পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ . অস্তবিপ্লব ও বৈদেশিকের আক্রমণ প্রতিহত করিতে হওয়ায় জাপান স্থবিধা পাইয়াছে। লীগ অব নেশ্বাস বা তাহার অন্তভূতি ব্রিটেন আদি মহাশক্তিসকল জাপানকে ডাকাইতি হইতে নিবৃত্ত করিতে পারিতেছেন না বা চাহিতেছেন না। আমেরিকাও কাৰ্য্যতঃ কিছু করিতেছেন না । এক দেশ অন্ধ্যায়ভাবে অস্ত দেশ দ্বারা আক্রান্ত হইলে, যে-যুগে আত্মরক্ষার জন্ত অন্ত কোন দেশের সাহায্য পাইজ, সে-যুগ যেন আর নাই। সম্ভবতঃ জাপান বহু বংসর হইতে বিশাল চীন সাধারণতন্ত্রের বৃহৎ একটি অংশ দখল করিবার আয়োজন করিতেছিল। গত মহাযুদ্ধের আগে, ১৯১৪ সালে, পৃথিবীর বড় বড় দেশ যুদ্ধায়োজনে যত ব্যয় করিত ১৯৩০-৩১ সালে তাহা অপেক্ষা এক জামেনী ছাড়া আর সকলেরই বায় বাড়িয়াছে । জামেনীর কমিয়াছে শতকরা ৬৩ ; বাড়িয়াছে ব্রিটেনের শতকরা ৪২, ফ্রান্সের ৩০, ইটালীর ৪৪, জাপানের ১৪২, রুশিয়ার ১৩০, আমেরিকার ১৯৭। ১৯৩০ ৩১ সালে সামরিক-বিভাগের ব্যয় আমেরিকার ছিল ২০৮ নিযুত পাউণ্ড, রুশিয়ার ১৬৬ নিযুত পাউণ্ড, ব্রিটেনের ১৫৩, ফ্রান্সের ১৩০, জাপানের ৬৯। স্বতরাং আমেরিকা, এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশ জাপানের ডাকাতিতে বাধা দিতে সমর্থ। তবে, বাধা দিবার ইচ্ছা তাহাদের না থাকিতে পারে । ডি ভ্যালেরা ডি ভ্যালের আয়ার্ল্যাণ্ডকে রাষ্ট্রনৈতিক ও অর্থনৈতিক উভয় দিক দিয়াই স্বাধীন করিতে চান। শীঘ্রই আইরিশ পালেমেন্টের সভা-নির্বাচন নৃত্তন করিয়া হইবে। তাহাতে ডি ভ্যালেরার দলের সভ্য সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক নির্বাচিত হইলে ( এবং তাহা হইবারই সম্ভাবনা) তিনি স্বদেশকে স্বাধীন করিবার স্বযোগ পাইবেন । তখন ব্রিটেন বলপ্রয়োগ দ্বারা তাহাতে বাধা দিবেন কি না, দেখা যাইবে । দশ বৎসরে ফিলিপাইন্সের স্বাধীনতা প্রশান্ত মহাসাগরের ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ ৩৩ বৎসর আমেরিকার অধীন আছে । দশ বৎসর পরে किणिभिरनानिशं८क त्रांशेौमड निदाब्र छछ uरुछि श्राझेन আমেরিকার ব্যবস্থাপক সভা কংগ্রেসের উভয় কক্ষে পাস হইয়াছে। এখন উহাতে প্রেসিডেন্ট সন্মতি দিলেই দশ বৎসর পরে ফিলিপিনোর স্বাধীনতা পাইবে । বিনযুদ্ধে পরাধীন জাতির স্বাধীনতা প্রাপ্তির ইহা একটি मृडेखि इहे८द । বিবিধ প্রসঙ্গ—পুণ চুক্তি ও