পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহায়ণ বিবিধ প্রসঙ্গ—বিলাতী শ্রমিক দল ও গোলটেবিল বৈঠক \రిe:S রিপোর্টে আছে। তাহাতে দেখিলাম, গ্রেট ব্রিটেন ও আয়ার্ল্যাণ্ডে ১৮১৯, আমেরিকার ইউনাইটেড ষ্টেটুসে ২০e, ফ্রান্সে ২৫, জাৰ্শেনীতে ৪৬, ইতালীতে ১২, স্কুইডেনে ২, श्ङ्गेहेछांणfां८७ 8 uब६ अश्लेिबांब २० छन झांख ये रु९णब्र পড়িত। মোট ২১২৩ ৷ উচ্চশিক্ষা ইংলণ্ডের চেয়ে ইউরোপের অন্ত কোন কোন দেশে ভাল হয়, এবং কোন কোন বিষয়ে আমেরিকাতেও হয়। কিন্তু ভারতবর্ষে সরকারী চাকরির বাজারে বিলাতী শিক্ষার আদর বেশী, ভারতবর্ষে ব্যারিষ্টারীই কেবল বিলাতী শিক্ষাতেই করা চলে। তা ছাড়া, ইংলণ্ড ও আমেরিকায় শিক্ষা পাইতে হইলে ইংরেজী জানাই যথেষ্ট। ইউরোপ মহাদেশের যে-দেশে ছাত্র যাইবে, তথাকার ভাষা নূতন করিয়া শিখিতে হয়। এই সব কারণে সকলের চেয়ে বেশী ভারতীয় ছাত্র বিলাত যায়, তার পর আমেরিকা । অনেক রকম উচ্চতম শিক্ষা আছে, যাহার বন্দোবস্ত ভারতবর্ষেই হওয়া উচিত। কিন্তু সেদিকে গবন্মেন্টের দৃষ্টি নাই। দেশের ধনী লোকের কেহ কেহ শিক্ষার জন্য অনেক টাকা দান করিয়াছেন। কিন্তু অনেক প্রয়োজনীয় বিষয়ে শিক্ষার জন্য ধনী শ্রেণীর লোকদের দানের এখনও আবশ্বক আছে । গোলটেবিল বৈঠক তথাকথিত গোলটেবিল বৈঠকের প্রথম দুই বৎসরের অধিবেশনগুলির জন্য গবন্মেণ্ট কতকগুলি ভারতীয় লোককে ভারতবর্ষের প্রতিনিধি মনোনীত করিয়াছিলেন । যাহাদের প্রতিনিধিত্ব করিতে হইবে, তাহারা প্রতিনিধি নির্বাচন করিতে পাইবে না, অন্তেরা প্রতিনিধি বাছিয়া দিবে, ইহা অপূৰ্ব্ব প্রতিনিধিত্ব বটে। যাহা হউক, প্রথম দুই বারের বৈঠকে ভারতবর্ষের লোক অনেকগুলি ছিল, এবং ভারতের সকলের চেয়ে বড় ও শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের নেতা দ্বিতীয় বারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেইজন্য আগেকার বন্দোবস্ত কতকটা মন্দের ভাল ছিল। কিন্তু তাহাতে স্বফল কিছুই হয় নাই। এবার ষে বৈঠক বসিতেছে, তাহাতে ভারতীয় লোক খুব কমাইয়া দেওয়া হইয়াছে, কংগ্রেসের কেহ তাহাতে নাই, বৈঠকের আলোচনা গোপনে হুইবে, আলোচনা কেবল সেই সেই বিষয়ে হইবে যাহা ব্রিটিশ গবলেট স্থির করিয়া রাখিয়াছেন, এবং অধিবেশনগুলির কার্ধ্যতালিকা প্রকাশ করা হইবে না। স্বতরাং এরূপ বৈঠক হইতে যে ভারতবর্যের স্বরাজপ্রাপ্তির কোনই সম্ভাবনা নাই, তাহা বলা বাহুল্য মাত্র। বিলাতী শ্রমিক দল ও গোলটেবিল বৈঠক তথাকথিত গোলটেবিল বৈঠকে এবার আর একটি “মূৰ্ত্তন কিছু” ঘটিয়াছে। তাহা দুঃখের বিষয় নহে। ভারতবর্ষ সম্বন্ধে ইংরেজ রাজনীতির একটা বাধা বোল এই আছে, যে, ভারতবর্ষ বিলাতী রাজনৈতিক দলাদলির বিষয়ীভূত (অর্থাৎ "party question” ) নহে। তাহার মানে বুঝা কঠিন নয়। বিলাতী প্রায় সব রাজনৈতিক প্রশ্ন ও সমস্যার মীমাংসা দলাদলির বিষয়ীভূত। কোন সময়ে প্রবলতম দল যে-ষে বিষয়ের পক্ষপাতী হয়, তাহার নিম্পত্তি তাহাঁদের মত অনুসারে হয়। অবশ্য গ্রেট ব্রিটেনের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা সম্বন্ধে গুরুতর আশঙ্কার কারণ ঘটিলে সকল দল এক হইয়া কাজ করে—যেমন, গত মহাযুদ্ধের সময় করিয়াছিল। কিন্তু ইহা সাধারণতঃ ঘটে না । সাধারণতঃ, যে-প্রশ্ন প্রবল কোন দল সমর্থন করে, তাহারই আলোচনা এবং, সম্ভব ইষ্টলে, নিম্পত্তি হয়। স্বতরাং “ভারতবর্ষ বিশেষ কোন দলের প্রশ্ন নয়, উহার সম্বন্ধে বিহিত করা সকল দলেরই কৰ্ত্তব্য,” এরূপ বলীতে, “ভাগের মা গঙ্গা পায় ন,” এই প্রবচনই মনে পড়ে। ভারতবর্ষ যে পার্টি কোশ্চানু বা দলীয় প্রশ্ন নহে, তাহার আরও একটু অর্থ আছে। তাহার মানে, ভারতবর্ষকে কিছু অধিকার দিতে হইলে বিলাতী সকল রাজনৈতিক দলেরই ভাবা উচিত, তাহা দিলে গ্রেট ব্রিটেনের স্বার্থে আঘাত পড়িবে কি-না। বস্তুতঃ, সচরাচর এই ভাবেই পালেমেণ্টে ভারতবর্ষ সম্বন্ধীয় সব প্রশ্নের মীমাংসা হইয়া থাকে। বাহিরে ফেদল যাহাই বলুন, অন্তরে কোন দলই ভারতবর্ষকে ভারতবর্ষীয় সমস্ত ব্যাপারে, এমন কি ছোট ছোট বিষয়েও, প্রভু হইতে দিতে নারাজ। কারণ তাহা रहे.७