পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፵፬ግዝቘ! ఆృe বাচবে কী ? যারা সেই রুদ্ধ উৎসকে ভুলে কেবল পাথরকে সিঁদুর মাখিয়ে ঘন্ট নেড়ে সময় কাটাতে অন্তরে বাধা পায় না, তার তোমার অসন্তোষের চাঞ্চল্য দেখে তোমাকে অবজ্ঞা করে, বস্তুত তাদেরই সন্তোষের স্থাবরতা অবজ্ঞার বিষয় । তোমার প্রশ্ন এই, কী করে জীবন সার্থক হবে। কী উত্তর দেব ভেবে পাইনে। আমাদের দেশে মেয়েদের জীবনক্ষেত্র বেড়া দিয়ে খাটো কর, তার মধ্যে মামুষের সব চিত্ত খোরাক পায় না, উপবাণী থাকে। সুবিধা এই, অধিকাংশ মানুষ সঙ্কীর্ণ সীমার উপযুক্ত হয়েই জন্মায়, যাদের ডান নেই আকাশের অধিকার হারালেও তাদের চলে। ঘরকন্নার সঙ্কীর্ণতা বা ধৰ্ম্মাচরণের সঙ্কীর্ণতা সে সব মেয়েদের মনকে বঞ্চিত করে না। বরঞ্চ তারা এই নিয়ে খেলাচ্ছলে একরকম আরাম পায়—তাদের কোনো নালিশ নেই। তোমার হৃদয় মনকে অত সহজে শিকল পরিয়ে তুমি দমিয়ে রাখতে পারচ না, তাই কষ্ট পাচ্চ। তোমার এই সঙ্কীর্ণ অবস্থায় থেকেও মুক্তির আস্বাদ পেতে পারতে যথেষ্ট পড়াশোনায়, এবং রচনার মধ্যে। বহির্জগতের স্বাধীনতা, যা তোমার নিজের ছেলের আছে, তা তোমার নেই,— মাইযের এই মস্ত অধিকার থেকে তুমি বঞ্চিত। কাজেই অন্তর্জগতের মধ্যে সঞ্চরণের স্থান প্রশস্ত করা ছাড়া আর তে কোনো উপায় নেই। নিজের মধ্যে স্বষ্টি করে সেটাকে সত্য করে তুলতে পারে। যদি তবে তাতেই পাবে আনন্ম । নইলে খাচার শলাগুলোতে কেবলি ডানাঝাপটা মারায় কী লাভ —আমার কথা যদি বলে, ংসারে আমার দুঃখশোক অভাব অতুপ্তি কম নয়—কিন্তু জগতে চারিদিক থেকে আমি খোরাক সাগ্রহের রাস্ত রেখেচি, আমার চিত্তের ঔংস্নক্য কোনোদিকেই বাধাগ্রস্ত इग्न नि । তুমি একটি বিশেষ পথ দিয়ে হৃদয়ের চর্চা করেচ— সেই পথটই তোমার পক্ষে সহজ। সেই পথে তোমার প্রধান আশ্রয়কে হারিয়েচ। অগুপথ তোমার অনভ্যস্ত, দুৰ্গম, হয়ত বা তোমার স্বভাববিরুদ্ধ। তাই মনে প্রশ্নত্তরে ধে-সব বৈষ্ণবশাস্ত্রে তোমার মন রস পেতে পারে তার মধ্যে একান্তভাবে মগ্ন হ’তে পারনা কি ? বার-বার বলেfচ গুরুর পদ আমার নয় । আমি কবি, নানাভাবে নানাদিকে আমার মন সঞ্চরণ করে— “আমার স্বভাবের বৈচিত্ৰ্যবশত নিজেকেও নিজে বুঝি নে, আক্ষেও আমাকে বোঝে না। আমার প্রধান সার্থকড সব কিছু প্রকাশ করা—বাণীর দ্বারা করেচি, কৰ্ম্মের দ্বাৰা ৪ করেচি। মনে কোরে না, আরামে করতে পেরেচি, দিতে হয়েচে অনেক, কষ্ট ও অপমান সঙ্গুেচি যথেষ্ট, নিজেকে প্রায় নিঃস্ব করেচি–কিন্তু ছুটি পাব না কোনোদিন, কেননা এই আমার স্বভাব। ইতি ३३ वांश्विन ४७es