পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহায়ণ বিবিধ প্রসঙ্গ-জনগ্রসর হিন্দুদের সম্বন্ধে পুনায় মীমাংসা \రిe না ! সমবিশ্বাসীদিগকে সকল বিষয়ে সমান অধিকার দেওয়া হিন্দুদের উচিত এই কারণে, যে, তারা অনেক তথাকথিত অস্পৃগু ও অনাচরণীয় লোকদের হিন্দুসমাজ ভ্যাগ নিবারিত হইতে পারে। আগে হইতে এইরূপ যুক্তিসঙ্গত ও উদার নিয়ম অমুস্থত হইলে, এখন যাহারা অহিন্দু এরূপ অনেক কোটি লোক হয়ত হিন্দুসমাজভূক্তই থাকিতেন। একটা সাংসারিক কথাও বলি ;--পুরোহিতেরা দক্ষিণাদি প্রাপ্তি দ্বারা আয়বৃদ্ধি সম্বন্ধে উদাসীন নহেন। তথাকথিত অস্পৃপ্ত হিন্দুরা দেবমন্দির প্রবেশ, দেবদর্শন ও দেব পুজার অবাধ অধিকার পাইলে পুরোহিতগণের আয় বাড়িবার খুব সম্ভাবনা আছে। অথচ ইহাও ধ্রুব সত্য, যে, বিশ্বনাথের মন্দির ষে সুবিশাল বিশ্বজগৎ, তাহা যেমন কোন মানুষ বা অন্ত জীবের স্পর্শে অপবিত্র হয় না, তেমনি দেবমন্দিরও কাহারও স্পর্শে অপবিত্র হইতে পারে না । অনগ্রসর হিন্দুদের সম্বন্ধে পুনায় মীমাংসা পুজার ছুটির কয়েক দিন আগে কাষ্টিক মাসের প্রবাসী বাহির করিতে হইয়াছিল বলিয়া তাহাতে, ব্যবস্থাপক সভায় অনগ্রসর শ্রেণীর হিন্দুদের প্রতিনিধি-সংখ্যা সম্বন্ধে পুনায় যে মীমাংসা হইয়াছে, সে-বিষয়ে কিছু লেখা হয় নাই। এখন সংক্ষেপে কিছু বলিতেছি। হিন্দুদের মধ্যে ধিনি যে সম্প্রদায়, জাতি, বা শ্রেণীর লোকই হউন, তিনি হিন্দুদের প্রাপ্য কোন প্রতিনিধি-পদ পাইলে তাহাতে আপত্তির কোন কারণ নাই ; তিনি cबांगी cणांक छ्हेरणहे श्हेण । शङब्रां९ श्लूिमब्र छछ নির্দিষ্ট কতকগুলি সভ্যপদ অনগ্রসর শ্রেণীসমূহের লোকদের জন্ত হিন্দু নেতারা নির্দিষ্ট করায় অসস্তোষের :कांन कांब्र१ झग्न नाहे । बिछि* थक्षांन भशैौ uरें जब শ্রেণীর লোকদিগকে যতগুলি সভাপদ দিয়াছিলেন, হিস্থনেতারা তাহার দ্বিগুণ অপেক্ষাও সভ্যপদ তাহাদিগকে দওয়ায় ইহা প্রমাণিত হইয়াছে যে, হিন্দুনেতার প্রধান মন্ত্রীর চেয়ে তাহাজের কম হিতাকাজী নহেন। ——মহাত্মা গান্ধী হিন্দুসমাজের অখণ্ডত্ব অটুট রাখিতে कॉन । &क्षांन भड़ौ “ववनङ” श्न्मूिमिगएक ८कदल ষ্ঠাহীদের দ্বারা নিৰ্বাচিত স্বজন্তু কতকগুলি প্রতিনিধি দেওয়ায় এই অগগুত্ব নষ্ট হইয়াছিল। প্রধান মন্ত্রীর ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মহাত্মাজী এই হেতু প্রায়োপবেশন করিয়াছিলেন। পুনায় নেতাদের মীমাংসায় প্রধান মন্ত্রীর ব্যবস্থার অনিষ্টকারিত কিযুৎপরিমাণে দূরীভূত হইয়াছে, কেন-ন “অবনত” হিন্দু প্রতিনিধির সকল জাতির ও শ্রেণীর হিন্দুনিৰ্ব্বাচকদিগের দ্বারা সম্মিলিত ভাবে নিৰ্ব্বাচিত হইবেন। কিন্তু ঐ অনিষ্টকারিত সম্পূর্ণ দুর হয় নাই। কারণ, “অবনত” প্রত্যেক হিন্দু প্রতিনিধি পদের জন্য প্রথমতঃ “অবনত”. নিৰ্ব্বাচকের চারি জন করিয়া “অবনত” প্রাণী মনেiণীত করিবেন এবং উহাদের মধ্য হইতে এক জন করিয়া প্রতিনিধি সকল হিন্দু নিৰ্ব্বাচক সম্মিলিত ভাবে নিৰ্ব্বাচন করিবেন। এই যে প্রাথমিক স্বতন্ত্ৰ নিৰ্ব্বাচন, ইহাতে হিন্দু সমাজের অর্থগুত্বের ব্যভায় হইবে, এবং এই প্রাথমিক স্বভক্স নিৰ্ব্বাচনের মধ্যে প্রধান মন্ত্রীর ব্যবস্থার অনিষ্টকারিতা কিছু রহিয়া গিয়াছে। যাহা হউক, এই প্রাথমিক নিৰ্ব্বাচন ব্যবস্থা দশ বৎসরে বা উৎপূৰ্ব্বেই রদ হইবে। একটি বিষয়ে নেস্তাদের মীমাংসা প্রধান মন্ত্রীর ব্যবস্থা অপেক্ষ অসন্তোযজনক হইয়াছে। প্রধান মন্ত্রীর ব্যবস্থা অমুসারে “অবনত”দের জন্য সভ্যপদ সংরক্ষণ প্রভূতি সকল ব্যবস্থাই উৰ্দ্ধপক্ষে কুড়ি বৎসরে লোপ পাইত। কিন্তু নেতাদের মীমাংসায় অবনভদের জন্ত সভ্যপদ ংরক্ষণের নিয়ম তাহীদের সম্মতি ব্যতিরেকে লোপ পাইবে না। অনির্দিষ্ট কালের জন্য হিন্দু সমাজের সংহতিনাশক এইরূপ অ-গণতান্ত্রিক নিয়ম থাকা বাঞ্ছনীয় নহে। এই নিয়ম নির্দিষ্ট কালের জন্ত না হওয়ায় ভারতবর্ষে গণতান্ত্রিক স্বরাজ প্রতিষ্ঠার বিরোধী যাহারা তাহার এই অনিষ্টকর নিয়ম যথাসাধ্য দীর্ঘকাল স্থায়ী করিবার চেষ্টা করিবে। তাহাতে হিন্দু সমাজের ও ভারতীয় জাতির ক্ষতি হইবে। এই নিয়ম “অবনত”দের পক্ষেও অনিষ্টকর। র্তাহারা যত শীঘ্ৰ কৃত্রিম ব্যবস্থা অপেক্ষা নিজেদের যোগ্যতার উপর নির্ভর করিতে শিখেন ততই মঙ্গল । কিন্তু এরূপ নিয়ম