পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ উচিত— ইত্যাদি নানা আলোচনা, আন্দোলন ও আস্ফালন। শেষে কোন পক্ষই হার মানেন না। এখন উপায় ? পুস্তকখানি ছিল ৰিভিন্ন লেখকের লিখিত কতকগুলি রচনার সমষ্টি । শেষে সম্পাদকৰয় মন্তব্য প্রকাশ করিলেন, যে লেখকের মূল রচনার কপিতে খৃষ্ট প্রভৃতি শৰ যেরূপ ভাবে বাণান করা আছে, আলোচ্য পুস্তকমধ্যে ঠিক সেই ভাবের বাণান ছাপা হইবে । আমাদের মত উলুখাগড়ার ধড়ে প্রাণ আসিল, দুই জনেরই জেদ বজায় রছিল,—পুস্তক-মধ্যে, "ষ্ট’ ও ‘শ্ৰীষ্ট –ছুই রূপ বাশানই মুদ্রিত হইল। ইহা হাসির কথা কি কাঞ্জার বিষয় তাহা পাঠকপাঠিকাগণের বিচাৰ্য্য। ( e ) গন-যুক্ত গ্র টাইপ আছে, কিন্তু গণ জোড়া টাইপ নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয় বর্ণপরিচয় দ্বিতীয় ভাগে গন-য়ের চারটি মাত্র উদাহরণ দিয়াছেন,—ভগ্ন, মগ্ন, चध्रि ७द६ चां८धञ्च ; *क्रग्रं’ ८मन नाझे,-निद्रल ८नशि८ङ পাইতেন গণ স্বতন্ত্র টাইপ করা আবশ্যক। তর্কালঙ্কার মহাশয় গ্ল-য়ের একটি মাত্র উদাহরণ দিয়াছেন,—ভগ্ন গৃহে বাস করা আমুচিত। কাজেই আমরা আজ পর্য্যন্ত ছাপার অক্ষরে এবং হাতের লেখায় ‘রুগণ’ লিখিতে ‘রুগ্ন’ লিখিতেছি, অর্থাৎ গণ-য়ের বদলে অম্লান বদনে গ্র চৌচাপটে চালাইতেছি। আমি দুই-একটি প্রবন্ধের কপিতে রুগণ লিখিয়াছিলাম, কিন্তু ভুল বাণান লিখিয়াছি স্থিরীকৃত হ৭য়ায় ‘রুগ্ন ছাপা হইয়াছে। (৬ ) ওঁ টাইপ কি এখনও কেসে থাকা দরকার ? বাঙ্গালা সাহিত্যে ঐর স্কায় বাঙ্গালা সমাজ গর্ভহীন করিবার প্রকৃষ্ট প্রচেষ্টা অমুস্থত হইতেছে ; স্বতরাং কেবল মাজ বিজ্ঞাপনদিতে গিয়া ঐ শব্দটি প্রয়োগ করিতে হুইবে, তখন গৰ্ত্তের পরিবর্ভে গর্ভ মুজিত করিলে চলিবে না কি ? আর যদি এ কথা থাটি সংস্কৃত ব্যাকরণ-সম্মত হয় যে, রেফের খাতিরে যে ব্যঞ্জন দ্বিত্ব হয়, তাহা কেবল মাত্র বিকল্পে, তবে সংস্কৃতের সেই বিকল্প ব্যবস্থাটিকে বাঙ্গালায় জোর করিয়া অবগুপ্রতিপালিত বিধি বলিয়া এখনও চালাই কেন ? যদি সংস্কৃতের এই বিকল্প বিধান বাঙ্গাল। হইতে তুলিয়া দেওয়া হয়—যেমন সংস্কৃতে ও হিন্দীতে চিরকাল চলিয়া আসিতেছে—তাহা হইলে সার্চ লাইট هس-9۹ বাঙ্গালা টাইপ ও কেস "రిసియా জালিয়া সাহিত্যের চর্চা করিতে হুইবে না, কিছু কিছু অর্জন করিবার অভ্যাল করিলে ভবিষ্যতে কর্জ করিতে হুইবে না, নর্দামার কর্ণমে পতিত হইয়া অভ্যর্ধ্যামীর শরণ লইতে হইবে না, পৰ্ব্ব-উপলক্ষে অৰ্ধ মূলো বাৰ্ত্তাকু ক্ৰয় করিয়া কৰ্ত্তব্যপরায়ণ৷ গত্তিণী গৃহিণী কর্তৃক ভৎসিত হইয়া মর্শ্বে মরিয়া গিয়া গৰ্দ্দভ বা বৰ্ব্বর বনিয়া যাইতে হুইবে না। এই ভাবে নানাবিধ মহোপকার সংসাধিত হইয়। বাঙ্গালা কেস অনেক হাল্কা হুইয়া বাইবে, ছেলেমেয়ের গুরুভার বাণান-মুখস্থর দায় হইতে অনেকটা নিষ্কৃতি পাইবে, কম্পোজিটাররা স্বস্তির নিঃশ্বাগ ফেলিবে আর আমরা, প্রক্ষরিডাররা, একটু-ৰ হাফ ছাড়িয়া বাচিব। এই ভাবে টাইপের একটু-আধটু সংস্কার করিবার আশা কি একান্তই জ্বরাশা ? ( ৭ ) অর্জুন খর্জুর থাইতে ভাল বাসিতেন কি-না— এই একটি মাত্র ঐতিহাসিক মৌলিক গবেষণা করিবার জs ब्बू, फे६ भcचत्र छछ ६, ७क भाज हेश्ब्राबी हैो नएचब জন্ত ষ্ট্রী এবং ট্রি প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন টাইপ বৰ্ত্তমান । এইগুলির সম্বন্ধে পুখানুপুঙ্খরুপে আলোচনা ও বিচার করা দরকার নয় কি ? ( ৮ ) তারপর কেসের মধ্যে এমন কতকগুলি যুক্তাক্ষর রহিয়াছে বাঙ্গালা সাহিত্যের মধ্যে যেগুলির প্রয়োগ অতিবিরল অথবা সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ; যেমন-স্ক এ ৰূপ ৰ ভ বা র ব্লু ভূ স্ব কুঁ স্ব প্রভৃতি । পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, দ্বিতীয় প্রবন্ধে ৫৬৩টি টাইপের প্রত্যেকটির উপযোগিতা-ও অনুপযোগিতা-হিসাবে ধারাবাহিক আলোচনা করিব । এইবার বাঙ্গাল কেল-সম্বন্ধে দুই-চার কথা বলিব। সমগ্র বাঙ্গালা কেস চারখানি আলাদা আলাদা কেস লইয়া। কম্পোজিটারের সম্মুখে একখানি, কোলের কাছে একথানি, ডান দিকে একখানি এবং বা দিকে একখানি। সম্মুখের, ডান দিকের এবং বা দিকের প্রত্যেক কেসে ১২৮টি করিয়৷ সমান মাপের ঘর আছে এবং কোলের কাছের কেসের বা ধারের আধখানায় ছোটবড় ৩২টি এবং ডান ধারের আধখানায় ছোটবড় ৩৯টি ঘর আছে। ঘরের মোট সংখ্যা—১২৮× ৩+৩২+৩৯-৪ee । কিন্তু পূৰ্ব্বেই