পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোষ “মাঝপথ থেকেই ফিরে গেছেন ?” “মাঝপথ থেকেই।” আধ-অন্ধকারে অজয়কে ৰীণা সন্ধানী দৃষ্টি দিয়া ভাল করিয়া একবীর দেখিয়া লইল। তারপর আর কোনও कथा झ्हेज ना । बौनीव्र भन श्रङ ७ थांब्रनी उलू কিছুতেই গেল না যে, অজয় আলিয়াছিল, চাকরবাকরদের কোনও ক্রটি বশত: ফিরিয়া গিয়াছে, এখন তাহাজের বঁiচাইবার অভিপ্রায়ে কিছুতেই তাহা প্রকাশ করিতে চাহিতেছে না । স্থির করিল, আজিকার অতিথেয়তায় কোনও ক্রটি থাকিতে না দিয়া সেই অনিচ্ছিত ক্রটির অপরাধ সে স্থালন করিবে । বীণাদের বাড়ীর বাগানে গাড়ী প্রবেশ করিল। গিরি-গুন্মে আকীর্ণ একটি সাজান প্রস্তরগুপের পাশ কাটাইয়া মোড় ফিরিবার সময় একটি চকিত মুহূর্ভের জন্য অজয় আবার ঐজিলাকে দেখিতে পাইল। এবারেও স্পষ্ট কিছু দেখিল না, কুয়াসাচ্চয় মৃদ্ধ জ্যোৎস্নায় চাহিয়া কেবল অনুভব করিল, চতুর্থ প্রহর বেলাতে ঐজিলাকে যে-ভাবে যে-স্থানে যে-বেশে দাড়াইয়া থাকিতে দেখিয়া গিয়াছিল, রাত্রির প্রথম প্রহরান্তেও সেইখানে সেই বেশে সেইভাবেই সে দাড়াইয়া আছে। অজয় বিশ্বিত হইল না, আজ অভাবিতের জন্ত তাহার কল্পনাপ্রবণ চিত্ত কেমন অলক্ষ্যে প্রস্তুত হইয়া আছে। তাহার মনে হইল, এইরূপই যেন হুইবার কথা ছিল। গাড়ীবারানার নীচে সিড়ি উঠিবার সময় তাহার কেমন অস্পষ্ট করিয়া মনে হইল, সে যেন রূপকথার সেই রাজপুত্র, ঘুমের দেশের রাজকন্যার সন্ধানে আসিয়াছে। ঐন্দ্রিলা সেই রাজকন্য, সে মৃদ্ধ জ্যোৎস্নায় তিনতলার বারানার রেলিঙে দুই বাহকোণ স্থাপন করিয়া দাড়াইয়া श्रांप्इ बाणै, क्रूि उांशद्र चूष उicङ नाहे । अथाब्रब्र উপর ভার, ঐজিলাকে জাগাইবে ।--এত বড় বাড়ীটাতে একটি ছুটির বেশী আলো নাই। একতলার প্রায় সমস্তটাই অন্ধকার। বীণার গাড়ীর শত্ব শুনিয়া একটা বেহার ছটিয়া আসিয়া দুই সারি ঘরের মাঝখানের সিড়ির পথের আলোটা জালিয়া দিয়াছে। গায়ের কোটটা খুলিতে श्रृंखण 836. খুলিতে বীণা কহিল, “বাবার ঘরের চাবি কার কাছে আছে ?” বেহার চাবি লইয়া আসিলে দরজার তালা খুলিতে খুলিতে কহিল, "এ-বাড়ীতে বড় কেউ ত আসে না, এই ঘরট বেশীর ভাগ সময় তাই বন্ধই থাকে।” ভিতরের দুইটি चांप्लां ऊालिग्नां भिग्नां श्रखञ्च८क छांकिल, “ञांश्न ।” কম্পিত বক্ষে ঘরে প্রবেশ করিয়া ক্লাস্ত-দেহ অজয় আর আমন্ত্রণের অপেক্ষা না রাখিয়া একটা গদিমোড়া আসনে বসিয়া পড়িল। বেহারাকে জানালাগুলি খুলিয়া দিতে বলিয়া বীণা কছিল, “আপনি একটুখানি বন্ধন, আমি আসছি।” ঘরের ভিতরটাতে সত্যই অনেকদিন ঝাট পড়ে নাই। দেয়ালের ছবির কাচে, পুথির ঝালর দেওয়া হলদে রঙের আলোর শেডে, সাটিনের পদ্ধার ভাঙ্গে ভজে বেশ পুরু হইয়া ধূলা জমিয়াছে। সমস্ত বাড়ী নিঝুম। বেহার বাহিরের দিকের কয়েকটা জানালা খুলিয়া দিয়া প্রস্থান করিয়াছে, বিদ্যুতের আলোর নীচে হইতে পোলা জানালার পথে বাহিরের জ্যোৎস্নাকে কালে মনে হইতেছে। বলিয়া বসিয়া অজয়ের মনে হইতে লাগিল, এই ঘরের প্রতিটি দেয়াল যেন কোন গভীর ঘুমের মায়ার আস্তত। প্রবেশ-পথের উপরে দেয়ালঘড়ির দুলুনিটা দুলিতেছে, ঘুমন্থ মানুষের হৃৎস্পন্দনের মস্ত। গৃহসজ্জার প্রতিটি উপকরণ, প্রতিটি আসবাব কোন স্বপ্নে বিভোর হইয়৷ রহিয়াছে। ইহার প্রত্যেকে জাগিয়ু উঠিয়া কি কথা যেন বলিতে চায়, আজয়ের প্রতীক্ষায় রহিয়াছে। অভাবিত এবং অপরিচিত মিলিয়। অজয়ের ক্লাস্তু মনের উপর নিদ্রায়ই মত কোন নিবিড় মায়ার যবনিক বিস্তার করিতে লাগিল । এই মধুর অপরিচয় । তাহার ময় চৈতন্য ভরিয়া একটি তম্বী নারী-দেহের গভীরতম রহস্তের আভাস । প্রাত্যহিক নারী-জীবনের কত-শত তুচ্ছ খুঁটিনাটির অপরূপ অপরিচিত সুষমা। বাতাসে কোন নামনা-জানা ফুলের মৃত্ব গন্ধের ইঙ্কিত। হরিদ্রীভ আলোতে কি মায়াধন করুণ কমনীয় কোমলতা ! সবকিছু অবাস্তব, অপার্থিব, কিন্তু দেবমন্দিরের স্তিমিত