רדיויו וזרזיוףןף সুইডেনে শিশু ও মাতৃ মঙ্গল শ্ৰীলক্ষ্মীশ্বর সিংহ প্রত্যেক সভ্যদেশে শিশুশিক্ষা ও শিশুসংরক্ষণ মূলক আইন আছে । মানব সভ্যতার বয়স বাড়িবার সঙ্গে সঙ্গে শিশুশিক্ষা ও শিশুমঙ্গল কাৰ্য্য দ্রুতগতিতে বৈজ্ঞানিক পথ লইতেছে । এই শিশুশিক্ষ। সে জাতিগঠনের গোড়াকার জিনিধ, তাহ হয়ত সকলেই বুঝেন। এই প্রবন্ধে স্বইডেন দেশে শিশুমঙ্গল কার্যা সরকারী আইনের দ্বারা ও বেসরকারী চেষ্টায় কি ভাবে চলিয়াছে, সে-সম্বন্ধে বলিব । কারণ, কৰ্ম্মপরায়ণ শ্রমশীল স্নইডেনবাসীর এই সামাজিক উন্নতির মূলে রহিয়াছে সেখানকার জাতীয় শিশুমঙ্গল কার্যা। শিশুদের যত্ন করা সম্বন্ধে আইন সৰ্ব্বপ্রথম খৃষ্টাব্দে স্কুইডেনে প্রবর্হিত হয়। তখন ইষ্টতেই পিতৃ ১৬২৪ ষ্টকহলমে গৃহহীন দরিদ্রদের বাসভবন মাতৃহীন বা অভিভাবকশ্বন্ত শিশুদের শিক্ষা ও ধরে জন্য স্থানে স্থানে বিদ্যালয় ও শিশুগৃহের সৃষ্টি হয়। অনাহারে যাহাতে কেহ কষ্টভোগ না করে, সে জন্য দরিদ্ররক্ষ। আইন অনেক দিন হইতেই চলিয়া আসিতেছে । পূৰ্ব্বে বেকার পিতামাতারা আপন শিশুদের জন্য শিশুমঙ্গল আইনের সাহায্যে অর্থ পাইতেন । কিন্তু ১৮৪২ খৃষ্টাব্দে বিনা বেতনে প্রাথমিক শিক্ষামূলক আইন প্রবর্হিত হওয়ার ча аҹ»“ь ф সঙ্গে সঙ্গে শিশুশিক্ষা ও শিশুমঙ্গল-কাৰ্য্য স্বতন্ত্র রূপ ধারণ করে এবং জনসাধারণের ভিতর এই চেষ্টা দ্রুত বিস্তুত হইতে থাকে। গত শতাব্দীর শেষভাগে সেখানকার জনসাধারণ জাতীয়ভাবে শিশুমঙ্গল আইন প্রবর্তনের প্রয়োজন বোধ করে। ফলে, ১৯০২ খৃষ্টাব্দে শিশুমঙ্গল আইন সৰ্ব্বসম্মতিক্রমে প্রবষ্টিত হয় । এই আইনের বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল, যে-সকল শিশুর পিতামাতা পরস্পরের সহিত বিবাহিত নহে, সেই সকল শিশুর যথোপযুক্ত ঋতু ও শিক্ষণ ; শিশুদের নিকট মাদক দ্রব্য বিক্রয় বন্ধ করা ; শিশু অপরাধীদিগকে স্বশিক্ষাদানের ব্যবস্থা ইত্যাদি । - বৰ্ত্তমানে শিশুমঙ্গল আইন কার্যকর করিবার ক্ষমতা ৪ দায়িত্ব সমাজের লোকের হাতে ন্যস্ত হইয়াছে। যেখানে একটি মিউনিসিপ্যালিটী বা ছোট জনসঙ্ঘ রহিয়াছে সেই স্থানে শিশুদের জন্ত শিশুমঙ্গল সমিতি বা বোর্ডও একটি ক্ষরিয়া আছে। এই বোর্ডের সভাদের মধ্যে আইন অক্সারে একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক, একজন ধৰ্ম্মযাজক, শিশুমঙ্গল কায্যে উৎসাহী দুইজন কৰ্ম্মী ও প্রয়োজনমত একজন ডাক্তার থাকেন । তাছাদের মধ্যে অন্তত: একজন মহিলা সভ্য থাকেন। এক একটি পাড়ার গণ্ডীর মধ্যে প্রত্যেক শিশুর যত্ন যথোপযুক্ত হইতেছে কি-না তাহা দেখা ও ধত্বের ক্রটি হইলে আইন অনুসারে বিহিত ব্যবস্থাদান— এই দুইয়ের দায়িত্ব সমিতির হাতে থাকে। এই সমিতির অঙ্ক প্রধান কাজ—শিশুমঙ্গল-কার্ধ্যের ক্রমোন্নতি সাধন । অভিভাবকবৃন্ত বা অসমর্থ অভিভাবক বা পিতামাতাদের শিশুদিগকে স্বতন্ত্রভাবে শিক্ষার জন্য শিশুগৃহে বা বিদ্যালয়ে পাঠানো ; পরস্পর বিবাহসম্পর্কহীন পুরুষনারীর শিশুদিগকে সম্পূর্ণভাবে বৈধ সস্তানদের অধিকার সম্পন্ন করিয়া লওয়া । গভর্ণমেণ্ট-নিয়োজিত পরিদর্শকমণ্ডলী এই সমিতিগুলির কাজ সম্বন্ধে রিপোর্ট করেন।
পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।