wo), 8 সীমাবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছে, ইহাতে তাহাব কোন দোষ স্পর্শে নাই । ংখ্য, জড় ও চেতন অর্থাৎ প্রকৃতি ও পুরুষ এই দুই সত্তা মানিয়া লইয়া স্থটি প্রকরণ ব্যাখ্যা করিয়াছেন। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে এই দুইয়ের কোন একটিকে বাদ দেওয়া চলে না, কিন্তু একটু বিচার করিলেই দেখা যাইবে যে, এই দুই তত্বের গুরুত্ব সমান নহে। ইন্দ্রিয়দ্বার ব্যতিরেকে জড় প্রতিভাত হয়, না অর্থাৎ ইঞ্জিয়লব্ধ জ্ঞান বা চেতনার আশ্রয়েই জড় সিদ্ধ হয়, কিন্তু চেতন স্বয়ংসিদ্ধ। আমরা জড়জগতের সমস্ত ব্যাপার ইঞ্জিয় জ্ঞানরূপ দোভাষীর সাহায্যে জানিতে পারি। মধ্যে এই দোভাষী থাকায় মনে স্বতই সন্দেহ জন্মে যে, জড়ের প্রকৃত তত্ত্ব আমরা জানিতে পারিতেছি কি না। যখন দেখি যকৃতের দোষে চক্ষুরিন্দ্রিয় বিকৃত হইলে শ্বেতবর্ণকে হরিদ্রা বর্ণ বলিয়া অনুভূত হয় তখন এই সন্দেহ আরও বদ্ধমূল হয়। ইঞ্জিয়গুলির স্বভাবজাত কোন দোষ থাকিলে বহিবঞ্জ বিকৃত হইয়াই প্রতিভাত হইবে এবং সেই ভ্রম কোন কালেই আমরা ধরিতে পারিব না। এরূপ ক্ষেত্রে বহিবস্থর প্রকৃতজ্ঞত্ব আমরা জানি বলা চলে না। দূরবীক্ষণের কাচের দোযে আমরা যেরূপ দুরন্থ বর্ণহীন পদার্থকেও বর্ণসংযুক্ত দেখি হয়ত সেইরূপ চক্ষুরিঞ্জিয়ের স্বাভাবিক গঠনের দোষে বাস্তবিক বর্ণহীন পৃথিবীকে বিচিত্র বর্ণময় দেখিতেছি। এই সন্দেহ নিরাকরণের কোন উপায় নাই । আরও গুরুতর সন্দেহের কথা আছে। স্বপ্ন কালে আমরা এক বিচিত্র জগৎ কৃষ্টি করি। স্বপ্নদৃষ্ট নদী, পৰ্ব্বত, মহুষ্য, পশু, পক্ষী প্রভৃতির কোন বাস্তব সত্তা নাই। স্বপ্রকালীন চেতনায় ষে সকল জড়বস্তু প্রতিভাত হয় তাহদের বাস্তব অস্তিত্বে প্রতীতি জন্মিলেও তাহারা বস্তুনিরপেক্ষ ও মনঃকল্পিত । স্বপ্নকালে স্বল্পজগতের মিথ্যাজ প্রমাণ করা যায় না । অতএব দেখা যাইতেছে যে, ইজিয়সমূহের প্রত্যক্ষজ্ঞান ও তদ্বারা প্রকাশিত জড়জগৎ বাস্তব সত্তা নাও হইতে পারে। জাগ্রত অবস্থায় যে-জগৎ সত্য বলিয়া অহস্থত হয় মোক্ষাবস্থায় হয়ত তাহার মিথ্যাজ ধরা পড়ে। এই সকল বিচার हहे८७ बूको बाहेरद cय, cछख्न ७ बफ़ uहे छ्रे S99ళీు আদিতত্বের মধ্যে চেতনারই গুরুত্ব অধিক। বেদান্ত মতে চেতন হইতেই জড়ের উৎপত্তি। ব্ৰহ্মরূপ চেতনার थार्थ८ब्रहे छफ़छर्ण९ अंछिडॉनिऊ श्छ । खरफ़ब्र निखत्र शृषक সত্তা নাই। মোক্ষকালে জগতের সমস্ত পদার্থ ব্ৰক্ষে লীন হইয়া নানীত্ব জ্ঞান লোপ পায় । এক এবং অদ্বিতীয় ব্ৰহ্ম সত্তাই থাকিয়া ধায় । কাপিল মতে জড় ও চেতন অর্থাৎ প্রকৃতি ও পুরুষ উভয় সত্তাই সত্য এবং উভয়ের সংযোগেই জগৎ স্পষ্ট হয়। পুরুষ বহুসংখ্যক কিন্তু প্রকৃতি এক এবং সেই জন্যই প্রত্যেক পুরুষের নিকট স্থষ্টি একই প্রকার বলিয়া অনুভূত হয়। স্থষ্টির অভিব্যক্তি কালে পুরুষের চেতনার আশ্রয়েই সমস্ত জগৎ প্রকটিত হয়। স্বল্প হইতে আরম্ভ করিয়া ক্রমশঃ স্কুল জগতের অমৃভূতি জন্মে। ইহাই কুষ্টি । - বিশ্বের যাবতীয় পদার্থ কোনও-না-কোন ইন্দ্রিম্বার দ্বারা পুরুষের চেতনায় প্রবেশ করে। অধিকাংশ পদার্থের অস্তিত্ব একাধিক ইঞ্জিয়ের দ্বারা আমরা জানিতে পারি। বহিব"র প্রকাশক ইন্দ্রিয়গুলিকে আমরা জ্ঞানেঞ্জিয় বলি । এই জ্ঞানেজিয়ের সংখ্যা মাত্ৰ পাচটি, যথা–চক্ষু, কর্ণ, নাসিক, জিহা এবং ত্বক। স্থূল চক্ষু, কর্ণ প্রভৃতি ইন্দ্রিয় নহে কিন্তু ইঞ্জিয়ের আশ্রয়স্থান মাত্র। যে-শক্তির দ্বারা আমরা দেখি তাহাই চক্ষুরিঙ্গিয় । চক্ষু দুইটি কিন্তু দর্শনেন্দ্রিয় একটি। সেইরূপ শ্রবণেন্দ্রিয় ইত্যাদি । বহিবস্তুতে বিশেষ বিশেষ গুণ থাকাতেই তাহারা চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয়গণকে ক্রিয়াশীল করে। বহির্বস্তুর যে গুণে চক্ষুরিঞ্জিয় ক্রিয়াশীল হয় তাহার নাম রূপ, কিন্তু রূপবোধ মনের অক্ষভূতি । রূপের অনুভূতিকেও রূপ বলা হয়। রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ বলিলে বাহিরের রূপ, রস ইত্যাদি ও মনের রূপ, রস ইত্যাদির অনুভূতি উভয়ই বুঝাইতে পারে। এই ছুইয়ের পার্থক্য পরে আরও বিশদ হইবে। পঞ্চেজিয়ের অস্থভূতির উত্তেজক বহির্বস্তুতে পাচটি পৃথক গুণ কল্পিত হইয়াছে, যথা—রুপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ এবং শৰ । সকল পলার্থেই এই পাচটি গুণ বিদ্যমান নাই। গুণের সংখ্যাধিক্যে জড় পদার্থ স্কুল বিবেচিত হয় এবং সংখ্যালাঘবে তাহা স্বল্প হয়। স্কৃত্তিকাতে পাচটি গুণই বর্তমান, কারণ আমরা চক্ষুদ্বারা স্মৃত্তিকা দেখিতে পাই, জিহাদ্বারা
পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।