবেন। प्राशैौ cय ब्रत्रयक्ष श्रङ नब्रिग्ना भफ़िरणन, ऐश ठांलझे হইল। তাহাকে দিয়া উপকার ত কিছু হইত না, অপকার হইবার সম্ভাবনা ঢের ছিল। যা বুদ্ধি তাহার। না