পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলন্তন সারা দেহ শিউরে উঠল—পেয়ালাটা যেন জীবন্ত, মনে হল যেন একটা কুর, জীবন্ত, বিষধর সাপের বাচ্চার গায়ে হাত দিয়েচি, যার স্পর্শে মৃত্যু-ধার নিঃশ্বাসে মৃত্যু - পরদিন দিন দুপুর থেকে মন্থর অস্থখ বাকী পথ ধরলে, ন' দিনের দিন মারা গেল । আমি জানুতুম ও মারা যাবে। মন্ত্রর মৃত্যুর পরে পেয়ালাট আবার কুড়িয়ে এনে ব্যাগের মধ্যে পুরে কাজে বেরুবার সময় নিয়ে গেলুম। সাত-আট ক্রোশ দূরে একটা নির্জন বিলের ধারে ফেলে দিয়ে ইপি ছেড়ে বাচলুম। শোকের প্রথম ঝাপট কেটে গিয়ে মাস দুই পরে বাসা একটু ঠাণ্ডা হয়েছে তখন ৷ কথায় কথায় স্ত্রীর কাছে একদিন এমনি পেয়ালাটার কথা বলি। তিনি আমার গল্প শুনে যেন কেমন হয়ে গেলেন, কেমন এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে রইলেন, মুখ দিয়ে তার কথা বেঞ্চল না । আমি বললুম—বোধ হয় অত খেয়াল ক’রে কে ৬১৭ তুমি কখন দ্যাথোনি, তাই ধরতে পারনি—আমি কিন্তু वव्रीुद्र--- আমার স্ত্রী বিবর্ণমুখে বললেন—বলব একটা কথা ? আমার আজ মনে পড়ল—একটু চুপ করে থেকে বললেন— —খোকা যখন মীরা যায় আর বছর আষাঢ় মাসে, সেই কলাই-করা পেয়ালাটাতে তাকে ভাবের জল খাওয়াতুম। আমি নিজের হাতে কত বার খাইয়েচি। তুমি তো তখন বাইরে বাইরে ঘুরতে, তুমি জানো না। আমার কোনো উত্তর খানিকক্ষণ না পেয়ে বললেন,— জানতে তুমি একথাটা ? —না, জানভূম না অবিশ্যি। কিন্তু অন্তমনষ্ক হয়ে আর একটা কথা মনে তোলাপাড়া করছিলুম—পেয়ালাটা আমাদের ছেড়েচে ত ? ওটাকে কেন তখন ভেঙে চুরমার করে নষ্ট করে দিই নি ? আবার কোনো উপায়ে এসে এ বাড়িতে ঢুকবে না ত ? কে শ্ৰীসরোজরঞ্জন চৌধুরী আমার এই বাথার বঁাশী মোহন-তানে কে বাজালো রে! আমার এই শূন্ত-ডালা শোভন-ফুলে কে সাজালো রে! আমার শুকনো ডালের আগে আগে কাহার মধু-পরশ লাগে' নবীন-প্রাণে পত্র জাগে,— কে জাগালো রে ! चांभांब्र ७झे गंडौव्र चैंथिांद्र घ८ब्रश्न घरब्र কে এলো রে আঞ্জ — আলোর মালা গলায় দোলে অঙ্গে আলোর সাজ । আমার পাষাণ-ৰ্বাধন কে ভাঙালো, নিঝর-ধারা কে জাগালে, মর-গfaউ বান ডাকালে, কে ডাকালে রে ।