পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ জগতের বিবৰ্ত্তকারণ। চজশেখর বন্ধর মতে এই তিনের সংযোগই যোগমায়া । ৭২৯-৩০—অপরা প্রকৃতির উপাসনায় অর্থাৎ দেবতাউপাসনায় পরা প্রকৃতির জ্ঞানলাভ হয় না। পরা প্রকৃতির তত্ত্ব অবগত হইলে অপরা প্রকৃতির তত্ত্বও প্রতিভাত হয়। “বাহারা জরামরণ হইতে মুক্তি পাইবার জন্ত আমাকে আশ্রয় মানিয়া সাধনা করেন র্তাহার ব্রহ্ম, সমস্ত অধ্যাক্স এবং অখিল কর্ণের স্বরূপ জানিতে পারেন ; অধিভূত, অধিদৈব এবং অধিযজ্ঞ সহিত আমাকে জানিয়া যুক্তাত্মা পুরুষ মৃত্যুকালেও আমার স্বরূপ উপলব্ধি করেন।" অধ্যাত্ম, অধিভূত,অধিদৈব এবং অধিষজ্ঞ শব্দের অর্থ যাহার অধীনে আত্মা, ভূত, দেবতা এবং যজ্ঞ অর্থাৎ নিখিল কৰ্ম্ম আছে। ‘অধ্যাত্ম’ শব্দের ‘আত্মা’ অর্থে প্রাণবন্ত দেহ, ভূত অর্থে পৃথিবীর জড় উপাদানসমূহ, দেবতা অর্থে ইঞ্জিয়াদি ও জরা মরণ মোক্ষায় মামাশ্রিত্য যতস্তি যে । তেন্ত্ৰহ্ম তদ্বিন্ধঃ কৃৎস্ন মধ্যাক্সং কৰ্ম্ম চাখিল ॥২৯ कéीब्र कौर्डि ($3 স্বধ্য চজ প্রভৃতি বিশেষ বিশেষ ভক্তি-উদ্রেককারী জড়ৰস্তর অভিমানী দেবতা বা প্রকাশিক শক্তি। পূৰ্ব্বপ্রকাশিত অধিবাদের বিচার স্রষ্টব্য। প্রাণবন্ত দেহ, ভূতগ্রাম, দেবতা ও কর্ম এই সমস্তই অপরা প্রকৃতির অন্তভুক্ত ; এই কারণেই সপ্তম অধ্যায়ে প্রকৃতিতত্বের আলোচনায় ইহাদের উল্লেখ আসিয়াছে। তত্ত্বসমাল নামক কাপিলসাংখ্য শাস্ত্রের সপ্তম সূত্রে অধ্যাত্ম, অধিভূত ও অধিদৈবের উল্লেখ আছে। অধ্যায়, অধিভূত ইত্যাদি শব্দগুলি এক বিশেষ সাধনমার্গের পারিভাষিক শব্দ। শ্ৰীকৃষ্ণ প্রকৃতি তত্ত্ব হইতে অতি-কৌশলে এই সাধনমার্গের অবতারণা করিলেন। অষ্টম অধ্যায়ে অধিবাদের বিস্তারিত বর্ণনা আছে । মৃত্যুকালে ওঁকার স্মরণে মুক্তি হয় এই বিশ্বাস অধিবাদের অন্তর্গত । জ্ঞানবিজ্ঞানযোগ নামক সপ্তম অধ্যায় সমাপ্ত। সাধিভুতাধি জৈবং মাং সাধিযজ্ঞঞ্চ যে বিদ্ধঃ। প্রয়াণকালেহুপি চমাং তে বিদ্ধ যুক্তচেতস: ৩• কৰ্ত্তার কীৰ্ত্তি ঐশরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় X বৰ্দ্ধমান জেলার ধনী ও বনিয়াদী জমিদারবাবু হৃষীকেশ রায় তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র হেমন্তকে বাড়ি হইতে নিৰ্ম্মমভাবে দূর করিয়া দিয়াছিলেন। ইহার কারণ আর কিছু নয় শুধু সে তাহার মনোনীতা পাত্রীকে উপেক্ষা করিয়া একটি আই-এ পাস করা মেয়েকে নিজে পছন্দ করিয়া বিবাহ कब्रिम्नांझिल । *-- ভয় নাই, ইহা পিতৃরোযপীড়িত হেমন্তের দুর্দশার कक्4 कांश्निौ नञ्च । ८झ्भख८क cनय श्रृंéीस वर्षीडां८द দ্বীপুত্রকে পথে বসাইয়া উদ্বন্ধনে প্রাণভ্যাগ করিতে হয় নাই। বিবাহের পূর্বেই সে কলিকাতার একটা বড় কলেজে অধ্যাপনার কাজ পাইয়াছিল ; তাহা ছাড়া পরীক্ষার কাগজ দেখিয়া ও ঘরে বসিয়া শিক্ষকতা করিয়াও যথেষ্ট بالاســجذه উপার্জন করিত। স্বতরাং পিতা ত্যাজ্যপুত্র করিয়া ঘরের বাহির করিয়া দিলেও, অর্থের দিক দিয়া অন্তত তাহার কোনো ক্লেশ হয় নাই । হৃষীকেশবাবুর মত বদরাগী অগ্নিশৰ্শ্ব লোক আজকালকার দিনে বড়-একটা দেখা যায় না। পুরাকালে বদরাগী বলিয়া দুৰ্ব্বালা মুনির একটা অপবাদ ছিল বটে, কিন্তু তিনিও অকারণে কাহাকেও অভিসম্পাত দিয়াছিলেন বলিয়া আমাদের জানা নাই। হৃষীকেশবাবুর কারণঅকারণের বালাই ছিল না, ডিনি সৰ্ব্বদাই চটিয়া থাকিতেন। শুনা যায়, সতের বৎসর বয়সে র্তাহার একবার টাইফয়েড হয়, সারিয়া উঠিয়া তিনি তেঁতুলের অম্বল দিয়া ভাত খাইবার ইচ্ছা জ্ঞাপন করেন। ডাক্তারের আদেশে তাহার সে ইচ্ছা পূর্ণ হইল না, ফলে সেই ষে তিনি চটিয়া