বঙ্গের হিন্দুগণ TMoፃ বোম্বাইয়ে বার্ণার্ড শ বিখ্যাত লেখক জর্জ বার্ণার্ড শ দেশপ্রমণে বাহির হইয়াছেন । বোম্বাই বন্দর পৌছিয়াছেন, জাহাঞ্জেই আছেন, ড:ঙীয় নামেন নাই । সেখানে খবরের কাগজের লোকেরা তাহাকে নানা প্রশ্ন কfরয়াছে এবং তিনি ৪ রসিকতা ও ব্যঙ্গের সহিত উত্তর দিয়াছেন । তাহার উত্তরগুলির রস অঙ্কুবাদে রাখা কঠিন। এখানে কেবল দুটি উত্তরের দুটি অংশের উল্লেখ করিব। “যদি ব্রিটিশ গবন্মেণ্টের সহিত আপনাদের বিরোধ হয়, আশা করিবেন না, যে, ফ্রান্স, জামেণী, স্ক্যifণ্ডনেভিয়া ব। আমেরিক তৎক্ষণাৎ আপনাদের সাহাধ্যার্থ দৌড়িয়া আসিবে । তাহারা আপনাদিগকে সাহায্য করিবার জন্য একটি আঙলও তুলিবে না। ভারতের সব কাজ ভারতীয়দিগকেই করিতে হইবে, বিদেশাদিগকে নহে ।” সত্য কথা, এবং আগে ইহঁতেই আমাদের জানা কথা । “গান্ধী যদি যাট লক্ষ মাস্থ্য মারিতে পারিতেন, তাহা হুইলে তৎক্ষণাৎ তাহার কথা শিরোধষ্য হইত।” ইহা ব্যঙ্গের স্বরে বলা হইলেও সত্য কথা। অবশু, মহাত্মা গান্ধীর এক জন মাহুষকে ও বধ করিবার ইচ্ছা নাই, কাহারও সেরূপ ইচ্ছা থাকিলে তিনি বরং তাহাকে নিবৃত্ত করিতেই চেষ্টা করিবেন। বর্ণ: শ কেবল সভ্য মাছুষের যেরূপ মনোবৃত্তি এখনও আছে, তাহাই যথাযথ বলিয়াছেন। জ্ঞানে সাত্ত্বিকভায় কোন জভি বড় হইলেও, যতক্ষণ তাহার যুদ্ধশক্তি ভয়াবহ না হয়, ততক্ষণ তাহাকে অন্ত কোন জাতি গ্রাহুই করে না । জাতীয় ঐক্য ও বাঙালী হিন্দু এলাহাবাদে জাতীয় ঐক্যের জন্য ধে কনফারেন্স হুইতেছিল, তাহাতে মুসলমান পক্ষ হইতে এই প্রস্তাব হয়, যে, বঙ্গের হিন্দু প্রভূতির বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় র্তাহাদের জন্য বরাদ্ধ ৮০টি আসন হষ্টতে কয়েকটি ছাড়িয়া দিয়া মুসলমানদের ১২৭টি পূর্ণ করিয়া দি উন, তাহ হইলে মুসলমানের “ঐক্যে” মত দিবেন। মুসলমানের যে যে প্রদেশে সংখ্যানুন সৰ্ব্বত্রই তাহদের সংখ্যামুপাতের অধিক আসন পাইয়াছেন। বঙ্গে হিন্দু প্রভৃতির সংখ্যানুন। র্তাহারা সংখ্যানুপাতের অতিরিক্ত আসন ত পানই নাই, তাহা অপেক্ষ অনেক কম পাইয়াছেন। তাহা হইতেও কিছু ছাড়িয়া দিয়া মুসলমানদিগকে আইনানুসারে গারষ্ঠতম দল বানাইতে হুইবে ! এৰূপ *ঐক্যকে” বঙ্গের হিন্দু প্রভূতির অগত্যা গড় করিয়া ৰিদায়ু লইয়াছেন। পুণ-চুক্তি ও বঙ্গের হিন্দুগণ বঙ্গের হিন্দুদের অসাক্ষাতে ও তাহাদের বিনা