আগ্রহায়ণ পারস্ত-ভ্ৰমণ SS) ইস্ফাহান। আলগোপ প্রাসাদ হইতে দৃপ্ত গিয়েছে, এদিকে বাতাস ত নয় ধেন ঝড় বয়ে যাচ্ছে, তার দাপটে আর শৈত্যে খোলা গাড়ীতে বসে শরীর হিম হয়ে যাবার উপক্রম। সঙ্গের কৰ্ম্মচারী মশায় ত দু-চারবার ড্রাইভারকে “আকা, আকাজান, বেঞ্জীন না ডারি ?” ( মহাশয়, প্রিয় মহাশয়, পেট্রোল নেই কি ? ) ব’লে চুপ ক’রে গেলেন, আমি গাড়ীর থেকে নেমে লম্মrবাপ ক’রে গা গরম করার চেষ্টা করতে লগলাম। ড্রাইভার মশায় স্পার্ক, কম্প্রেশন, প্লগ ইত্যাদি দেখা শেষ ক’রে ট্যাঙ্ক থেকে সাইফনে পেট্রোল যাবার পাইপ পরীক্ষা করে দেখলেন যে সেটি বালি ঢুকে বন্ধ হয়ে গেছে। পাইপ সাফ করা হ’ল, সাইফনেও পেটোল ঢাল হ’ল, এঞ্জিনও সজাগ হয়ে গর্জন করে উঠল, যাত্রীর দলও ইফি ছেড়ে গাড়ীতে চেপে বসবার পর আবার যাত্রারম্ভ হ’ল । খানিক পরে ঝড়ের বেগ কমে এল, বাতাস কিন্তু তখনও বিষম ঠাণ্ডা। পাশে খুব উচু পাহাড়ের চুড়া ক্রমেই শাদ হতে লাগল। আরও কাছে আসতে দেখা গেল সেখানে তুষারপাত চলেছে। খানিক এগিয়ে গাড়ী উপত্যকার ঢালু পথ বেয়ে নীচে নেমে_গেল,_ পাহাড়ের আড়াল পেয়ে ঝড়ঝাপট থেকে রেহাই পেলাম। পথের পাশে শস্থ ও শাক-সক্টর ক্ষেত দেপ। গেল, দূরে স্বদীর্ঘ সরল গাছের সারিতে ঘের একটি বড় গ্রামও দেখা গেল। রাস্তার উপর এক চায়ের দোকান, তার পাশেই পেটেলের আড়ভ। গাড়ির জন্তে পেটোল এবং ধাত্রিদের জন্তে চায়ের ব্যবস্থা হবার পর ফের পথ চলা আরম্ভ হ’ল । ঘণ্টাখানেক পরে সন্ধ্যার অন্ধকারে অীবাদেই পৌছান গেল । 来 ቕ 豪 মুখস্থাত ধুয়ে চায়ের সদ্ব্যবহার করা গেল। খাবার আয়োজন খুবই ছিল। অন্য ব্যাপার আগেকার মতই স্বতরাং সঙ্গের মেয়েদের এবং বয়ঃজ্যেষ্ঠদের অন্ধবিধা হয়েছিল। খানিক পরে দেখলাম, আরবাব কৈখস্রু শাহুরোধ, সহযাত্রী পাসীরা এবং সঙ্গী পারসীক ভদ্রলোকেরা বাইরে যাচ্ছেন। শুনলাম এইখানের জরথুষ্ট কবরস্থানে আরবাবের জ্যেষ্ঠপুত্রের সমাধিতে প্রার্থনা করতে এরা যাচ্ছেন, আমিও সঙ্গেই চললাম। শহরের প্রান্তে উচু দেওয়ালে দের কবরস্থান। ফটকের ঘরগুলি পার হয়ে প্রকাও উঠান, সেই উঠানের
পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।