পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२२ S99áు o iāiāడ్విi Vo •Σ: "Σ, Γ. Γ.", η "Ε, আমারি পাদোদক নিয়ে প্রাণপ্রবাহিণী বইচে তাদের শিরায় । তাদের অপমান আমাকে বেজেচে, আজ তোমার হাতের নৈবেদ্য অশুচি ” “লোকস্থিতি রক্ষা করতে হবে যে প্রভু”— বলে গুরু চেয়ে রইলেন ঠাকুরের মুখের দিকে। ঠাকুরের চক্ষু দীপ্ত হয়ে উঠল, বললেন, “যে লোকস্থষ্টি স্বয়ং আমার, যার প্রাঙ্গণে সকল মামুষের নিমন্ত্রণ, তার মধ্যে তোমার লোকস্থিতির বেড়া তুলে আমার অধিকারে সীমা দিতে চাও, এত বড়ো স্পৰ্দ্ধা ।” রামানন্দ বললেন, “প্রভাতেই যাবে। এই সীমা ছেড়ে, দেবে আমার অহঙ্কার দূর করে তোমার বিশ্বলোকে ।” তখন রাত্রি তিন প্রহর, আকাশের তারাগুলি যেন ধ্যানমগ্ন, গুরুর নিজা গেল ভেঙে, শুনতে পেলেন, “সময় হয়েচে ওঠে, প্রতিজ্ঞা পালন করে।” রামানন্দ হাতজোড় ক’রে বললেন, “এখনো রাত্রি গভীর, পথ অন্ধকার, পাখীরা নীরব। প্রভাতের অপেক্ষায় অাছি।” ঠাকুর বললেন, “প্রভাত কি রাত্রির অবসানে ? যখনি চিত্ত জেগেচে, শুনেচ বাণী, তখনি এসেচে প্রভাত । যাও তোমার ব্রত পালনে - রামানন্দ বাহির হলেন পথে একাকী, মাথার উপরে জাগে ধ্রুবতারা । পার হয়ে গেলেন নগর, পার হয়ে গেলেন গ্রাম। নদীতীরে শ্মশান, চণ্ডাল শবদাহে ব্যাপৃত। রামানন্দ হই হাত বাড়িয়ে তাকে নিলেন বক্ষে। সে ভীত হয়ে বললে, “প্রভু আমি চণ্ডাল, নাভা আমার নাম, - হেয় আমার বৃত্তি, অপরাধী করবেন না অামাকে ৷”