পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার মনে হয়, এদেশে যদি প্রাচীন স্থাপত্য ও ভাস্কর্ধ) পুনরুজ্জীবিত করা যাইতে পারে, নগরে নগরে যদি ধ্যানময় প্রতিমা অলঙ্কত অভ্ৰভেদী মনোরম শিখরযুক্ত মন্দির প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে, তবে বোধ হয় জনসাধারণের মনে ধ্যানধারণার প্রবৃত্তি এবং শক্তি ক্রমশঃ পুনরায় জাগিয়া উঠিবে। নানা দিকে এখন প্রাচীন শিল্প পুনরুজ্জীবনের ইচ্ছা এবং চেষ্টা প্রকাশ পাইতেছে, এবং চিত্র-বিভাগে এই চেষ্টা কতকটা সফলতা লাভ করিয়াছে। প্রাচীন ভাস্কৰ্য্য এবং স্থাপত্যকে নূতন জীবন দিতে হইলে দুই শ্রেণীর লোকই চাই ; নিপুণ শিল্পী চাই এবং একদল নিপুণ সমজদ্বারগু চাই। ভারতের প্রাচীন রীতির মূৰ্ত্তি ও মন্দির গড়িতে হইলে শিল্পীকে আগে সেই রীতি ভাল করিয়া বুঝিয়া লইতে হুইবে । খৃষ্টধৰ্ম্ম প্রচলিত হইবার পরেও ইউরোপে বরাবরই গ্রীক ভাস্কর্ঘ্যের অমুকরণ চলিয়াছিল। কিন্তু মধ্যযুগের শিল্পীরা গ্ৰীক-প্রতিমার লালিত্যের লক্ষণ ভাল করিয়া বুঝিতে পারিত না বলিয়া তাহাদের अश्कब्र१ बार्ष श्ब्रांछ्णि । धुंडेब्र ब८ञ्चामल लडांप्य আপুলীয়া-নিবালী নিকোলে গ্রাঁকে-রোমীয় শিল্পের সেীষ্মধ্যতত্ত্ব সম্যক হৃদয়ঙ্গম করিয়া তাহা অল্পকরণ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন বলিয়া তাহাকে প্রাচীন শিল্পের *TaTu NTTAR ( Renaissance ) *j*eg fæ RfeTTl *Isfj করা হয়। আধুনিক কালেও অনেক দিন হইতেই গ্রীকশিল্পের সৌন্দৰ্য্যতত্বের বিচার আরম্ভ হইয়াছে। কিন্তু অষ্টাদশ শতাব্দীর সমালোচকেরা প্রাচীন গ্ৰীক ভাস্কর্ঘ্যের রোমীয় নকল লইয়াই মুগ্ধ ছিলেন। ফাটোয়াংলারের বিশ্লেষণের ফলে মূল গ্রীক প্রতিমাসমূহের সৌন্দর্ধ্য উপভোগ করিবার স্থযোগ ঘটিয়াছে উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে । উনবিংশ illliit S95ళెs শতাব্দীর পূৰ্ব্বে গৰিক শিল্পের মহিমাই বা কয়জনে বুঝিত। ইউরোপের স্বভাবান্থকারী শিল্প বুঝাই যখন ७ङ कठेिन, ७शन झ्यूिब खांबांशकांग्रेौ तिब्र बूदा।। ८ष उलटणक श्रद्दनक कटैिन इहे८द झेश बणाहे याइला । किङ বিপদ এই, এদেশের শিল্পরসিকেরা অনেক স্থলেই কষ্ট স্বীকার করিতে প্রস্তুত নহেন। ইউরোপের অভিজ্ঞতার সহিত অসহযোগ ঘোযণা করা হeয়াছে; সুতরাং ইউরোপীয় নজীর কেহ মানে না। এদেশের অনেক শিল্পব্যাখ্যাতাই "আহা মরি!” বলিয়া কৰ্ত্তব্য শেষ করিতে চাহেন । কেহ কেহ এমনও মনে করেন, শিল্পের মহিমা বুঝিবার জন্য ষে কষ্ট স্বীকার কর। কৰ্ত্তব্য বোধ করে, সে নিশ্চয় আরসিক। তথাপি প্রাচীন ভাস্কধ্যের পুনরুজ্জীবনকার্ষ্যে বাঙালী জাতি বিশেষ উদ্যোগী হইবে এমন আশা করা যাইতে পারে। নাগর মন্দির নির্মাণ কব। যে সহজ নহে, ইহা বাঙালীরা অনেক দিন আগে বুঝিতে পারিয়া, নাগর মন্দিরের কদধ্য অন্থকরণে সময় সামগ্ৰী নষ্ট না করিয়া, নিজেদের দোচালা, চৌচালা আটচালা ঘরের অমুকরণে মন্দির গড়িতে আরম্ভ করিয়াছিল। বাংলার এই চালাঘরের ঢঙের মন্দির প্রাচীন নাগর মন্দিরের মত স্বন্দর না হইলেও স্থপরিচিত। এইরূপ মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত প্রতিমা স্বর্গের দেবতা মনে না হইলেও আপনার ঘরের লোক—আপন জন ৰলিয়া মনে হয়। বাংলার নূতন স্থাপত্যের প্রভাব এক সময় সমস্ত আধ্যাবর্ভে ব্যাপ্ত হইয়াছিল। আমার বিশ্বাস, ইচ্ছা করিলে বাঙালী আবার স্থাপত্যে নেতৃত্ব গ্রহণ করিতে পারে। আমাদের প্রাচীন ভাস্কর্ধ্য স্থাপত্যেরই অজ । শাম্রাজুসারে মন্দির গড়িতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিও গড়া হইবে।