পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8b” ধ্ৰু প্রবাসী ৈ 2SO9ళు কৌতুহল দমন করতে পারলাম না। না, একবার দেখতে দোষ কি ? আমি ত আর ওর কিছু নিচ্ছি না! বেশ করে পকেটগুলো দেখলাম ; কই কিছুই নাই! খালি কয়েকটা বিড়ি । জামাটা রাখতে যাচ্ছি হঠাৎ নজর পড়ল ভিতরের দিকে একটা পকেট। তার মধ্যে তাড়াতাড়ি হাত ঢুকালাম, একখানা রুমাল। জ্য। একি ! রুমালে বাধা দশ টাকার নোট । তবে রে বেটা চোর। আমি প্রায় চেচিয়ে উঠেছিলাম ; হঠাৎ চুপ করে গেলাম। ভাবলাম—থাকৃ, গোলমাল ক’রে কাজ নেই। একটু মজা করা ধাকৃ। আস্তে আস্তে নোটখানা খুলে নিয়ে জামাটি যথাস্থানে রেখে চলে এলাম। কিছুক্ষণ পরেই চাকরটা ফিরে এল। আমি তার দিকে লক্ষ্য রাখলাম-দেখি বেটা কি করে! খানিক পরে দেখি সে ব্যস্ত হয়ে চারদিকে খুঁজে বেড়াচ্ছে—ঠিক আমারই মত ! মুখেচোখে বড় করুণ ভাব। খুবই মজা লাগল ! একবার ভাবলাম জিজ্ঞাসা করি । কিন্তু পরক্ষণেই ভাবলাম—ন, ঘাটাঘাটি ক’রে দরকার নেই। বেচারী গরিব মানুষ, একটা অস্কায় ক’রে ফেলেছে; বড় লঙ্গ " পাবে! সে অনেক খুজিল। দু-একবার আমার কাছে এসে কি যেন বলতে, চাইল। আমার মনটায় বড় দুঃখ হ’ল। একবার ভাবলাম—নোটখানা ওর পকেটে রেখে আসি ! কিন্তু তখনই আবার কৰ্ত্তব্যবোধ জাগল—নাঃ ! অন্যায় কাজে প্রশ্ৰয় দেওয়া ঠিক নয়! পরদিন সকালে তাকে ডাকলাম। আমার কাছে তার আট টাকা পাওনা ছিল ; আমি সেই দশ টাকার নোটथांनी उठांtरु शिलांध । সে নোটখানা দেখেই চমকে উঠল। জড়িতস্বরে বলল—বাবু কি যেন বলতে গিয়ে আটকে গেল। আমি বললাম —কি বলচিসূ! সে তখন নিজেকে সামলে নিয়েছে ; বললে—আমার কাছে ভাঙনি নেই । আমি হেসে বললাম—ভাঙানির দরকার নেই, তোর আট টাকা মাইনে আর দু-টাক বকৃশিস । সে কিছু না ব'লে নোটখানা নিয়ে ধীরে ধীরে চলে গেল ! কতক্ষণ পরে দেখি—সে আমায় দুটো টাকা ফেরত দিতে এসেছে ! আমার ভয়ানক রাগ হ’ল—ও, বেট। কি সাধু! যাক! কিছু না বলে টাকা-দুটাে পকেটে রেখে দিলাম। বুঝলাম দশ টাকার জায়গায় মাত্র দু-টাক পেয়ে তার রাগ হয়েছে। চলে যেতে যেতে সে আবার ফিরে দাড়াল ; বললে -दांबू আমি বললাম—কিরে ! সে ধীরে ধীরে বললে—ও নোটখানা আমার ছিল, আপনার নয় । আমি চোখ পাকিয়ে বললাম—তার মানে ? সে হাতজোড় ক'রে বলল-আপনি মিছে সন্দেহ ক’রে আমার পকেট থেকে— বেটার আম্পৰ্দ্ধা ত কম নয় ! চুরি করল, ফের সে চুরি ঢাকবার জন্তে উন্টে আমাকে চোর বানাতে চায়! তারই চুরি ঢাকবার জন্যে আমার এত চেষ্টা । আর সে বেটী— ক্রোধে অপমানে আত্মহারা হয়ে আমি ব’লে উঠলাম—দূর হ ! বেটা এখুনি আমার সমুখ হতে দূর হ! তা না হ’লে পুলিলে দেব, বেরো বলছি।” সে চলে গেল । খাওয়াদাওয়া সেরে লটবহর নিয়ে ট্যাক্সিতে চড়ে বসেছি ; ট্যাক্সি চলতে আরম্ভ করেছে এমন সময় ফিরে দেখি একটি ছেলে গাড়ীর পিছন পিছন ছুটে আসছে। গাড়ী থামান গেল । ছেলেটি ইপিাতে হাপাতে বললে—আপনার নোটখানা পাওয়া গেছে, এই নিন ! শুনে আমার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল। নোটখানা কোনরকমে হাতে গুজে নিয়ে ড্রাইভারকে ব্যগ্র হয়ে বলে উঠলাম--জলদি-জলদি— !