পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳ8 S99ళేు মাত্র গেঞ্জি গায়ে দিয়া বসিয়াছিল, তাড়াতাড়ি উঠিয়া গিয়া তাহার উপর একটা পাঞ্জাবী চাপাইয় ফিরিয়া আসিল । দারোগার হাত হইতে অকম্পিত হস্তে থানাতল্লাসীর পরোয়ানাট লইয়া আদ্যোপান্ত সেটা সে পড়িয়া দেখিল, তারপর সকলকে প্রথমেই নিজের ঘরে আহবান করিয়া লইয়া গেল। অজয়ের যেন চলচ্ছক্তি লোপ পাইয়াছিল, অসাড় পা-দুইটাকে কোনও প্রকারে টানিয়া টানিয়া মন্ত্রমুগ্ধের মত সেও সকলের অনুসরণ করিল। তারপর দুই ঘণ্টা ধরিয়া বাড়ীর সব-কয়টি মামুষের, সব-কয়টি বাক্সপেটরার তালা খোলা হইল। বিমান চাবির গোছাটা কয়েকদিন হইল হারাইয়াছে, তাহার বড় আদরের কুমীরের চামড়ার স্কটকেশটার তালা ভাঙা হইল। ছড়ানো জিনিষপত্র সব-কয়টি ঘরের মেজে ভরিয়া স্ত পাকার হইয়া জমিল। এখানকার জিনিষ ওখানে গেল, ওখানকার জিনিষ এখানে, এ খামের চিঠি ঐ খামে, ঐ বইয়ের খলা-পাত এই বইয়ে, সব মিলাইয়া একটা কুৎসিত লগুভও ব্যাপার। প্রতিবেশী ধাহারা সাক্ষী স্বরূপ আসিয়াছিল তাহারা চাপা হাসির দীপ্তিতে মুখ ভরিয়৷ আমোদ উপভোগ করিতেছে। উড়িয়াঠাকুর,- যাহাকে কাজ হইতে ছাড়াইয়া দিবে বলিয়া কাল সন্ধ্যায় অজয় শাসাইয়াছে, সেও বাহির হইতে জানালার ফঁাকে উকি মারিয়া মজা দেখিতেছে। দাতে দfত চাপিয়া বহু কষ্টে অজয় নিজেকে সংবরণ করিয়া রহিল। অজয় নিজেকে সংবরণ করিতে জানে। দীরোগ। যখম তাহার ট্রাঙ্কের একেবারে নীচতলা হইতে তাহার বন্থ সঙ্কোচের কিন্তু বছৰ্ঘত্বের সঞ্চয় কবিতার খাতাটি টানিয়া বাহির করিয়া হাস্তোন্তাসিড মুখে তাহার পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উন্টাইয়া যাইতে লাগিলেন, তখন সে কিছু বলিল মা ত । একটু পরে একটা কবিতার খানিকটা উচ্চৈঃস্বরে পাঠ করিয়া দারোগ যখন বলিলেন, “ঠিক এমনিধারা একটা কবিতা ডি এল রায় না রবিবাবুর কোন একটা বইয়ে পড়েছি না?” তখনও সে চুপ করিয়া রহিল, বিমানের ধরণে ঠোঁটে ঠোট চাপিয়া অল্প একটু হাসিল মাত্র। त्रकांद्रहण क्लिष्क्लदिफ़ कब्रिग्रां छजिब्रां ऐॐ शांशंद्र श्छांब সন্দেহজনক কিছুই এবারে পাওয়া গেল না । তাছাড়া নন্দলাল বরাবর কলেজে উপস্থিত ছিল বলিয়া তাহার alibi বিদ্যমান রহিয়াছে, স্বতরাং এ-যাত্রা এই পৰ্য্যন্ত । কিন্তু নন্দলালকে আরও বেশী সাবধান হুইয়া চলিতে উপদেশ দিয়া, এবং শেয়ালদা ষ্টেশনে যাত্রীর ভিড়ে লুকাইয়া রোজ রোজ রাত কাটাইতে গেলে সেটা আর কাহারও চোখে ন পডুক, পুলিশের চোখ এড়ায় না, ইহা জানাইয়া পুনরায় পারস্পরিক শিষ্ট-সম্ভাষণের পর দারোগী সদলবলে প্রস্থান করিলেন । স্বভদ্র তাড়াতাড়ি ট্রাঙ্ক স্থটুকেশ প্রভৃতি টানিয়া লইয়া ইতস্ততঃ-বিক্ষিপ্ত জিনিষপত্র গুছাইতে প্রবৃত্ত হইল । এই বিশৃঙ্খলার উপর কাহারও হাত একবার লাগিলে কোনও জন্মে ইহাতে আর শৃঙ্খলা ফিরিয়া আসিবে না। মনের সমস্তটা সঞ্চিত রুদ্ধ জাল নন্দের উপর ঝাড়িবে স্থির করিয়া গিয়া অজয় দেখিল, দুতলার বারান্দার এক কোণে নিজেকে গুজিয়া যেখানে সে পড়াশোনা করিত, সেখানে দুই করতলে মুখ ঢাকিয়া সে নি:স্পন্দ হইয়া বসিয়া আছে। কিছুক্ষণ চুপ করিয়া দাড়াইঃ রহিল। কানের কাছে যে-রক্তস্রোত এতক্ষণ দপদপ করিয়া বহিতেছিল তাহা বড় করুণ স্বরে বাজিতেছে। একটু কাশিয়া কহিল, “কিছু ভয় নেই, ওরা কিছু পায়ঙনি, ত-ছাড়া কলেজে তোমার alibi রয়েছে, দারোগী নিজের মুখে ব’লে গেল।” নন্দ কাদিয়া ফেলিল । সেদিন কলেজে বলিয়া, প্রভাতে নিদ্রী-জাগরণের সঙ্গম-সৈকতে কুড়াইয়া-পাওয়া অপরূপ জ্যোতিঃস্থষমাময় চিস্তার মাণিকূটকে অজয় মনের মধ্যে তন্ন তন্ন করিয়া খুজিল, কিন্তু কোথাও আর তাহার চিহ্নমাত্রেরও দেখা পাইল না। নন্দ যথারীতি খাইয়া-দাইয়া কলেজে গিয়াছিল, কিন্তু বাড়ী ফিরিতে তাহার সেদিন সন্ধ্য। উৰ্ত্তীর্ণ হইয়া গেল। অজয় বাড়ী নাই, স্বভদ্রও বাহির হইয়া গিয়াছে, ছুতলার স্বানের ঘরের দেয়ালে বিলম্বিত একটা প্রকাও আয়নার সাম্নে দাড়াইয়া বিমান অসময়ে বাতির আলোয় দাড়ি কামাইতে ব্যস্ত। বারান্দার অন্ধকারে নন্দকে দেখিতে