পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালা টাইপ ও কেস ঐঅজরচন্দ্র সরকার <थष८भई बलिब ब्रांथी छांज, चांभांब्र ७ई थशाकद्र भाषा इ३-क्रांबिई। उॉबिष ७वर झहे-नाक बन थाप्नौन दाखिन्द्र নামোল্লেখ প্রভৃতি থাকিলেও ইহা ইতিহাস বা প্রত্নতত্ত্ববিষয়ের প্রবন্ধ নয়। আমার উদ্দেশ্য শুধু উপকারিত, প্রয়োজনীয়তা ও কাৰ্য্যকারিভার দিক্ হইতে বাঙ্গালা টাইপ ও কেসের বিশদ আলোচনা। মনের কথাটি গোড়াতেই খুলিয়া বলা ভাল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের বাঙ্গালা টাইপ ও কেলের আমূল সংস্কার ও পরিবর্তন হওয়া একান্ত আবগুক ; আর ইহাও আমার ধ্রুব ধারণা যে, বাঙ্গালা টাইপ ও কেস যথোপযুক্তভাৰে সংস্কৃত ও পরিবর্তিত হইলে বাঙ্গালা ভাষায় মুদ্রণকাৰ্য্য অনায়াসে স্বসম্পন্ন হইবে, এখনকার অপেক্ষা অনেক কম খরচায় অনুষ্ঠিত হইবে এবং অদূর ভবিষ্যতে বাঙ্গালা ভাল টাইপ রাইটার, মনোটাইপ ও লিনোটাইপ মেশিন প্রবর্তিত হইয়া বাঙ্গালার মুদ্রণকার্ধ্যে যুগান্তর উপস্থিত হইবে। আমার এই বিশ্বাস ও ধারণাগুলি সুধীজনগণ-মধ্যে বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত ও পরিস্ফুট করিতে হইলে আমাকে নাতিদীর্ঘ পাচটি প্রবন্ধ লিখিতে হুইবে । (১) এইটি প্রথম প্রবন্ধ ; বাঙ্গাল টাইপ ও কেসের সাধারণভাবে পরিচয় এবং ইহাদের কোন সংস্কার ও পরিবর্তন আৰশুক কি-না, তাহাই এই প্রথম প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয়। (২) দ্বিতীয় প্রবন্ধে থাকিবে—প্রত্যেক টাইপের ধারাবাহিক আলোচনা ও প্রয়োজনীয়তা-সম্বন্ধে বিচার ; টাইপ-সংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি করার প্রস্তাব ; নূতন টাইপের প্ৰবৰ্ত্তন-ও প্রচলন-প্রস্তাব এবং সংযুক্ত টাইপের আকৃতিগত বিশ্লেষণ প্রভৃতি। (৩) তৃতীয় প্রবন্ধে থাকিবে—কেসের গঠন ও আকার প্রভৃতি বিষয়ের সম্যক্ পরিচয় ; কেসের মধ্যে বিভিন্ন ঘরে বা খোপে টাইপের অবস্থান-সম্বন্ধে আলোচনা ; বাঙ্গালা সাট ( fount ) : ইহার ওজন, সাটের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন টাইপের সংখ্যা অথবা পরিমাণ ঃ ইহা নির্ণয় করার প্রকৃষ্ট উপায় ও নিয়ম প্রভৃতি । (৪) চতুর্থ প্রবন্ধে থাকিবে—মুদ্রাঙ্কণের নিৰ্দিষ্ট কেত (style : বিশেষভাবে বাঙ্গাল শব্দের বাণান, বিরাম বা ছেদ (punctuation) এবং পঙক্তি, শব্দ, ছেদ ও টাইপের মধ্যে ফাক- ( spacing ) সম্বন্ধে আলোচনা। জার পঞ্চম বা শেষ প্রবন্ধে থাকিবে-বাঙ্গালা প্রুফ দেখাসম্বন্ধে আলোচনা ও বিবৃতি । সম্ভবতঃ ১৭৭৮ খৃষ্টাব্দে বাঙ্গালা টাইপে প্রথম বাঙ্গালা বই চুচূড়ায় (হুগলী ) ছাপা হয়। বইখানি দ্যাথানিয়েল ব্রাসি হালহেড কর্তৃক প্রণীত বাজাল ব্যাকরণ । ইহার এক খও বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদের পুস্তকাগারে আছে। ইহার পূৰ্ব্বে লণ্ডনে বাঙ্গালা টাইপে অন্ত একখানি বই প্রকাশিত হইয়াছিল। সেখানির কথা এই প্রবন্ধে আলোচনা করার দরকার নাই। এই বাঙ্গালী ব্যাকরণের জঙ্গ লেফটেন্যান্ট চালর্স উইলকিন্স ( পরে প্রসিদ্ধ ভাষাবিং স্তর চালর্স ) শ্রীরামপুরের পঞ্চানন কৰ্শ্বকারকে দিয়া বাঙ্গালা টাইপ ভৈয়ার করাইয়া লন । সম্ভবতঃ সেই টাইপ কাঠে খোদাই করা হইয়াছিল। ইহার প্রায় চল্লিশ বৎসর পরে অর্থাৎ উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে মার্শম্যানপ্রমুখ রামপুরের মিশনরিগণ কর্তৃক বাঙ্গালা টাইপে মাসিক ও সাপ্তাহিক পত্র পর্য্যন্ত মুদ্রিত হইতে আরম্ভ হয় । ১৮১৮ খৃষ্টাব্দে দিগদর্শন মাসিক পত্রিকা এবং সাপ্তাহিক ‘সমাচার-দৰ্পণ প্রকাশিত হয়। হীরামপুরের মনোহর কৰ্ম্মকার এই প্রথম সীসার টাইপ খোদাই করিয়া দেয়। কলিকাতায় ও শ্রীরামপুরে এই মনেfহরের বংশধরগণের টাইপ ঢালাইয়ের কারখানা এখনও বেশ ভালভাবে চলিতেছে । এই সময় হইতেই কলিকাতায় বটতলায় ছাপাখানার স্বত্রপাত। বটতলার ছাপাখানা হইতে বঙ্গভাষা তথা সাহিত্য যেভাবে সমৃদ্ধিশালী হইয়াছে, তাহা ভাষায়