পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 \, বার্তা এনেচেন মানবসস্তানের কাছে—আর সেই গির্জার বাইরে রক্তাক্ত হয়ে উঠচে পুথিবী ভ্রাতৃহত্যায়। দেবালয়ে স্তবমন্ত্রে তাকে আজ যারা ঘোষণা করচে, তারাই কামানের গঙ্গনে তাকে অস্বীকার করচে, আঞ্চাশ থেকে মৃত্যুবর্ষণ ক’রে র্তার বাণীকে অতি ভীষণ ব্যঙ্গ করচে। লোভ আজ নিদারুণ, দুৰ্ব্বলের অন্নগ্রাস আজ লুষ্ঠিত, প্রবলের সামনে দাড়িয়ে খৃষ্ট্রের দোহাই দিয়ে মার বুকে পেতে নিতে সাহস নেই যাদের, তারাই আজ পূজাবেদীর সাম্নে দাড়িয়ে মৃত্যুশূলবিদ্ধ সেই কারুণিকে জয়ধ্বনি করচে অভ্যস্ত বচন আবৃত্তি করে। তবে কিসের উংসব আজ ? কেমন ক'রে জানব খৃষ্ট জন্মেচেন পুথিবীতে। আনন্দ করব কী নিয়ে। একদিকে র্যাকে মরিচি নিজের হাতে, আর একদিকে পুনরুজ্জীবন প্রচার করব শুধুমাত্র কথায়। আজও তিনি মানুষের ইতিহাসে প্রতিমুহূৰ্বে ক্রুসে বিদ্ধ হচ্চেন । তিনি ডেকেছিলেন মানুষকে পরমপিতার সস্তান ব’লে, ভাইকে মিলতে বলেছিলেন ভাইয়ের সঙ্গে । মানবসত্যের প্ৰাণোৎসর্গ করলেন এই বেদীতে । {{ প্রবাসী ; ఏ99శు চিরদিনের জন্যে এই মিলনের আহ্বান রেখে গেলেন আমাদের কাছে । র্তার আহবানকে আমরা যুগে যুগে প্রত্যাখ্যান করেচি। বেড়েই চল্গ তার বাণীর প্রতিবাদ করবার অতি বিপুল আঃয়োজন। বেদমন্ত্র আছে তিনি আমাদের পিতা, পিত; নোহসি। সেই সঙ্গে প্রার্থনা আছে, পিতা নে বোধি, তিনি যে পিত। এই বোধ যেন আমাদের মনে জাগে । সেই পিজার বোধ যিনি দান করতে এসেছিলেন, তিনি ব্যর্থ হয়ে উপহসিত হয়ে ফিরচেন আমাদের দ্বারের বাইরে —সেই কথাকে গান গেয়ে স্তব ক'রে চাপ যেন না দিই । আজ পরিভাপ করবার দিন, আনন্দ করবার নয়। আঞ্জ মানুষের লজ্জা সমস্ত পৃথিবী ব্যাপ্ত করে। আজ আমাদের উদ্ধত মাথা ধূলায় নত হোক, চোখ দিয়ে অশ্র বয়ে যাক । বড়দিন নিজেকে পরীক্ষা করবার দিন, নিজেকে নম্র করবার দিন। শাস্তিনিকেতন ২৫ ডিসেম্বর ১৯৩২