পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অল্পের জন্য ঐরামপদ মুখোপাধ্যায় চা তৈয়ারী করিতে পারে না এমন ব্যক্তি বোধ হয় কোন পল্লীগ্রামেও আজকাল পাওয়া যায় না। কিন্তু রমেনের ভাগ্যে মুরলা হইয়াছিল সে-নিয়মের ব্যতিক্রম। হয়ত ব্যতিক্রম হইলেও বিশেষ ক্ষতি হইত না। নির্জন, নিস্তন্ধ পল্লী, দু-বেলা ছোট সংসার গইয়া বিশেষ ভাবেই মগ্ন থাকা চলে—সাদাসিধা পরিবেষ্টনীর মধ্যে সরল মনটি লইয়া দিব্য আরামেই হয়ত কাটিয়া যায়। রমেনের শনিবার বাড়ি আসা এক মহা সমারোহ ব্যাপার। ক্ষুদ্র জীবনের পক্ষে সেই উল্লাস মুহূর্ডের বৈচিত্র্যও বড় কম নহে। সপ্তাহের অবশিষ্ট দিনগুলি জনায়াসে তার ধ্যান করিয়া কাটাইয়া দেওয়া যায়। কিন্তু রমেনই একদিন গোল বাধাইল । আগের শনিবারে বাড়ি আসিয়া মুরলাকে বলিল,— আসচে সপ্তাহে আমার জন-কয়েক বন্ধু আসবে, তাদের অভ্যর্থনার সমস্ত ভার আমি তোমার ওপর দেব। মুরলা ডাগর চক্ষু দুইটি রমেনের পানে স্তন্ত করিয়া স্বাচ্চৰ্য্যান্বিত হইয়া কহিল,—সে আবার কি ? রমেন হাসিয়া বলিল,—মানে—তাদের রিসেপশনের "ভার তোমায় দিলুম। মানেট রমেনের নিকট পূর্বের চেয়ে সহজ হইলেও মুরলার সমান দুৰ্ব্বোধ্য বলিয়াই বোধ হইল। কোন কথা না বলিয়া সে ফ্যাল ফ্যাল করিয়া বোকার মত চাহিয়া রহিল। রমেনের মুখ যেন ঈষৎ মান বোধ হইল। এটা যে শহর নহে এবং মুরলাও বিদ্যুৎ-বাতির তলায় মানুষ হয় নাই সে-কথা হঠাৎ মনে পড়িয়া গেল। যেমন পাড়াগা এই পলাশপুর—মিউনিসিপ্যালিটির ট্যাক্স দিতে হয় না, শুক্লপক্ষে মেটে রাস্তার উপর জ্যোৎস্নাই যা একটু শোভা সৌন্দর্ঘ্য বিস্তার করে, পানাপচা ডোবার জলে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মশা জন্মগ্রহণ করে, কাদায় পথঘাট পিছল, গাছের ছায়ায় ভাল করিয়া আকাশ দেখা যায় না—তেমনই এক পাড়াগা ইংে আসিয়াছে মুরলা । আসিয়াই গোয়ালের গরু ছুটি পরিচর্ধ্যায়, রান্নাঘরের মাটির দেওয়ালে ও উঠানে গোময়-লেপনে এবং খিড়কীর ডোবা পুকুরটায় সকাল বিকাল স্নান, গা ধোয়, কাপড় কাচা ও দ্বপুর বেলা বাসন মাজায় এমন মনোনিবেশ করিয়াছে যে, বাহির বিশ্বের একবিন্দু খবর জানিবার আগ্রহটুকু তার নাই। নারী-প্রগতির খবর ত দূরের কথা—ঘরের দুয়ারে চীনজাপানের এমন যুদ্ধটা যে ভাল করিয়া বাধিয়াও বাধিল ন!—তার খবরও মুরলা রাখে না। তৰু রমেন মুরলাকে ভাল না বাসিয়া পারে নাই। জগতের সর্মবিষয়ে চোখ-কান বুজিয়া এই ক্ষুদ্র গৃহখানির প্রত্যেক ক্ষুদ্রতর জিনিষে অখণ্ড মনোযোগ দিয়া মুরলা প্রতিটি ক্ষণকে সেবা স্বস্নিগ্ধতায় এক একটি রমণীয় চিত্রে রূপান্তরিত করিতে স্বদক্ষ । সপ্তাহান্তে শহরের কোলাহল ছাড়িয়া নিরালা এই গৃহকোণে আসিয়া সত্যই সে শাস্তি পাইত। শহরের জগৎ নানা জনের, এই পত্নী একান্তভাবে: তাহারই। এ যেন মুরলা—নিৰ্ব্বাৰু, সেৰাপরায়ণ, কুষ্ঠিত এবং তাহারই মাঝে পরিপূর্ণ। এ-সব অনুভূতি পাড়াগায়ে বলিয়াই জাগে, কিন্তু শহরের রমেন বন্ধুবর্গের নিকট মুরলার যে পরিচয় দিয়াছিল তাহ অন্তরূপ। সেটুকু মিথ্যা পরিচয় দিয়া আত্মপ্রসাদ লাভ করিবার হেতু সম্ভবত এই – পাচজন বন্ধু মিলিয়া আপন আপন স্ত্রীর মুখ্যাতিতে যখন অস্তকে মান করিবার প্রবল উদ্যম করিত, রমেন তখন চুপ করিয়া থাকিতে পায়িত না। সে মুরলাকে ভালবালে। যাহা মুরলার আছে তাহাতেই লে স্বৰী । স্বতরাং, বন্ধুজনের সামনে মুরলাকে খাটো করিতে छांब्र छांब्रि कडे ७ जब cबांश झई७ ।। -