পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষীণাঞ্জ, তাহদের অনেকের অদ অধিকতর কমনীয়, এবং মুখের ভাব আরও যেন গভীর। জৈনদিগের জিন প্রতিম মূলতঃ বুদ্ধ প্রতিমা হইতে অভিন্ন । কিন্তু বুদ্ধ প্রতিমা যেমন পৰ্য্যঙ্কাসন ভিন্ন অন্ত ভাবে উপবিষ্ট এবং দক্ষিণ হস্তের দ্বারা বর বা অভয়দানে রত এবং সহজভাবে. দাড়ান দেখা যায়, জিন প্রতিমায় এই সকল বৈচিত্রা নাই। দাড়ান জিন প্রতিমার একই ভঙ্গী, কায়োংসর্গমুদ্রা। ৩নং চিত্র রাজগিরির অন্তর্গত ভারগিরির উপরে একটি ভগ্ন মন্দিরে রক্ষিত একখানি দাড়ান জিন প্রতিমার প্রতিকৃতি । গড়ন-রীতি দেখিলে মনে হুয়, এই প্রতিমাখানি খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাৰে গঠিত হষ্টয়াছিল। ধ্যানমগ্ন অবস্থায় দুই পার্থে দুই বাস্থ ঝুলাইয়া সটান দাড়ান থাকিলেও এই প্রতিমায় লালিত্যের অভাব নাই ; অনেক অঙ্গে ঢঙ্গ-ঢল ভাব বিদ্যমান রহিয়াছে । গুগ-যুগের পর, অর্থাৎ খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দী হইতে মূৰ্ত্তির ভাবসম্পদের ক্রমশঃ হ্রাস আরম্ভ হয়, কিন্তু মূৰ্ত্তি এবং মন্দির উভয়েরই অলঙ্কারের এবং আড়ম্বরের বৃদ্ধি হইতে থাকে। সুতরাং গুপ্ত-যুগের শিল্পকে সাত্বিক শিল্প, এবং পরবন্ত্রী মধ্যযুগের শিল্পকে রাজল শিল্প বলা যাইতে পারে । এই শেষোক্ত যুগের প্রতিমার নিদর্শনস্বরূপ ৪নং চিত্রে রাজগিরের উদয়গিরির একটি মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত একখানি পার্থনাথের প্রতিকৃতি দেওয়া হইল। প্রতিমাখানি খৃষ্টীয় দশম শতাব্দীতে গঠিত বলিয়া মনে হয় । এই প্রতিমায় গুপ্ত-যুগের প্রতিমার অঙ্গসৌষ্ঠব নাই, এবং দৃষ্টি নাসাগ্রবদ্ধ হইলেগু মুখমণ্ডলে মনের অন্তমুখীনতা তেমন পরিষ্কার ভাবে প্রকাশ পায় নাই। নমুনাস্বরূপ এই যে কয়খানি প্রতিমার চিত্র দেওয়া হইল ভাহা হইতে বুঝা যাইবে হিন্দুর উপাস্ত প্রতিমা দেবতার বা মহাপুরুষের সাঙ্কেতিক চিহ্ন মাত্র নহে, এবং সৌন্দর্ঘ্য তাহার উপসর্গ নহে । হিন্দুরা শুধু ভাবের উপাসক ছিলেন না, সৌন্দর্ঘ্যেরও উপাসক ছিলেন। “তিথিতত্বে” রঘুনন্দন “ছয়শীর্ষ পঞ্চরাত্র’ ੱਚ এই বচনটি উদ্ধৃত করিয়াছেন আৰ্কিৰস্য গুপোযোগার্কিনস্তাতিশায়নাং । जांछिब्रान्Tांछ विचांनां६ cनषः गांब्रिशत्रुष्हछि ॥ "পূজকের তপস্তার এবং ৰোগের বলে, পূজার جسے 0pe۔ আয়োজন থাকিলে, এবং প্রতিমা অভিরূপ বা স্বাক্ষর হইলে, দেবতা পূজকের সাক্ষাতে আগমন করেন।” সোমসেন ভট্টারক নামক একজন জৈন লেখকের খৃষ্টীয় ১৬১০ সালে সংগৃহীত “জৈবণিকচন্থ" নামক নিবন্ধে এই বচনটি আছে— “छांदब्राणांनूदिकांत्र६ कांबद्दछ९ विचभईउg” “অহঁতের ( জিনের ) প্রতিমা ভাবে এবং রূপে ভরপুর করিয়া গড়িতে হুইবে।” খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাদের শেষভাগে মুসলমাণ আক্রমণকারিগণ কর্তৃক আধ্যাবর্তের প্রধান প্রধান রাজ্যগুলি বিজিত হইলে হিন্দুস্থানে, বিহারে এবং বাংলায় আড়ম্বরের সহিত মন্দির প্রতিষ্ঠা বোধ হয় অনেক দিন বন্ধ ছিল । কিন্তু ইহার পরও আড়াই শত বৎসরের অধিককাল উড়িয়া স্বাধীন হিন্দুরাজাম্বিগের শাসনাধীন ছিল, এবং উড়িষ্কার তীর্থক্ষেত্রে পূর্ববং মন্দির প্রতিষ্ঠাও চলিতেছিল। খৃষ্টীয় 'ত্রয়োদশ শতাব্দে গঙ্গা-বংশীয় রাজা প্রথম নরসিংহদেব কোণার্কের বিশাল স্থধ্যমন্দির নির্মাণ করাইয়াছিলেন। এই মন্দিরের মন্দিরাংশ (বিমান ) ধ্বংসপ্রাপ্ত হইলেও বিরাট মুখমণ্ডপ এখনও দণ্ডায়মান আছে। এই মণ্ডপ আধ্যাবর্তের স্থাপত্যের একটি সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন । ইহার আয়তন যেমন বিশাল, কারুকার্ষ্য তেমনই চমৎকার । এই মন্দিরে সংলগ্ন সূৰ্য্য প্রতিমার মধ্যে <था5ौन डांझ८र्वाग्न छाददब्र थांब्रां क्रौ१ व्षांकfद्र थांब्र* করিয়া থাকিলেও বিলুপ্ত হয় নাই। কিন্তু এই মন্দিরের অলঙ্করণের জন্ত নিৰ্ম্মিভ নায়ক-নায়িকার অঙ্গীলভদী হিন্দুর রুচির অধোগতি স্বচিত করে । পুরীর মন্দিরের মাদলাপঞ্জীর অন্তর্গত রাজপঞ্জীমতে গঙ্গরাজবংশ লুপ্ত হইবার পর, ১৪৬২ খৃষ্টাৰে কপিলেক্সদেব উড়িষ্যার সিংহাসন অধিকার করিয়াছিলেন । পুরীর বৰ্ত্তমান রাজা শ্রযুক্ত রামচন্দ্র দেবের অনুগ্রহে আমি তিন খণ্ড স্বতন্ত্র রাজপঞ্জী দেখিবার স্থযোগ পাইয়াছি । এই তিনখানি পঞ্জীর মতেই কপিলেঙ্গদেবের উত্তরাধিকারী পুরুষোত্তম দেব (খৃষ্টাৰ ১৪৭৯-১৫৯৪ রাজ্যকাল ) পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভোগমণ্ডপ নিৰ্মাণ করিয়াছিলেন ; এবং সত্যবাদী বা সাক্ষীগোপালের মূৰ্ত্তি