পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাটিয়ালী ঐযতীন্দ্রমোহন বাগচী আমি ও আমার প্রিয়ার মাঝারে ধরিতে পারি না জলতরঙ্গে ষে ছোট নদীটি বহে, সঙ্গের কথাটা কি ! কত ছলে সে ষে তাহার কথাটি ইঙ্গিতে আর ভঙ্গীতে ভরি’ কানে কানে মোর কহে ! ষত ভাবি সেই কথা, কলকলি আসে, খলখলি হাসে, চঞ্চল জলে তত ছলছলে इलष्हलि शांम्र कलि ; পারের মন্থরতা ! কেহ না বুক্সক, আমি যে বুৰি না— সে কথা কেমনে বলি ? এপারে নদীর খরবেগখানি কুলের কোলটি ঘেসে, ও পারের জল অতল শীতল তটের প্রাস্তদেশে ; এ-দিকের চর ভূষিত উষর তৃণহীন বালুময়, লতাপাতাফুলে ভরা আন কুলে . অসীমের বিস্ময় ! নদীর ওপারে খানিক ওধারে উজানে প্রিয়ার বাস, ভাটি মুখে তাই সংবাদ পাই নিতি নিতি বারোমাস ; রঞ্জীন সাড়ীটি কবেই-বা কাচে মাথাটি ঘবে বা কবে— সাথে সাথে তার বারতাটি আসে বর্ণে ও সৌরভে। ভেলে-আসা তার চুলের ফুলটি কতু-বা ধরিয়া রাখি, সন্ধ্যাবেলায় সহজ লীলায় যে ঘট সেথা সে ভরে, ঢেউখানি তার কেপে-কেঁপে লাগে এপারের বালুচরে ; সেথায় বাগানে কোকিল ডাকিলে হেথায় হেনার ঝাড়ে ফুটে উঠে ফুল গন্ধে আকুল রাতের অন্ধকারে । চখাচর্থী যারা চরে এই চরে, সন্ধ্যার কিনারায়, চরণচিহ্ন রাখিয়া এ পারে ও পারে উড়িরা যায় ; জানি না সেথা কি স্থধার সায়র আছে ওপারের কোলে, দিনের পার্থীরে রাতে ষা ভূলায়ে উন্মনা ক’রে তোলে ! জলের কিনারে সারারাত ধরে পেতে বসে থাকি জাল, রাতের জাখার মুছে দিয়ে যায় মনের আস্তরাল ;