পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8૨ ઉંકારાત્રો) দেয়, একটুখানি হাত-পা মেলিবাব জন্ত, কোনোদিন ব। আপিস-ঘরে বসিয়াই প্রভাপের অপেক্ষা কবে । যেদিন সে বাহির হয়, সেদিন যামিনী প্রতাপেশ্ব সাড়া পাইলেই নামিয়া আসে। যেদিন মিহির বসিয়া থাকে সেদিন ভাল কোনো উপলক্ষ্য না থাকিলে নামে না । মিহিরকে ৪ আজকাল সে ভয় কবিতে আরম্ভ করিয়াছে। যামিনী স্বন্দরী তাহা সে নিজে জানে। শৈশবকাল হইতে ঘরে-বাহিবে নিজের রূপ-লাবণ্যের আলোচন। সে শুনিয়া মালিতেছে। মনে মনে নি:ঞ্জৰ সৌন্দব্যের অহঙ্কার তাহাৰ খানিকট। অবশুই ছিল, কিন্তু ইহার সম্বন্ধে খুব বেশ সচেতনতা ছিল না। সাজগোজ কর। ছিল মায়ের অন্তান্ত নিয়মের মতই একটা নিষম । ন৷ করিলে অস্কায় হয় বোকামী হয়, এই ভাবটাই এতদিন বেশী ছিল। কিন্তু এই প্রথম নিজেব সৌন্দয্যে সে নিজে আনন্দ বোধ করিতে আরম্ভ করিয়াছিল। তাহার সৌন্দয্য হইয়াছিল তাহার অঘ্য। প্রসাধনের ভিতর নিজের স্বন্দর দেহকে স্বন্দরতব কবার চেষ্টায় সে এক নূতন বস খুজিয়া পাইতেছিল। আনন্দ দিয়া এত আনন্দ যে পাওয়৷ যায়, তাহ ধামিনী এভদিন বুঝিত না। কিন্তু প্রতাপের भूक्ष मृडेब्र छिउद्र निम्न थथन 6न उi६ वृकिएउ वापस করিয়াছিল। বিকাল বেল সে সযত্নে সাজিয়া অপেক্ষা করিয়৷ থাকিত, যদিই প্রতাপের সঙ্গে দেগ৷ কবার স্থবিধা হয় । দেখা করিতে ন পারুক, জানলায় দাড়াইয় দেখা রোজই দ্বিত । প্রতাপের দৃষ্টির সহিত দৃষ্টি মিলিত হইবামাত্র তাহার সমস্ত দেহের ভিতর দিয়া পুলক-শিহরণ বহিয়া যাইত। জীবনে অনুভূতির এমন তীব্রতা তাহার এই প্রথম। যামিনী প্রথম জাগিয়া উঠিয়া, নিজেকে চিনিতেছিল। এতদিন সে বাস করিয়াছে অবাস্তব স্বপ্নলোকে মনুষ্যসমাজে ঘুরিয়া বেড়াইয়াছে বটে, কিন্তু তাহ নিদ্রাভিভূতের মত । যামিনী আয়নার সামনে দাড়াইয়া চুল বাধিবার জোগাড় করিতে লাগিল। আয়নার সামনের টেবিলটি প্রসাধনের উপকরণে পরিপূর্ণ। সেগুলির মূখাধোগ্য ব্যবহার করিতে অনেক সময় কাটিয়া যায়। সবগুলির S99తు অবগু রোজ সে ব্যবহার করে না। ঘড়ির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্ট রাখিয় চলে । cर्थात्रा पैाथा ८श्वन कब्रिट्न बधिनी भूक्ष श्ाङ धूद्देश्। আসিল। আলমাৰী খুলিয়া, থাকে থাকে সজ্জিত শাড়ী, ব্লাউজগুলির দিকে চাহিয়, কোনটি পরিবে মনে মনে স্থির করিবার চেষ্টা করিতে লাগিল। ইন্দ্ৰনীল মণির মভ রং একখানি রেশমী শাড়ী তাহার বড়ই মনে ধরিল, কিন্তু ঘরে বসিয়া এত সাজ করিলে লোকে মনে করিবে কি ? কোথাও যাইবার ৪ ত উপায় নাই। মা তাহাকে প্রায় সৰ্ব্বত্রই যাইতে বারণ কবিয়া দিয়াছেন। বাবাব সঙ্গে ধাওয়া যায় অবশ্ন, কিন্তু ততক্ষণ ত প্রতাপ তাহাল জন্য বসিয়া থাকিতে পাfরবে না ? সে ই যদি না দেখিল ত সাজ করিয়া হুইবে কি ? কিন্তু সময় বহিয়া যায় ষে ? যামিন সব ভাবনা-চিঙা দূরে ঠেলিয়া শাড়াখানি টানিয়৷ বাহির করিয়া, আলমার বন্ধ করিয়া দিল । কাপড় পর। শেষ করিয়া, গলায় একটি বিলাতা মুক্তাব মাল জুলাইয়া, সে আবার বড় আয়নাব সামনে আসিয় দাড়াইল । নিজের সৌন্দয্যের জ্যোভিতে তাহাব নিজের চোখেই ধেন ধাধা লাগিয়া গেল। সে কি আগেও এতট স্কন্ধর ছিল, ন৷ এই কয়েক দিনেই তাহার রূপ এতখানি বুদ্ধি পাইয়াছে ? আগে কি নিজের দিকে কখনও সে ভাল করিয়৷ ডাকাইয়। দেখে নাই ? প্রডাপ আজ ভাহাকে দেখিয়া মনে করিবে কি ? কি একটা কথা ভাবিয়। যামিনীর স্বন্দর মুখে রক্তোঞ্ছাস ঘনাইয়া উঠিল। নাচে মিহিরের পায়ের শব্দ শোনা গেল। ঘামিনীর অভ্যন্ত লঙ্গা করিতে লাগিল, ভাইয়ের কাছে সে কি কৈফিয়ৎ দিবে ? মিহির জিজ্ঞাসা করিবে নিশ্চয়ই । কিছু একটা বানাইয়া তাহাকে বলিতে হুইবেই। কি বলিবে স্থির করিবার আগেই মিহির একলাফে তাহার ঘরের ভিতর ঢুকিয়া পড়িল। ঘরে পা দিয়াই সে চেচাইয়া উঠিল, “কোথায় যাওয়া হচ্ছে শুনি ?” যামিনী থভমত খাইম্বাই বলিল, “কোথাও না।” মিহির বলিল, “হ্যা, কোথাও না বই কি ? আমাকে ফেলে একলা যাবে তাই বল দোতলার ঘরে কী ক’বে বসে থাকবার জন্তে নিশ্চয়ই এত সাজনি ?”