গুরু বললেন, “অস্তরে আমি মৃত, অচেতন আমি, তাই তোমাকে দেখতে পাইনি এতকাল, তাই তোমাকেই আমার প্রয়োজন, নইলে হবে না মৃতের সৎকার ।” চললেন গুরু আগিয়ে । ভোরের পাখী উঠল ডেকে, অরুণ অালোয় শুকতারা গেল মিলিয়ে । কবীর বসেচেন তার প্রাঙ্গণে, কাপড় বুনচেন আর গান গাইচেন গুন্ গুন স্বরে। রামানন্দ বসলেন পাশে, কণ্ঠ তার ধরলেন জড়িয়ে । কবীর ব্যস্ত হয়ে বললেন, “প্ৰভু, জাতিতে আমি মুসলমান, আমি জোলা, নীচ আমার বৃত্তি।” রামানন্দ বললেন, “এতদিন তোমার সঙ্গ পাইনি, বন্ধু, তাই অস্তরে আমি নগ্ন, চিত্ত আমার ধুলায় মলিন, আজ আমি পরব শুচিবস্ত্র তোমার হাতে আমার লজ্জা যাবে দূর হয়ে ।” শিষ্যেরা খুজতে খুজতে এল সেখানে, ধিক্কার দিয়ে বললে, “এ কী করলেন প্ৰভু ?” রামানন্দ বললেন “আমার ঠাকুরকে এতদিন যেখানে হারিয়েছিলুম, আজ র্তাকে সেখানে পেয়েচি খুজে ।” সূৰ্য্য উঠল আকাশে আলো এসে পড়ল গুরুর অনিন্দিত মুখে ॥
পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।