পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

668 প্রতিষ্ঠান বা কোনও গবেষণা কখনও ছিল বলিয়া মনে হয় না। কারণ তাহার উল্লেখ মাত্র কোনও শাস্ত্রেই দেখিতে পাওয়া যায় না। তবে ভাগবত বা মহাভারতে যতদূর পাওয়া যায়, তাহাতে পূৰ্ব্বজন্মের কৰ্ম্মফলেই এ জন্মে ঐরূপ অবস্থা হয়, এই সিদ্ধান্তই পাওয়া যায় । ইউরোপের ও আমেরিকার বড় বড় বিশেষজ্ঞগণ বংশানুক্রম এরূপ অবস্থার মুখ্য কারণ বলিয়া নির্দেশ করিবার চেষ্টা করিতেছেন। অধিকাংশ স্থলেই দেখা যায়, কোনও বিশেষ মনোবৃত্তি বা কোনও বংশগত ব্যাধি পুরুষানুক্রমে চলিয়া আসে। কিন্তু ইহাও অনেকস্থলে দেখা যায়, যে, জড়বুদ্ধি ছেলের পিতা বা মাতা বার্তাহাদের উভয়েরই পূৰ্ব্বপুরুষের মধ্যে কখনও কাহারও এরূপ অবস্থা বা তাহীদের মধ্যে এরূপ ফলোৎপাদক কোনও কারণ ছিল না। আবার ইহাও যথেষ্ট দেখা যায়, যে, জড়বুদ্ধিসম্পন্ন নর বা নারীর বিবাহের পর পুত্রকন্যাগণ বেশ স্বাভাবিক বা খুব বুদ্ধিমান হইয়াছে। সেই জন্যই মনে হয়, যে, এই জটিল সমস্যার সমাধান প্রতীচ্য জগতের বিজ্ঞান-আলোক অপেক্ষা আমাদের দেশের মহাঋষিদের যে-সকল শাস্ত্র ও যোগপ্রণালী কত শত কঠিন সমস্তার সমাধান করিয়াছিল, সেই সকল শাস্ত্র ও যোগপ্রণালী দ্বারাই ইহাদের প্রকৃত উপায়ের পুনরুদ্ভাবন হইবে। রাজা জড়ভরত, মহাজ্ঞানী শুকদেব বা হস্তামলকের যে চিত্র পাওয়া যায়, তাহাতে বেশ মনে হয় যে, এরূপ সস্তানদের অবহেলা বা ঘুণ না করিয়া বিশেষ যত্ন ও প্রাণপণ সেবার দ্বারা উহার এই মহুষ্য জন্মে যাইতে কোনও কষ্ট না পায়, তাহার সবিশেষ ব্যবস্থা করা উচিত। (২) আধুনিক জগতে ঐরুপ বিশ্বপ্রেম—উদ্ভূত অনেকগুলি প্রতিষ্ঠান আমরা দেখিতে পাই,— মূক ও বধির বিদ্যালয়, অন্ধবিদ্যালয়, কুষ্ঠাশ্রম, জীবক্লেশ-নিবারিণী-সমিতি ইত্যাদি। অথচ অসহায় জড়বুদ্ধি সন্তানদের জন্য কোনও প্রতিষ্ঠানই আমাদের নাই। ইহা আমাদের পক্ষে অতীব লজ্জা ও দুঃখের বিষয়। हेश डिब्र गभां८अब्र ऋॉर्थ ७ यजल गांशप्नब्र छछ ७ বিষয়ে গুটিকতক কথা আমাদের বিশেষ ভাবে বিবেচনা করা ও সৰ্ব্বদা মনে রাখা উচিত – S99శు ( ১ ) র্যাহারই ঘরে এরূপ একটি সন্তান আছে তিনিই জানেন যে সেই ছেলেটি সেই পরিবারের উপর একটি নিরবচ্ছিন্ন বিষাদের ছায়া ফেলিয়া দেয়, ও পরিবারবর্গের প্রত্যেকেরই সমস্ত সময়, মন ও শক্তি সেই ছেলেটিই দখল করে, এবং তাহার ফলে স্বাভাবিক ছেলে-মেয়েগুলির যথেষ্ট ক্ষতি হয় এবং তদ্বারা সমাজেরঙ সমূহ ক্ষতি হয়। ইহার প্রতিকার করা অতি শীঘ্র ও অভ্যস্ত আবশ্বক হইয়াছে । ইহাদের জন্য বিশেষ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করিয়৷ তাহাভে এই সকল ছেলেমেয়েকে আধুনিক প্রণালী মতে রাগিলে এই ক্ষতির কোনও সম্ভাবনা থাকিবে না । (২) ইহা সকলেই জানেন যে স্বাভাবিক ছেলেরা এইরূপ জড়বুদ্ধি ছেলেদের লইয়া বিদ্রুপ বা "পাগলা" বলিয়া বিরক্ত করিয়া একটু বিশেষ আমোদ উপভোগ করে। ইহার ফল অত্যন্ত খারাপ দাড়ায়। ক্রমশঃ এই হতভাগ্যর ঐক্কপ বিরুদ্ধাচরণের মধ্যে বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অত্যন্ত অসামাজিক, যুক্তিবিহীন ও অধিকাংশ স্থলেই নিষ্ঠুরভাবাপন্ন হইয় উঠে ও অসংশোধনীয় আইনলজাক অপরাধী হইয়া দাড়ায়। আরও একটি বিষময় ফল দাড়ায়, যে, প্রত্যেক মন্তস্থ্যেরই উন্নতির প্রধান ভিত্তিস্বরূপ যে মনোবৃত্তি-আত্মনির্ভরত, যাহা এইরূপ ছেলেদেরও বিভিন্ন মাত্রায় অল্প-স্বল্প রূপে থাকে, সেটি চিরদিনের মত লুপ্ত হইয়া যায়। ইহাও একটি আমাদের পক্ষে বিষম ক্ষোভের কথা । (৩) সমাজে জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্তই আইনের স্বষ্টি । মানবের জীবনযাত্র যাহাতে নিরাপদ হয়, ইহাই আইনের মুখ্য ও একমাত্র উদ্বেগু । কিন্তু সেই আইনেই বিধান আছে, যে, জড়বুদ্ধিসম্পন্ন কোনও ব্যক্তি যদি অপরাধ করে বা হত্যাও করে তাহা হইলে সে দায়ী হয় না এবং আইনেও সে শাস্তি পায় না। কিন্তু তার দায়িত্ব আইনে তাহার উপর আরোপ না করিলেও, হত্যার অপরাধের গুরুত্ব কত সে নিজে না বুঝিলেও, সমাজের লোকদের পক্ষে তজন্ত ষে-বিপদ সে-বিপদ চিরকালই বর্তমান থাকে। আমরা ত অনেক স্বাস্থ্যসভা, অনেক কোয়ার্যান্টাইন আইন ( সংক্রামক রোগের জন্ত সংশ্ৰবরাহিত্যের আদেশ ) ইত্যাদির ব্যবস্থা করি—সকলেরই