পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহায়ণ বিবিধ প্রসঙ্গ—আক্তব-সাজাসায় ও টোলে সরকারী সাহায্য Vළං° অন্ধবিধাজনক হইবে। শুনিতে পাই, এরূপ প্রস্তাবও নাকি হইয়াছে, যে, সংস্কৃত কলেজে আশীটির বেশী ছাত্রের পড়িবার বন্দোবস্ত রাখা হইবে না। ছাত্র-সংখ্যার এরূপ সীমানির্দেশও অঙ্কুচিত। সংস্কৃত কলেজ সম্বন্ধে ব্যয়সংক্ষেপের প্রস্তাব হইলে স্বভাবতই জানিতে ইচ্ছা হয়, যে, কলিকাতা মাদ্রাসা ও কলিকাতার ইসলামিয়া কলেজের ব্যয় হ্রাসের কোন প্রস্তাব হইয়াছে কি-না, ও তাহীদের ছাত্র-সংখ্যার কোন সীমা নির্দিষ্ট হইয়াছে কি-না, এবং বঙ্গে অন্ত যে-সব মাদ্রাসা ও মুসলমানদের জন্ত ইন্টারমীডিয়েট কলেজ আছে, সেগুলির সম্বন্ধে ঐক্কপ কোন প্রস্তাব হইয়াছে কি-না। কারণ মডার্ণ রিভিউ পত্রিকার ১৯৩১ সালের নবেম্বর সংখ্যায়, ৫৪৪-৪৭ পৃষ্ঠায়, দেখান হইয়াছে, যে, বঙ্গে কেবলমাত্র হিন্দুদের জন্য অভিপ্রেত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারী ব্যয় ১,১১,৫৫১ টাকা, কিন্তু কেবলমাত্র মুসলমানদের জন্ত অভিপ্রেত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যয় ১৫,৮৮,০৯১ টাকা । অর্থাৎ শুধু মুসলমানদের শিক্ষার সরকারী ব্যয় শুধু হিন্দুদের শিক্ষার সরকারী ব্যয়ের চৌদ্ধ গুণের অধিক। এই অসাম্য ও পক্ষপাতিত্বের উপর যদি আবার এখন কেবল হিন্দুদের সংস্কৃত কলেজ সম্বন্ধেই ব্যয়সংক্ষেপের প্রস্তাব হইয়া থাকে, তাহা সাতিশয় গর্হিত। আমরা কোন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার জন্ত সরকারী ব্যয় কমাইবার বিরোধী ; কিন্তু যদি শিক্ষার ব্যয় কমাইতেই হয় তাহ হইলে সমান অনুপাতে সকলেরই কমান উচিত। সংস্কৃত শিক্ষার বিরুদ্ধে আর একটি প্রস্তাবও হইয়াছে শুনিতেছি। সংস্কৃত কলেজের স্কুল-বিভাগটি উঠাইয়া দয়া তাহ হিন্দু ও হেয়ার স্কুলের সহিত জুড়িয়া দিবার কথা উঠিয়াছে। এই প্রস্তাবও আপত্তিকর এবং গর্হিত। তাহার কারণ বলিতেছি। হিন্দু ও হেয়ার স্কুলে এগার শত ( ১১০০) ছাত্র পড়ে। এই দুটি স্কুলের কোনটিতেই একটি সম্পূর্ণ স্কুল বা বকটিতে আধখানা করিয়া স্কুল জুড়িয়া দিলে ছাত্রখ্যার জাতিশষ্যে শিক্ষার ব্যাঘাত জন্মিবে। দ্বিতীয়তঃ, Rझड डूण ७बर शिष्यू-इरणब (इबङ cश्झांब्र ऋजबe) এই সব ফণ্ডে টাকা দিয়াছিলেন, তাহারা আলাদা আলাদা একটি স্কুল চালাইবার জন্যই দিয়াছিলেন। এখন দুট। স্কুল বা দেড়ট স্কুল সম্মিলিত করিলে সেই সর্তের বিরুদ্ধাচরণ হয়। অন্য একটি আপত্তি আরও গুরুতর। সংস্কৃত কলেজের স্কুল-বিভাগে ছাত্রেরা অন্য সব উচ্চ ইংরেজী স্কুলের চেয়ে সংস্কৃত বেশী পড়ে। তাহারা স্কুলেই একখানা মূল সংস্কৃত ব্যাকরণ পড়িয়া ফেলে। তা ছাড়া, তাহার প্রবেশিকা পরীক্ষার শ্রেণীতে উঠিবার দুই এক বৎসর আগেই কয়েকখানি কাব্য পড়িয়া কাব্যতীর্থ উপাধির পরীক্ষা দেয়। ইহা সংস্কৃত কলেজের স্কুল-বিভাগের একটি বিশেষত্ব, হিন্দু বা হেয়ার স্কুলের এই বিশেষত্ব নাই । স্বতরাং সংস্কৃত স্কুলটি উঠাইয়া দিবার মানে সংস্কৃত শিক্ষাকে নিরুৎসাহিত করা । গবন্মেণ্ট মক্তব-মাদ্রাসাসমূহে পারসী আরবী শিক্ষা দিবার জন্ত যত টাকা খরচ করেন, টোলে সংস্কৃত শিক্ষা দিবার জন্য তাহা অপেক্ষ অনেক কম খরচ করেন । তাহার উপর যদি সংস্কৃত কলেজের স্কুলটির প্রাণবধ করা হয়, তাহা হইলে এরূপ কার্ধ্য সম্বন্ধে ঠিক কি বিশেষণ প্রয়োগ করা উচিত, তাহ স্থির করিবার জন্ত অভিধান দেখিতে হইবে। মক্তব-মাদ্রাসায় ও টোলে সরকারী সাহায্য ংল-গবন্মেণ্ট মক্তব-মাদ্রাসায় ও টোলে কত টাকা দেন, অনেকেই সে খবর রাপেন না । তার কারণ, পণ্ডিত পঞ্চানন তর্করত্ন ও অন্যান্ত অনেক হিন্দু ব্রান্ধ রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের নিন্দা করিতে যতটা পরিশ্রম করেন, হিন্দুদের সংস্কৃত শিক্ষার এবং অন্তবিধ স্বার্থরক্ষার জন্য ততটা মনোযোগী নহেন । ১৯৩০-৩১ সালের বঙ্গের সরকারী শিক্ষা রিপোর্ট আধুনিকতম। তাহার ৯° পৃষ্ঠায় দেখিতেছি ঐ বৎসর মক্তবগুলিতে সরকারী সাহায্য ৭,৭৪,৪৬৬ টাকা দেওয়া হইয়াছিল, টোলগুলিতে সরকারী সাহায্য ৫৮,৪৯• টাকা দেওয়া হইয়াছিল। অর্থাৎ মক্তবে সাহায্য টোলে BBBLLLL BDD K uTCS BuSDeeT TeHHeHkeTeeeS eeAeeieSeS