পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহায়ণ শৃঙ্খল ২৭৫ পাইয় গলার কাছটায় ক্ষুর ঘসিতে ঘসিতে উৰ্দ্ধগ্রীব হুইয়া সে কহিল, "এত রাত অবধি বাইরে কি কবৃছিলে ?” নন্দ জড়সড় হইয়া একপাশে দাড়াইয়া কহিল, “একটা থাকুবার জায়গা ঠিক ক’রে এলাম। গুদাম বাড়ী, একপাশে একটা ধরে আমায় একটু জায়গা দেবে বলেছে। আমি আজই যাচ্ছি, আমার জিনিষগুলো নিতে এসেছি।” বিমান কহিল, ”উ:, জিনিষ ত তোমার কত । ক’টা ‘লরী সঙ্গে এনেছ ?” নন্দ মাথা নীচু করিয়া একটু হাসিয়া বেশ স্বাভাবিক স্বরেই উত্তর দিল, “আঙ্কে, বইয়ের বাঞ্চটা বেজায় ভারি, নিজে পেরে উঠব না, তাই একটা কুলী-ছোকৃরাকে সঙ্গে এনেছি।” ঠোট চাপিয়া চিবুকের উপর ক্ষুর চালাইতে চালাইন্তে বিমান আড়চোখে তাহাকে একবার চাহিয়া দেখিল, তারপর কহিল, “ত বেশ, কিন্তু স্বভদ্র বাড়ী নেই, অজয় নেই, এতদিন তাদের প’ড়ে পড়ে খেলে, হঠাৎ কাউকে কিছু না ব'লে-ক’য়ে কেটে পড়বে কি রকম ?” নন্দের গলার স্বর এবার কঁপিয়া গেল, কষ্ট্রে নিজেকে সংবরণ করিয়া কহিল, “আমার হয়ে আপনি তাদের বলবেন, আমি আর এ-মুখ তাদের দেখাতে পারব না।” বিমান বলিল, “তোমার শ্ৰীমুখ না দেখতে পেলে তারাও যে দিনকের দিন রোগ হতে থাকৃবে তা নয় । সে ধাকৃ, তুমি চট করে দুটি খেয়ে নাও । মিছিমিছি তোমার খাবারটা কেন ফেলা যাবে ?” নন্দ কিছুতেই শুনিল না। একটা ছেড়া মাদুরে জড়ানো বালিশ কাপড়চোপড়, এবং ভাঙা একটা বইয়ের তোরঙ কুলী-ছোকৃরার মাথায় চাপাইয়া অন্ধকার বারান্দায় বিমানকে আসিয়া সে প্রণাম করিল। বিমান ততক্ষণে কাপড় ছাড়িয়া বাহিরে যাইবার জন্য প্রস্তুত হইয়াছিল, এক মুহূৰ্ত্ত ইতস্ততঃ করিয়৷ বলিল, “একটু १ीज़९ " चात्र शिश शबवाहेरक cडचाहेश निश বাতির আলোয় মনিব্যাগটাকে বেশ করিয়া ঝাড়িয়া দেখিল, স্বভস্ত্রের নিকট হইতে ধার-করা দশ টাকার এক টুকরা কাগজ, স্বন্দর "মিনিয়েচার ড্রয়িং-এর ছোট একটি প্রিন্ট—এইমাত্র তাহাতে আছে। ভাবিল, ‘দুভোর, খামোক এত হাঙ্গাম ক’রে ভর সন্ধ্যেয় দাড়ি কামালাম। ধাকু ।’ আলো নিধাইয়। ফিরিয়া আসিয়া দশ টাকার নোটখানি নন্দের দিকে বাড়াইয়া ধরিয়া বলিল, "টুইশানীর মাইনে পেতে এখনও ত হস্তী দুয়েক বাকী, এই টাকা-ক'টা রাপে, বুঝে-শুনে খরচ কোরো ” নন্দ জিভ কাটিয়া পিছাইয়া গেল, তারপর হাতছুটি জোড় করিয়া কহিল, “আমাকে আশীৰ্ব্বাদ করবেন, তাহলেই ঢের হবে। অজয়-দাকে, স্বভদ্ৰ-পাকে বলবেন অামার ওপর যেন রাগ না করেন । তাদের পায়ের ধূলো না নিয়েই পালাতে হচ্ছে, সেই শাস্তিই ত আমার যথেষ্ট।” উদ্যত অশ্রু সংবরণ করিয়া সে ছুটিয়া বাহির হইয়া গেল । নিৰ্ব্বান্ধব পুথিবীতে এই তিনটি মানুষকে অত্যস্ত অভাবিত ভাবে তাহার আত্মার আত্মীয়রূপে সে পাইয়াছিল, বিনা-অপরাধেই তাহাদের হারাইতেছে । ইহার পর রোগে-শোকে আপদে-বিপদে মুপের দিকে এতটুকু নির্ভরের আশায় মুখ তুলিয়৷ চাহিতে পারে, এমন কেহ তাহার আর রহিল না । কিছুক্ষণ একদৃষ্টে তাহার চলিয়া যাওয়ার পথের দিকে চাহিয়া থাকিয় বিমান একটু হাসিয়া ভাজ-করা নোটটিকে আবার মনিব্যাগের পকেটে রাখিল, ভারপর ছড়ি ঘুরাইয়া বাহির হইয়া যাইতে যাইতে মনে মনে কহিল, ‘যাকৃ, নগদ দশ-দশট টাকা লাভ হয়ে গেল । আর একটু হলেই যাচ্ছিল আর কি! কপাল বলি একেই !’ বিকালের রোদে তখন সোনালী রঙের ছোপ লাগিয়াছে। ঐন্দ্রিলা তাহার কলেজের কাপড়-চোপড় ছাড়িয়া ধীরে অসিয়া তেতলায় তাহার পড়িবার ঘরের সমুখকার বারান্দায় রেলিঙের উপর দুইটি শুভ্ৰনিটোল বাহুর ভর রাখিয়া দাড়াইল। আজ সমস্ত দিন তাহার BBBS BB BBBB BBBS BBBB DBBB BBBB BuS DDDt uttueS eeee SeS