পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

والأ8 . మరికaశు দীপালোকে অস্পষ্ট করিয়া প্রত্যক্ষ-করা-প্রতিমার স্বন্দর মুখের মত মোহময় । চতুর্দিককার এই রহস্ত-সমাকুল মোহময়তার মধ্যে একমাত্র বীণা কোনওরূপে খাপ খাইল না। সদা জাগ্রত বীণা, সদা স্বপ্রকাশ বীণা। কয়েক মুহূৰ্ত্ত বীণাকে অজয় छूजिग्रां ब्रश्लि । ঐজিলা অলক্ষ্যে কখন ঘরে প্রবেশ করিয়াছে অজয় বুঝিতে পারে নাই, তাহার কণ্ঠস্বরে চমকিত হইয়া ফিরিয়া চাহিল। ঐজিলা বলিল, “দিদি এখনি আসছে।... আপনি আছেন কেমন ?” অজয় উঠিয়া দাড়াইয়া নমস্কার করিল। ঐজিলার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কথা তাহার মনে হইল না। ঐঞ্জিলা তাহার খুব কাছেই একটি আসনে জাসিয়া বসিলে সেও তাহার পরিত্যক্ত আসনটিতে বসিয়া পড়িল। কুষ্ঠিত ভাবটা একটু কাটিয়া গেলে ঐন্দ্রিলার দিকে চাহিয়৷ ক্ষণকাল পূৰ্ব্বেকার কল্পনার ঘোর একটু একটু করিয়া তাহার চৈতন্তকে আবার ঘিরিয়া আসিল । কেমন অস্পষ্ট করিয়া তাহার মনে হইল, এই মেয়েটি সত্যই পুরোপুরি জাগয়া নাই। স্পর্শমাত্রেই ইহার মনের দ্বার খুলিবে না। আজীবনের সমস্ত তপস্যার শক্তি লইয়া দ্বারে করাঘাত করিতে হইবে। আজ সন্ধ্যায় ঐজিলা তাহাকে প্রায় তাহদের গৃহদ্বার হইতে ফিরিয়া যাইতে দেখিয়াছে। অজয়ের সেই অদ্ভূত ব্যবহারের সে কি অর্থ করিয়াছে কে জানে ? হয়ত কোনও অর্থ সে করে নাই, অজয়ের চিন্তা এক মুহূর্তের বেশী হয়ত তাহার মনে স্থান পায় নাই। তবু সেই প্রসঙ্গ লইয়াই কথা স্বরু করা উচিত কি-না, অজয় ভাবিতে লাগিল। অনেক ভাবিয়াও নিজের ব্যবহারের বেশ প্রত্যয়যোগ্য এবং বলিবার মত কোনও সদর্থ নিজের মনে মনেও. সে যখন করিতে পারিল না তখন বীণা তাহাকে পরিত্রাণ করিল। কলহাসির শব্দে স্তন্ধ পুরীকে সচকিত করিয়া ঐন্দ্রিলার পায়ের কাছে একটি কুশন-ঢাকা মোড়ায় বলিয়৷ পড়িয়া সে কহিল, “শুনেছিল, রাহ-সর্দারের কথা ? বলছে, অজয়বাবুকে একলা বসিয়ে চা খেতে দিলে তিনি ভাববেন, এদের বাড়ীতে পুরুষছেলে কেউ নেই, কিম্বা থাকলেও তারা ভাতা জানে না। এই একটু আগে গুছিয়ে রাতের খাওয়া খেয়ে গিয়েছে ।" ঐজিলা মুখ টিপিয়া একটু হাসিল। রাহু বীণার পশ্চাৎ পশ্চাৎ আসিয়া দ্বারের অন্তরালে লুকাইয়াছিল, তাহার পায়ের প্রতিবাদসূচক আস্ফালন শুনিতে পাওয়া গেল। অজয় কহিল, “আচ্ছ, রাহুবাবুর কাল আমার ওখানে নিমন্ত্রণ রইল, আমি এসে তাকে নিয়ে যাব সঙ্গে ক’রে । সেদিনও আপনার তাকে বাদ দিয়ে হোটেলে চা খেয়েছেন। একটা মানুষের ওপর ক্রমাগত অবিচার হওয়া কিছু নয়।” বীণা হাসিতে হাসিতেই কহিল, “পুরুষ জাত এমনি অকৃতজ্ঞই বটে। সমস্ত শহরময় ধাওয়া ক’রে বেড়িয়ে চ। খাওয়াতে ধ’রে নিয়ে এলাম আমি, নিমন্ত্রণ জুটুল রাহুর। তা কি আর করব। রাহুকেই বলব আমাদের জন্তে কিছু খাবার রুমালে বেঁধে নিয়ে আসূতে।” ঐঞ্জিলা বলিল, “বাড়ী পৰ্য্যম্ভ এসে আর পৌছবে না তাহলে ।” আবার বাহিরে ছমছম করিয়া শৰ হইল। অজয় উঠিয়া গিয়া রান্থকে ধরিয়া আনিয়া নিজের পাশে বসাইল । কহিল, “তোমার দিদিরা তোমাকে এই রকম জালান ?” রাহু সে-কথার কোনও জবাব না দিয়া মুখ ফিরাইয়া বসিয়া রহিল। অজয় কহিল, "দিদিরা এই রকম জালায়। আমার মামাবাড়ীতে এক দিদি ছিলেন, উকুন বেছে দিচ্ছি ব’লে চুলের গুছি উপড়ে দিতেন। শেষে যখন মাথার চুল আর থাকে না তখন একদিন মামাদের ব’লে তার বিয়ে দিয়ে দিলাম। দিদিদের জন্ধে রাখবার ঐ এক রাস্ত আছে।” ঐঞ্জিলা ভাবিতে লাগিল, ছেলেটির হঠাৎ হইয়াছে কি। বীণা কহিল, “তাতে ওর লাভ কিছু হবে না। দিদির শ্বশুরবাড়ী গেলে দারোয়ানী করতে কে সঙ্গে যাবে? তারাও ত ভাবতে পারে, এদের বাড়ী পুরুষছেলে কেউ নেই, ৰিম্বা ধাকৃলেও তারা ভদ্রতা জানে না ? সেট রাহুর সহ হবে না।” ब्राँश्ङ् चांब्र द्विवि! ब्रांक्षंi षोंशङिणि न! ।। चखाश्च