পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

చిSB "প্রবাসী; S)కరికరిశు পাহাড়টা কেটে এবং তার সঙ্গে গেথে কয়েক সারি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। গুহার মত ব্যাপারগুলি বাড়ির নীচে গরু ভেড়া রাখবার গোয়াল আস্তাবল ইত্যাদি। এই সমস্ত বাড়িতে ঢুকবার পথ একটি মাত্র, এবং সেটিও লুকান, কাজেই হঠাৎ দেখলে কি ক’রে মাতৃযে ঐসব বাড়িঘরের ভিতর যায়-আসে বুঝা যায় না। এই অদ্ভুত এক সারি বাড়ির গ্রামটির নাম য়াজদিখাস্ত । পথের পাশে কুড়ি-পঁচিশ মাইল অন্তর এক একটি ঐ রকম গ্রামের কাছে সরাই এবং চায়ের দোকান আছে, আমাদের গাড়ীগুলি প্রায় প্রত্যেকটির কাছেই কিছু-নাকিছু অজুহাতে থামতে লাগল। বলা বাহুল্য, প্রত্যেক বারই চায়েরও সদ্ব্যবহার হ’ল। - শাহরোজা নামে একটি ছোট শহরে দেখা গেল বিস্তর ভদ্রলোক রাস্তার উপর দাড়িয়ে আছেন । শুনলাম এখানকার প্রসিদ্ধ কবি আলি আকবর বাজিরি (তখল্লুস “ওমিদ" ) কবিকে উপহার দেবার জন্য একটি কবিতা এবং প্রকাগু এক ফুলের তোড়া নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। কবির গাড়ী ওখানে থামেনি, স্বতরাং তিনি আমাদের হাতেই সেগুলি দিলেন। কবিতাটির অর্থ এইরূপ :– ভারতের কারাভানে শর্করা সৰ্ব্বদাই থাকে কিন্তু এইবার রহিয়াছে কল্পনার সৌরভ ও কারাভান, ক্ষণেক দাড়াও, তৃষ্ণাৰ্ত্ত হৃদয় সকল তোমার পিছনে চলিয়াচ্ছে-আলোকের পশ্চাতে প্রজাপতির মত ; মলয় পবন, সাদীর সমাধিস্থলে স্নিগ্ধ স্পর্শে ও মৃদ্ধ শব্দে বহিয়া যাও, কবরের ভিতর সাদী - - পুনর্জীবিত হইবেন ; ঠাকুর । তিনি অপূৰ্ব্ব, তিনি জ্ঞানী দার্শনিক ও ত্রিকালজ্ঞ ; ·艾婷 মহান কুরুষের দেশে তাহার আগমন শুভ ও সৌভাগ্যযুক্ত হউক। যেদেশে কুরুষের এক সন্তান এখন সৌভাগ্যক্রমে রাজমুকুট ধারণ করিতেছেন। বেলা বারটা নাগাদ আমরা ইস্ফাহানের দশ মাইল দূরে পাহাড়ের কোলে গাড়ী থামালাম। দেখলাম কবির গাড়ীও দাড়িয়ে রয়েছে এবং বিস্তর অন্য গাড়ীও এসেছে, এবং আসছে। শোনা গেল যে ইস্ফাহানের গভর্ণর ও অন্যান্য সম্বাস্ত লোকের কবিকে স্বাগতঃ বলতে এতদূর এগিয়ে এসেছেন। সম্বৰ্দ্ধনার পর্ব শেষ হয়ে গেলে আবার সমস্ত গাড়ী চলল। অভ্যর্থনা করতে যারা এসেছিলেন তাদের মধ্যে কয়েকজন পাস পুরুষ ও মহিলা এবং ভারতীয় দু-তিন জন ছিলেন । আর একটি এদেশীয় এসেছিলেন–পরে শুনলাম ভিনি আকা কৈহানের ভাইঝি—ছোটখাট দেখতে, মুখও খুব ছেলেমামুষের মত গোলগাল । অভ্যর্থনাকারীদের নেতা ছিলেন মহামান্য আকা শামস্থদ্দীন খাঁ জেলালি, ইশফাহানের গভর্ণর। খানিক দূর গিয়ে একটি পাহাড়ের ঘাট থেকে দূরে ইস্ফাহান দেখা দিল । রোদ ছিল না, ছায়ার মধ্যে বালিভরা ছোটনদীর পারে সারি সারি গাছে এবং অসংখ্য গম্বুজ মিনার ভর সুদীর্ঘ একটি শহর দেখা গেল। চারিধার পাহাড়ে ঘেরা, মাঝে জয়নো নদীর শস্যামল উপত্যকা । এইখানে মধ্যযুগের জগদ্বিখ্যাত ইস্ফাহান, সাফাবি নৃপতিদের সময় অতুল ঐশ্বর্ঘ্যে পরিপূর্ণ হয়ে সমস্ত সভ্যজগতের আদর্শ নগরীরূপে বিরাজ করেছিল। এখনও যাহা অবশিষ্ট আছে তাহাকে অতুলনীয় বললে কিছুমাত্র অত্যুক্তি হয় না। তবে সে-সময় ছিল প্রায় বার লক্ষ লোকের বসতি, এখন রয়েছে মাত্র দেড় লক্ষ । নদীর বুকে—আমাদের দেশের মত—তরমুজ সৰ্বদ ইত্যাদির চাষ চলেছে, দু-তিনটি ব্রিজও রয়েছে, তার মধ্যে স্বপ্রসিদ্ধ পোল-এ-খাজু আকারে, গঠনে এবং ভিতরে নানা রঙের কারুকার্ধ্যে বিশেষ স্বধৃপ্ত । এক বক্তিয়ারি সর্দারের বাগ-ই-জেরেন্ধ নামে এক প্রসিদ্ধ বাগান-বাড়িতে আমরা গিয়ে উঠলাম । সেখানে সমস্ত ব্যবস্থাই রাজপ্রাসাদের মত হয়েছিল। ক্রমশঃ