পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Ֆ8 দিস তার ওপর গেট নির্ভর করবে। ফল ত হবেই এবং কি ফল যে হবে লেণ্ড ত আমি আগে থেকেই ব’লে রেখেছি।” বীণ! গাড়ীর দিকে অগ্রসর হইয়া গেল। গাড়ী আবার অট্টশন্ধে টার্ট, লইতে আরম্ভ করিতেই স্থলত তাহার বাস্থ স্পর্শ করিয়া তাহাকে ফিরাইলেন, তারপর তাহার কানের কাছে মুখ লইয়া কছিলেন, “হ্যারে, মালপো আর আছে ?” বীণা কহিল, “কেন, তোমার আরও চাই ।” স্বলতা কহিলেন, “দেখ, মার খাবি। সত্যি বলছি, যদি মালপো আর থাকে ত গুঁকে দিস, ভালোবেসে থাবেন ।” বীণা কহিল, “মুখের যা চেহারা দেখছি, নিশ্চয়ই সমস্ত দিন খায়নি। বাজারের তেলেভাজা বালি কচুরী দিলেও এখন কিছুমাত্র কম ভালোবেসে খাবে না।” . স্বলতা কহিলেন, “তাই না-হয় দিস। খাওয়া যেমনই হোক, ভালোবাসাটা থাকৃলেই হ’ল।” গাড়ীর দম লওয়া হইয়া গেলে শাড়ীর অঞ্চল সম্বরণ করিয়া বীণা তাড়াতাড়ি উঠিয়া পড়িল, অজয়কে কহিল, “আমুন।” অজয় একটু ইতস্ততঃ করিয়া গাড়ীর সম্মুখ ঘুরিয়া ড্রাইভারের পাশে বসিতে গেলে বেশ বিরক্ত হইয়াই আবার কহিল, “ও আবার কি করছেন । ভেতরে এসে বন্ধন ।” সে-আদেশ অমান্ত করিবার শক্তি অজয়ের ছিল না। ভিতরে ঢুকিতে গাড়ীর দরজায় তাহার শালের প্রান্ত আটকাইয়া গেল। বীণা হইতে যথেষ্ট দূরত্ব রক্ষা করিয়া একপাশে সঙ্কোচে জড়সড় হইয়া সে বসিয়া পড়িল । মুক্তিপ্রাপ্ত গ্যাসের দাপটে একবার থরথর করিয়া কাপিয়া তারপর পালের নৌকার মত স্থির মন্থর গতিতে স্কুলতাদের সিজোষ্ঠী হাজরা রোড দিয়া গড়াইয়া বালিগঞ্জের মাঠে পড়িল । অন্ধকার পথের পাশে দূরে দূরে স্থাপিত আলোগুলি বারবার বীণার মুখের উপর পড়িতেছিল। কুষ্ঠিতদৃষ্টিতে চাহিয়া অজয় আজও দেখিল, সেই মুখটি কমনীয়, YS99ళీు হৃদয়বত্তায় স্থকুমার, প্ৰগলভভায় দীপ্ত। কিন্তু সে-মুখের সদাউৎসারিত হাসির উৎসমুখ আজ কি সহসা শুকাইয়৷ গেল ? চকিতে চাহিয়া প্রতিবারে যতটুকু দেখিল, সে-মুখটিকে অত্যন্ত ক্লান্ত ভারাক্রান্ত মনে হইল। তাহার উদাস-দৃষ্টি কোন স্থদুরে আজ নিবন্ধ অজয় বুঝিল, সেখানে এই মুহূৰ্ত্তটিতে অজয় আর নাই, চতুষ্পার্থের কেহকিছু সেখানে নাই। প্রাণপণে নিজেকে যতটা প্রকাশ করে তাহা ছাড়াও বীণর মনের মধ্যে গভীরতার স্থান কি একটা আছে ? সেখানে কোন রহস্য-নাট্যের অভিনয় আজ চলিতেছে ? কাহারা সে-নাটকের পাত্র-পাত্ৰী ? কি সেই নাটকের বিষয়বস্তু ? কিছুক্ষণ নীরবে কাটিবার পরে অজয়ই প্রথমে কথা কহিল, বলিল, “আজ হঠাৎ এমন ক’রে শাস্তি দেবার লোভ দেখিয়ে নিয়ে এলেন যে " বীণা কহিল, “লোভ আপনাকে দেখানো যাবে না তা আমি এই ক’দিনেই বেশ বুঝতে পেরেছি। জোর ক'রে নিয়ে এলাম কেন যদি জানতে চান ত তার উত্তর এই যে, তা না হ’লে আপনি আসতেন না ।” “কিসে আপনার মনে হ’ল ধে আস্তাম না ?” *আজ বাড়ীর দরজা পৰ্য্যন্ত গিয়ে কি ব’লে ফিরে চ’লে এলেন ?” “আমি জানতামই না যে সেট আপনাদের বাড়ী, তাছাড়া আপনাদের বাড়ী যাব ব’লে একেবারেই প্রস্তুতও ছিলাম না। কিন্তু আপনি কি ক’রে জানলেন যে আমি গিয়েছিলাম ?” বীণা একমুহূৰ্ত্ত থামিয়া বলিল, “ওপরের বারান্দায় ঐজিলা ছিল, সে আপনাকে দেখেছে।” অজয় বলিল, “ও।” তারপর একেবারেই চুপ করিয়া গেল । বীণা বলিল, “ঐঞ্জিলাকে আপনিও ত নিশ্চয়ই দেখতে পেয়েছিলেন, আপনার বোঝা উচিত ছিল, আমরা আশা করব আপনি আসবেন । কি হয়েছিল বলুনত দ্বারোয়ান-বেহার কারও সাড়া পাননি ।” অজয় বলিল, “না না, আমি বাড়ীতে মোটে क्हेिनि ।"