পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোষ विविध अंगज-जयGडाब्रडौम्न ७ याळमलिंक छअबांज्रक चाहेब 886. লাটের তাহাদের ব্যবস্থাপক সভার সাহায্য বা সম্মতি ব্যতিরেকেও স্থায়ী আইন জারি করিতে পরিবেন। এইরূপ নানা প্রকারে শাসনকৰ্ত্তাদের ক্ষমতা বাড়াইবারই অভিপ্রায় দেখা যাইতেছে। সৈনিক-বিভাগের ও সেনাদলের ভারতীয়তাপাদনও স্পষ্টতঃ স্বদূরপরাহত করা হইয়াছে। বাণিজ্যিক, মুদ্রাবিষয়ক, বাণিজ্যশুদ্ধবিষয়ক, এবং আর্থিক অন্যান্ত বিষয়েও বড়লাটের ক্ষমতা চূড়ান্ত থাকিবে । এই প্রকার নান সংবাদ দৈনিক কাগজে বাহির হষ্টয়াছে। পুনরুক্তি অনাবশ্যক। মোট কথ। এই, ভারতীয়দের পূর্ণ কত্ত্বত্ব স্থাপিত ত হইবেই না, কোন দিকে রাষ্ট্রীয় অধিকারও বাড়িবে না । বরং অন্যদিকে শাসনকৰ্ত্তালিগকে এখনকার চেয়ে অধিকতর ক্ষমতা দেওয়া হইবে । কিন্তু কোনও মানুষ, কোনও মানবসমষ্টি, কোনও জাতি ব। সাম্রাজ্য অন্ত কোন জাতির ও দেশের ভাগ্যবিধাতা নহে । যে জাতির লোকের সত্য সত্যই মানুষের মত সোজা হষ্টয়া দাড়াইয়া নিজেদের ভাগানিয়ন্ত হইতে চায়, তাহাঁদের চেষ্ট্র। কেহ ব্যর্থ করিতে পারে না । সমগ্রভারতীয় ও প্রাদেশিক দমনাত্মক আইন ভারতবর্ষীয় ব্যবস্থাপক সভায় এবং ভিন্ন ভিন্ন প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভায় সম্প্রতি কতকগুলি আইন প্রণীত হইয়াছে এবং আরও কতকগুলি হইতে যাইতেছে, যাহার প্রকাশিত উদ্বেগু অপরাধ দমন। অপরাধ বলিতে সকল সভ্য ও স্বাধীন দেশে সাধারণতঃ শান্তির সময়ে যেরূপ গৰ্হিত কাজ বুঝায়, তাহার দমনের ব্যবস্থায় আপত্তি করা অধৌক্তিক। কিন্তু দমনাত্মক আইনগুলিতে এরূপ অনেক কাজ ও ব্যবহারকে অপরাধ বানান হষ্টডেছে, যা ইংরেজদের নিজের দেশে অপরাধ নহে, বরং কোন কোনটি প্রশংসনীয় বলিয়াই ইংরেজরা মনে ुम्न । যেসব রাজপুরুষ এই আইনগুলি ব্যবস্থাপক সভাসমূহ দ্বারা মঞ্জুর করাই এইবার নিমিত্ত বক্তৃতা ও তর্কবিতর্ক করিয়াছেন, তাহাজের নানা কথা হইতে জাগে হইতেই জান এই কথাটা আরও স্পষ্টতর হয়, যে গবন্মেণ্ট একদিকে টেরাব্লিষ্ট বা আতঙ্কোংপাদকদিগকে যেমন নিমূল করিতে চান, আগুদিকে তেমনি নিরুপদ্রব অসহযোগ ও আইন লঙ্ঘন প্রচেষ্টাও বিনষ্ট করিতে চান। তাহারা ভারতীয়দের সশস্ত্র কোন চেষ্টা ত সহ কহিতে পারেনষ্ট না – কোন দেশের কোন গবন্মে টষ্ট এরূপ বিদ্রোহাত্মক প্রয়াস বরদাস্ত করিতে পারেন না, অধিকন্তু র্তাহারা, যাহা প্রার্থনা নহে, নিরস্ত্র ও নিরুপদ্রব এমন স্বরাজলাভপ্রয়াসকেও তাহারা ভারতীয়দের পক্ষে আম্পদ্ধ! ও ঔ ঋত্য মনে করেন । তাছাদের বিবেচনায় কংগ্রেস এরূপ প্রচেষ্টা দ্বার। গবন্মেস্টকে শক্তির পরীক্ষায় আহবান অর্থাং চ্যালেঞ্জ করিয়াছে । দমনাত্মকু আইনগুলি এই চ্যালেঞ্জের জবাব মনে করিতে হুইবে । কোন রাজপুরুষ অবশ্য এমন ভাষা ব্যবহার করেন নাই যাহার অতুবাদ, “তোমরা কেবল আমাদের কাছে প্রার্থনা করিবার অধিকারী, স্থতরাং শুধু প্রার্থনাই কর” । র্তাহার এই মর্শের কথা বলেন, “কোন রকম ভয় দেখাইয়া বা কোন প্রকারে বাধা করিয়া আমাদের মিকট হইতে কোন অধিকার আদায় করিতে পরিবে না। যাই! চাও, কনফারেন্সের দ্বারা, তর্ক করিয়া, ভোটে জিভিয় আদায় করিয়া লণ্ড " ইহার অর্থ আমরা বুঝি । এ রকম কথার আলোচনা করিয়ু সময় নষ্ট করিতে চাই না। কেবল একটা কথা পাঠকদিগকে স্মরণ করাইয়া দিতেছি । কিরূপ প্রণালীতে কিরূপ যোগ্য ভাবিশিষ্ট লোকেরা ভারতীয় বাবস্থাপক সভার সদস্য নিৰ্ব্বাচিত হইবেন, ইংরেজ-গবন্মেণ্টই বরাবর তাহ স্থির কfরয়া দিয়া থাকেন। তাছার উপর তাহাদের মনোনীত কতকগুলি দেশী ও বিদেশী সভা থাকেন, দেশী ও বিদেশী সরকারী সভ্যেরা আছেন, এবং গবন্মেণ্টের সমর্থক বেসরকারী নিৰ্ব্বাচিত ইংরেজ সভ্য আছেন । এই প্রকার বন্দোবস্ত সত্ত্বেও ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় তর্কবিতর্কের পর আংশিক স্বরাজের অল্পকূল প্রস্তাৰ অধিকাংশ সভোর ভোটের দ্বারা একাধিক বার গৃহীত হইয়াছে। কিন্তু একবারও তো গবন্মেণ্ট এরূপ কোন প্রস্তাব অতুসারে কাজ করেন নাই ।