পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

જ8ર নানা ছলনায় জুলাইতে লাগিল। ষে পলাইয়া গিয়াছে তাহাকে পশ্চাৎ হইতে তাড়া করিয়া কেন বৃথা ৰিপন্ন করা ? তাহাতে তাহার দুঃখই কেবল হয়ত বাড়ান হইবে। কিন্তু তাহার অস্তরের একটা অত্যন্ত গভীরতার জায়গায় একটা মানুষ কোনও ছলনাতেই ভুলিল না। সে মানুষটা ক্রমাগড় বলিতে লাগিল, নন্দ যে তোমাকে শ্রদ্ধা করিত, দেবতার মত করিয়া পূজা করিত। তাহার মুগ্ধদৃষ্টির মধা দিয়া তাকাইয়া নিজের মধ্যে যে দেবতাকে তুমি দেখিতে পাইতে, আজ কিলে সেই দেবতাকে আড়াল করিল ? সে কি প্রকারের দেবত্ব, সে কেমন শ্রদ্ধাহঁত, একটি খানাওয়াসীর পরোয়ানা যাহাকে টলাইয়া ধূলিসাৎ করিয়া দিল । ভয়ের চেয়ে বড় মামুষের আর পাপ নাই, বুদ্ধি দিয়া বিচার করিয়া এই কথাটাকে সে বিশ্বাস করিত। সে কি ভয় পাইয়াছে ? কি জানি, আজ থাক, অন্ত একদিন ভাবিয়া দেখিবে । আজ নিজেকে কেবল এই কথা বলিয়াই সে শেষ করিল, নন্দকে সে ভালবাসে হয়ত গভীর করিয়াই ভালবাসে। স্বজনহীন নির্বান্ধব ছেলেটির এতটুকু একটু দুঃখ মোচন করিতে পারিলে সে স্বর্থী হয়। পৃথিবীর কেহ জানিবে না, ননী নিজে জানিবে না, কিন্তু হে অন্তধ্যামী, তুমি জানে, মনে মনে অজয় নন্দকে প্রতিমুহূর্তে ভাবিতেছে, নন্দকে সে ভোলে নাই । চা খাইতে বসিয়া স্বভদ্র জিজ্ঞাসা করিল, “কি এত ভাৰছ ?” অজয় বলিল, “এইমাত্র মনে পড়ল, জামাদের বাড়ী আজ একজনের চা খাবার নিমন্ত্রণ ছিল।” “কার ?” *রাঙ্কর।”

  • রাহুর ? তা বেশ ত ; সে এলে আর-একবার সবাই মিলে চা খাওয়া ষাৰে ।”

“সে এলে ত ? তাকে আমারই গিয়ে নিয়ে আস্বার कथ1 हिल ।” স্বভদ্র আপাদমস্তক তাহাকে একবার দেখিয়া লইল, कश्णि, "cष्ठायांब्र कि भाषा थांब्रां* श्रब्रtछ ? शांeनि কেন এতক্ষণ ?” - ২৫ প্রবাসা, S99ā> অজয় কহিল, “মাধাটা একটু খারাপই হয়ে থাকবে, একেবারে ভুলে গিয়েছিলাম।” স্বভদ্র চায়ের পেয়াল ফেলিয়া উঠিয়া পড়িল, বলিল “এঠ, এখুনি যাও, কি ভাবছেন ওঁরা বল দেখি।” অজয় আসন ছাড়িয়া নড়িল না, কহিল, “সেই ভাবনাতেই ত আরও যেতে পারছি না। ছ’টা বাজতে চলেছে, খুব তাড়াতাড়ি গেলেও রাত সাতটার আগে পৌছতে পারব না, মানুষকে চা খেতে ডাকবার উপযুক্ত সময় সেট নয়। ওঁরা ভাবতে পারেন, চা খাণ্ডস্থানোর কথাটা বাজে, একটা ছুতো ক’রে আর-একবার তাদের বাড়ী আমি বেড়াতে এসেছি ।” “ত তাদের বাড়ী কিছু একটা ছুতে ক’রেই তুমি ষদি যাও, সেটা এমন কিছু মহাপাপ হবে না।--দেখ অজয়, জিনিষটা তোমার স্বভাবে নেই, তা আমি জানি । কিন্তু স্বভাবে এমন কত জিনিষ থাকে না, মেয়েদের জন্তে যা একটু-আধটু করতে হয়। সব দেশের লোকেই ত{ করে । মেয়েদের দশা আমরা যা ক’রে রেখেছি, আমাদের সেটা আরও বেশী ক’রেই করা উচিত।” “তুমি আছ সারাক্ষণ তোমার সমস্ত খেয়াল নিয়ে। এই ত সবাইকার অবস্থা । মেয়েদের কথা ভাববার এই াক সময় ?” “নিশ্চয় এই সময় । মেয়েদের কথা ভাব না ত ভাবব কি ? ভাববার মত, আশা করবার মত এদেশে আর আছে কি শুনি ? সেটা জানি ৰ’লেই ত আর-সব ফে'লে ক্লাব নিয়ে পড়েছি ।” “ঐতেই কি দেশোদ্ধার হবে ?” *ন, কিন্তু কতগুলি মাহুষ উদ্ধার হবে ব’লে আশা হচ্ছে।” “ভার মানে ?” “মানে খুব সোজা । স্ত্রীপুরুষকে ঠিক জায়গায় যদি মিলিয়ে দিতে পারি, কতগুলি পুরুষ অন্ততঃ আর-একটু পুরুষের মতো হৰে। তুমি জানো অজয়, এ দেশের বেশীর ভাগ ছেলেগুলোকে যখন দেখি কেবল মনে হয়, মেয়েতে পুরুষ লেজে বেড়াচ্ছে । 4 ಘಡ হাসে, এমন নরম করে কথা বলে, পা টিপে টিপে চলে পাছে