পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ বংশের শেষ নৃপতি সুলতান হুসেনের সময় (১৬৯৪-১৭২২) আফঘান প্রজারা বিদ্রোহী হইয় পারস্য আক্রমণ করিয়া ইস্ফাহান দগল ও বিধ্বস্ত করিয়া শাহকে রাজচ্যুত করে ; প্রধান সেনাপতি অফসর নারি আফঘানদিগকে বিতাড়িত করিয়া নাদির শাহ নামে নিজেই সিংহাসনে আরোহণ করেন ( ১৭৩৬ খৃ: ) । ইহার রাজত্বকাল বিষম সংগ্রামেই অতিবাহিত হয় । ধে সকল অভিযানে ইনি বিদেশের ধনরত্নে পারস্যের ভাণ্ডার পূর্ণ করেন তাহার মধ্যে ভারতের দিল্লীজয়ই সৰ্ব্ব প্রধান। মুঘল সম্রাটের দুই চক্রাস্তকারী মুসলমান অমাত্য ইহাকে ভারতে আহ্বান করে এবং তাহদের সৰ্ব্বপ্রধান ( নিজাম-উল-মুঙ্গ ) আমাত্যের বিশ্বাসঘাতকতায়ই ইহার দিল্লীজয় অত সহজেই সম্ভব হয় । নাদির শাহ বিদ্রোহী তুর্ক সঙ্গারদিগের হস্তে নিহত হইবার পর পারস্যে আবার রাষ্ট্রবিপ্লব উপস্থিত হয় এবং সেই সময় হইতে এই অভাগ দেশের ক্রমেই সকলক্ষেত্রে অবনতি হইতে থাকে। মধ্যে করিম গা জেন্দের শাসনকালে (১৭৫০-৭৯ খৃঃ) দেশে সাময়িক শাস্তি ও সমুদ্ধি আসে, কিন্তু তাহার পর তুর্কোমান কাজারদিগের আমল হইতে ( ১৭৯৪ খৃ: ) নানাপ্রকার যুদ্ধবিগ্রহ ও বিপ্লবে দেশে কুষ্টির ধারা ক্ষীণ হইতে ক্ষীণতর হইয়া লোপ পাইবার উপক্রম হয়। কাজার বংশের কয়েকজন নৃপতি যথা— ফাথ আলি শাহ ও নাসীর-উদ্দীন—দেশে পুনৰ্ব্বার সমৃদ্ধি ও শিল্পের প্রতিষ্ঠার বুখ চেষ্টা করেন । কাজারদিগের পর পুনৰ্ব্বার বিশুদ্ধ ইরাণ বংশ সিংহাসনে আসিয়াছে। এই নূতন রাজত্বে দেশের উন্নতির চেষ্টাও চলিতেছে, তাহা কৃতকাৰ্য্য হইবে কি-না সে ভবিষ্যদ্বাণী করা অসম্ভব। তবে যদি হয় তবে তাহা প্রাচ্যজগতের পক্ষে সৌভাগ্যের বিষয় সন্দেহ নাই । 髒 - 豪 齋 জম্বন্দেহ নদীর উপর, প্রায় সাড়ে পাচ হাজার ফুট উচু অধিত্যকায়, ইস্ফাহান শহরের জীর্ণ কঙ্কাল এখনও সাফাৰিদ বংশের আমলের স্মৃতি মনে আনিয়া দেয়। তথন श्णि देन्कोशन भक्षाश्रुर्साब्र छाम्न प्लेञ्जन, cोब्रबभग्न, জগতের সকল নগরীর ঈর্ষার কারণ। এগন রহিয়াছে

8లిసి আফগান-তুৰ্ক লুষ্ঠিত, রাষ্ট্রবিপ্লবে বিধ্বস্ত, অস্তগত মহিমার ক্ষীণ আলো। খুঃ সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বিখ্যাত ইউরোপীয় পরিব্রাজক শারূদ্যা ইস্ফাহানে বহুকাল ধাপন করেন। তাহার বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, সে সময় শাহ আল্লাম ( সাক্ষপি ) ইস্ফাহানে ১৬২টি মসজিদ, ৪৮টি সাধারণের জন্য উচ্চশিক্ষ প্রতিষ্ঠান, ১৮০০ পারবন সরাই ৪ ২৭২টি হামাম ছিল । নদীর ওপারে শাহ, আপাস প্রতিষ্ঠিত জ্বল্ফ সহরতলীতে ৩০০ ০০ আৰ্ম্মানী বাস করিত। খাস শহরে অন্ততপক্ষে ৬ লক্ষ এবং সম্ভবতঃ ১০ লক্ষ লোকের বাস ছিল । সহরের বিরাট বাজার, প্রশস্ত ময়দান, চেলার শোভিত স্বন্দর চাহারবাঘ রাজপথ এবং চাহিল সেতুন, হুঃ বেহেস্ত, আলিকাপু ইত্যাদি স্বন্দর প্রাসাদ ইহাকে ইন্দ্রপুরীর মত শোভন ও স্বন্দর করিয়াছিল । সহরের পরিধি ছিল প্রায় ২৪ মাইল ।