পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলন্তন কোন দিন অস্ত্র করা হইবে, কি কি আবশুৰ, ডাক্তার সব বলিয়া গেলেন। কয়েকটা যন্ত্র তিনি নিজে আনিবেন বলিলেন । অস্ত্র করিবার দিন ডাক্তার কালসের সঙ্গে বাড়ির ডাক্তার ও অার এক জন ডাক্তার অসিলেন । সঙ্গে এক জন ভাল নগাঁও আসিয়াছিল । স্বাগতাকে অজ্ঞান করিয়া অস্ত্র করিতে হইবে। অন্ত্র করিবার সময় ঘরে আর কেহ রহিল না । অস্ত্র হইয়া গেলে পর ভাক্তারেরা বাহিরে আসিলেন। ডাক্তার কালসের আদেশ অন্ধুসারে ঘর অন্ধকার করা হইল। প্রয়োজন হইলে নস একটা মোমবাতি জালিবে কিন্তু রোগীর চক্ষে আলোক পড়া একেবারে নিষেধ । বাহিরে আসিয়া বাড়ির ডাক্তার হরিনাথ ও গঙ্গাধরকে বলিলেন, অস্ত্র খুব ভাল হয়েচে। ডাক্তার কালর্স না হ’লে আর কেউ এ-রকম অস্ত্র করতে পারত না । ডাক্তার কালর্স বলিলেন, আমি দু-বেলা আসব। কাল মাথার পটি খুলে আমি নিজে আবার বেঁধে দেব। এক সপ্তাহ রোগীকে অন্ধকারে রাখতে হবে, বাড়ির কোন লোক ওঁর কাছে যাবে না । হরিনাথ জিজ্ঞাসা করিল, উনি বেশ সেরে উঠবেন マ ? ডাক্তার বলিলেন, ই, একেবারে সেরে যাবে। —কত দিনে বিছানা থেকে উঠতে পারবেন ? —পনর দিন লাগবে । এক সপ্তাহ পরে আপনার ওঁর ঘরে যেতে পারেন, ওঁর সঙ্গে কথা কইতে পারেন। এক সপ্তাহ পরে হরিনাথ গঙ্গাধর প্রভাৰতী ঘরে প্রবেশ করিল। একটা জানালা খোলা, তাহার উপর পর্দা টানা, ঘরে অল্প জালোক প্রবেশ করিতেছে। স্বাগতার মাথা পটি দিয়া বাধ, চক্ষু নিৰ্ম্মল, রোগশয্যায় মুখ কিছু ক্লশ দেখাইতেছে। সকলকে দেখিয়া স্বাগতার মুখে মেঘমুক্ত স্বৰ্য্যালোকের স্থায় হালি ফুটিল। প্রভাবতী শষ্যার পাশে বসিয়া স্বাগতার হাত তুলিয়া লইল, বলিল, চিনতে পার । স্বাগত প্রভার হাত চাপিয়া হাতমুখে বলিল, চিনতে পারব না কেন ? প্রভার যেমন কথা । चकांडों ৬২৭ হরিনাথ জিজ্ঞাসা করিল, এখন আপনার সব মনে পড়চে ? স্বাগতার ভ্র একবার কুঞ্চিত হইয়া আবার তখনই ললাট নির্শ্বগ হইল। বলিল, সব মনে পড়চে, তবে দু-বার যে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম তখনকার কথা মনে নেই। গঙ্গাধর বলিল, মাথার কোন যন্ত্রণ নেই ? —না, কাটা সারতে যা দেরি। সেরে উঠেই স্নবর্ণপুরে যাব। দেওয়ান ত্ৰিলোচনের সঙ্গে একটা বোঝাপড়া করতে হবে l স্বাগতার মুখের হাসি মিলিয়া গেল, চক্ষে কঠিন জাল । হরিনাথ বলিল, এখন ও-সব কিছু ভাববেন না, আগে ত সেরে উঠন তারপর যেমন ভাল বোঝেন করবেন। অষ্টচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ কাৰ্ত্তিক কাহাকে দেখিল কোন একটা কর্শের উপলক্ষ্যে কীৰ্ত্তিক একবার কলিকাতায় আসিয়াছে । এক দিন বৈকালবেলা মাঠে বেড়াইতে বেড়াইতে গঙ্গার ধারে উপস্থিত হইল। সে দাড়াইয়া জাহাজ দেখিতেছে এমন সময় হরিনাথ মোটর করিয়া সেইখান দিয়া যাইতেছিল। কাৰ্ত্তিককে দেখিয়া মোটর দাড় করাইল। বলিল, এই ষে কান্ত্ৰিকবাৰু, তুমি কলকেতায় কবে এলে ? কাৰ্ত্তিক মোটরের পাশে আসিয়া বলিল,—দিন-দুই হ’ল একটা কাজে এসেচি। —এস, গাড়ীতে এস, আমার সঙ্গে একটু বেড়াতে যাবে। কাৰ্ত্তিক মোটরে উঠিয়া হরিনাথের পাশে বসিল । মোটর ও হরিনাথের বেশ দেখিয়া বলিল,—এ আপনার নিজের মোটর ? হরিনাথ অল্প হাসিয়া বলিল,—তোমার কি মনে छ्छ ? चांभांब्र भनिtबब्र नाएँौ ? কাৰ্ত্তিক বিজ্ঞভাবে মাথা হেলাইয়। বলিল,—সে-সব আপনার বানানো কথা । আপনি চাল-ডালের ব্যবসা